১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলকদ ১৪৪৫
`


‘আমরা খেতে পারি না, পান করতে পারি না’

‘আমরা খেতে পারি না, পান করতে পারি না’ - ছবি : আল-জাজিরা

গাজায় যদিও কিছু ত্রাণ সমুদ্রপথে পাঠানো হচ্ছে বা বিতরণ করা হচ্ছে, বিশেষজ্ঞরা, এনজিও এবং বাসিন্দারা বলছেন যে- এটি লাখ লাখ ফিলিস্তিনিদের চাহিদা মেটানোর জন্য একেবারে অপ্রতুল।

রোববার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জাহর সাকর নামে এক বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি বলেন, পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে- কেউ এটি কল্পনাও করতে পারে না। যে সাহায্য করা হচ্ছে তা সমুদ্রের এক বিন্দু পানির সমতূল্য। কারণ পুরো অঞ্চলটির সাহায্যের প্রয়োজন এবং লোকেরা উপকূল থেকে সাহায্য নেয়ার জন্য প্রতিযোগিতা করছে।

তিনি আরো বলেন, সাহায্য দেয়ার ক্ষেত্রে এয়ারড্রপগুলো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে, প্যারাসুট খুলতে ব্যর্থ হলে প্যালেট পড়ে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।

ওয়ায়েল মিকদাদ নামে খান ইউনিসের এক বাসিন্দা বলেন, আমরা সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করতে থাকি। জাহাজে হোক বা বিমানে হোক এটা কোনো সমাধান নয়। আমরা বিমানগুলোকে সাহায্য নামাতে দেখেছি এবং লোকেরা এটি নিয়ে লড়াই করছে। কিছু শিশু আছে যারা সাহায্য নিতে যেয়ে সাগরে ডুবে গেছে।

এদিকে প্রায় ৬ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বলে সতর্ক করছে সাহায্য সংস্থাগুলো।

ইমান ওয়াদি নামে আরেক বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি বলেছেন, ‘এখানে জীবনের অবস্থা খুবই খারাপ। আমরা খেতে পারি না, পান করতে পারি না এবং সাহায্য খুবই কম।’

এদিকে হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলি হামলায় উপত্যকায় ৩১ হাজার ৫৫৩ জন নিহত হয়েছেন যা প্রতি ৭৩ জন বাসিন্দার মধ্যে একজনকে প্রতিনিধিত্ব করে। এছাড়া আরো ৭২ হাজার ৭৬০ জন আহত হয়েছেন।

ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অন্য বছরের মতো এবার রমজান যাপনের সুযোগ নেই। কারণ, শত শত মসজিদ গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। নগর-ভবন চুরমার করা হয়েছে। তাই জীবন যাপনের অনুসঙ্গ সংকীর্ণ হয়ে এসেছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, চলমান গাজা যুদ্ধে অন্তত ১২ হাজার ৩০০ শিশু মারা গেছে।
সূত্র : আল-জাজিরা


আরো সংবাদ



premium cement