২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা মানছে না সাধারণ মানুষ

- সংগৃহীত

সাধারণ মানুষের অনীহার কারণে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে রাজধানীতে সামাজিক দূরত্বের নির্দেশনা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে উঠছে। ঢাকার শানিরআখরার একটি কাঁচাবাজারে সরেজমিনে গিয়ে ইউএনবির এ সংবাদদাতা দেখতে পান, সরাদেশে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার যে দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা মেনে চলছেন না বাজরে আসা বিপুল সংখ্যক মানুষ।

ওই এলাকার বেশিরভাগ মানুষ মাস্ক পরছেন, তবে কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে বা এ ভাইরাসের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়া ঠেকাতে প্রয়োজনীয় এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখাকে নিরাপদ বলে মনে করা হলেও তা না রেখেই দোকানের সামনে ভিড় করছেন। সেখানকার লোকজন ও দোকানদারদের সাথে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে আমাদের এ প্রতিবেদক তাদের নাখোশ আচরণের মুখোমুখি হয়েছেন।

যদিও সরকার নিয়মিতভাবে মানুষকে সতর্ক থাকার ও সর্বদা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলে আসছে। তারা সরকারের এ নির্দেশনা না মেনে তাদেরকে যেনতেনভাবে ঘোরাফেরা ও কেনাকাটা করতে দেখা গেছে। কাঁচাবাজারের দেয়ালগুলোতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য সাধারণ মানুষকে মনে করিয়ে দেয়ার মতো কোনো দেয়ালিকা ও প্রচারণা দেখা যায়নি।

ওই এলাকার এক ওষুধের দোকানের মালিক রকিবুর রহমান জানান, তারা ক্রেতাদেরকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিয়ে সচেতন করার চেষ্টা করছেন তবে সাধারণরা নির্দেশনা মানার ক্ষেত্রে অনীহা দেখাচ্ছেন।

একটি বেসরকারি সংস্থার চাকরিজীবী জামশেদ হোসেন নামের একজন ইউএনবিকে জানান, আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখার জন্য তিনি সবেমাত্র বাড়ি থেকে বের হয়েছেন। এ সময়টাতে বিনা কারণেই ঘোরাঘুরি করা খুব ঝুঁকিপূর্ণ এমন বিষয়টি মনে করিয়ে দেয়ার পর তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে বাসায় থাকতে থাকতে তিনি ‘বিরক্ত’, তাই এখন তার একটা বিরতি দরকার ছিল।

লোক সমাগম এড়িয়ে চলার ব্যাপারে সরকারের কড়া নির্দেশনা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষ তাদের এলাকার গলিগুলোতে সময় কাটাচ্ছেন।

এদিকে, চিকিৎসকরা বারবার বলে আসছেন যে জনসমাগম এড়ানো সম্ভব না হলে এটি ‘অনেকের মৃত্যুর’ কারণ হবে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোস্তাক আহমেদ বলেন, তারা সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন তবে তারা পেরে উঠছেন না। তিনি বলেন, ‘মসজিদগুলোতে নামাজে অংশ নেয়া এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ইতিমধ্যে চিঠি পাঠিয়েছি। আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। এজন্য জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন।’

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ওয়ারী বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) ইফতেখায়রুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, সাধারণ মানুষ পুলিশের সাথে লুকোচুরি খেলছে তাই তাদেরকে বাড়িতে রাখার কাজটি খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছে এবং কোনো কারণ ছাড়াই তারা বাসা থেকে বের হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস করতে সাধারণ মানুষের বুঝা উচিত তাদেরকে বাড়িতে থাকার জন্যই সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। যদিও আমরা সাধারণ মানুষকে বিষয়টি বোঝানোর জন্য অনেক চেষ্টা করছি, তবুও তারা নির্দেশনা যথাযথভাবে মানছে না, যোগ করেন তিনি।

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সরকার গত ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। সেই সাথে জনসমাগম সীমিত ও গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা নিশ্চিতে সেনাবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করেছে। সরকারের ঘোষিত পাঁচ দিনের সাধারণ ছুটি, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের ছুটি এবং সাপ্তাহিক ছুটি চারদিনসহ এটি ১০ দিনের ছুটিতে রূপান্তরিত হয়েছে। সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement
ঈশ্বরদীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪২.৪ ডিগ্রি তাপমাত্রার রেকর্ড ‘মুক্ত সাংবাদিকতা চরম সঙ্কটে’ ‘রাফা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরাইলি সেনারা’ ৪৬তম বিএসএস প্রিলি পরীক্ষা : শুরুতেই স্বপ্নভঙ্গ ৮১ শিক্ষার্থীর মরুর উষ্ণতায় ক্ষতির মুখে কৃষি ছেলেদের কারণে বিপাকে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে ফ্রান্স, ব্রাজিল ও প্যারাগুয়ে সফরে যাচ্ছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড সফরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক বললেন প্রধানমন্ত্রী লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত এখনো শেষ হয়নি বিতর্কিত আউটের রেশ, ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ মুশফিকের

সকল