জেরুসালেমের পূর্বে কৌশলগত গ্রাম আল-খান আল-আহমার ধ্বংসের ইসরাইলি পরিকল্পনা নস্যাতের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে ফিলিস্তিন।
ছোট এ গ্রামটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আল-খান আল-আহমার পশ্চিম তীরের উত্তর দিককে দক্ষিণের সাথে যুক্ত করেছে। তাই কৌশলগত গুরুত্বের কারণে গ্রামটি আন্তর্জাতিক সঙ্কট উসকে দিয়েছে।
ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গ্রামটি ধ্বংসের এবং গ্রামবাসীদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত বন্ধের জন্য ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুকে চাপ দিতে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
গ্রামটি ই-১ এলাকার ফিলিস্তিনের একমাত্র অংশ। এটি বসতি স্থাপন প্রকল্পের একটি নাম যার লক্ষ্য জেরুসালেমকে অন্যান্য ইসরাইলি বসতির সাথে সংযুক্ত করা।
সোমবার বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি কৌশলগত গ্রামটিকে রক্ষা করার জন্য বিক্ষোভ শুরু করলে মন্ত্রণালয় ওই আবেদন জানায়।
ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির গত ২২ জানুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে একটি নথি পেশ করেন, যেখানে কয়েক মাস ধরে পশ্চিম তীরে আরবদের স্থাপন করা ভবনগুলোর একটি তালিকা দেয়া হয়।
তিনি উত্তরে এবং পশ্চিম তীরের কেন্দ্রের ছয়টি এলাকা, সেইসাথে বেথলেহেমের পূর্বে এবং জেরুসালেমের পূর্বে আল-খান আল-আহমারের সংরক্ষিত অঞ্চল ধ্বংস করার আহ্বান জানিয়েছেন।
মন্ত্রিসভার অধিবেশন চলাকালে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা ভারসাম্যপূর্ণ উপায়ে আইন প্রয়োগ করছি। আজ আমরা বেথলেহেম এবং নাবলুসে আরবদের মাত্র তিনটি বাড়ি ধ্বংস করেছি।’
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ইসরাইলের সুপ্রিম কোর্ট আল-খান আল-আহমার গ্রাম সরিয়ে নেয়া এবং ভেঙে ফেলার জন্য একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জারি করে। পাশাপাশি গ্রামের বাসিন্দাদের উচ্ছেদ, বাস্তুচ্যুতি এবং সম্প্রদায় ধ্বংসের বিরুদ্ধে করা আবেদন প্রত্যাখ্যান করে।
সূত্র: আরব নিউজ
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা