২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইরানের হুমকি রোধে যুক্তরাষ্ট্র ও আরব মিত্রদের সাথে বৈঠক ইসরাইলের

ইসরাইলে দুই দিনের বৈঠকে অংশ নেয়া দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা - ছবি : এএফপি

ইরানের হুমকি রোধে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মরক্কোর সাথে দুই দিনের এক বৈঠক শেষ করেছে ইসরাইল। সোমবার ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলীয় নাগেভ মরুভূমিতে এক অবকাশ কেন্দ্রে আয়োজিত এই বৈঠক সমাপ্ত করা হয়।

এর আগে রোববার এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ায়ির লাপিদ, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান, বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল লতিফ বিন রশিদ আল-জায়ানি, মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শুকরি ও মরক্কোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাসের বুরিতা নিজ-নিজ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।

বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে ইয়ায়ির লাপিদ বলেন, ‘নতুন এই কাঠামো- যা আমরা সমন্বিতভাবে গড়ে তুলেছি, আমাদের সাধারণ শত্রু ইরান ও তার সমর্থনপুষ্টদের ভীত ও নিরুৎসাহিত করবে।’

বৈঠকে ইসরাইল ও আরব দেশগুলোর পক্ষ থেকে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় ইরানের সাথে চলমান পারমানবিক সমঝোতায় আলোচনার বিষয়ে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়। তারা দাবি করে, এর ফলে ইরান ও তার সমর্থিত সশস্ত্র দলগুলো শক্তিশালী হয়ে উঠবে।

পাশাপাশি বৈঠকে ইসরাইল-ফিলিস্তিন শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে কথা বলেন আরব দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।

মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামিহ শুকরি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ইসরাইলি-ফিলিস্তিনি শান্তি প্রক্রিয়ার গুরুত্ব, বিশ্বাসযোগ্যত্যা রক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের কার্যকারিতা সম্পর্কে আমরা আলোচনা করেছি।’

সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, ‘ কয়েক বছর আগেও এই ধরনের সমাবেশ অসম্ভব বলে বিবেচনা করা হতো।’

তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চল ও তার বাইরের অবস্থাকে পরিবর্তনের চেষ্টায় জোরালো সমর্থন দিচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখবে।’

এদিকে বৈঠকে জর্দানকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও দেশটি তা প্রত্যাখ্যান করে। এর পরিবর্তে জর্দানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ ইসরাইল অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড পশ্চিম তীরে সফর করেন।

আরব দেশগুলোর মধ্যে প্রথম মিসর ১৯৭৯ সালে ক্যাম্প ডেভিড চুক্তির মাধ্যমে ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে। পরে ১৯৯৩ সালে ফিলিস্তিনিদের সাথে ইসরাইলিদের অসলো চুক্তি স্বাক্ষরের পর ১৯৯৪ সালে জর্দান ইসরাইলের সাথে কূটননৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে।

২০২০ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় চুক্তি করে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন। পরে এই চুক্তিতে মরক্কো ও সুদানও যোগ দেয়। ইবরাহীমি তিন ধর্মের (মুসলিম, খ্রিস্টান ও ইহুদি) লোক চুক্তিতে অংশ নেয়ায় এটি ‘ইবরাহীমি চুক্তি’ (আবরাহাম অ্যাকোর্ড) হিসেবে পরিচিতি পায়।

সূত্র : টিআরটি ওয়ার্ল্ড


আরো সংবাদ



premium cement
চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রির কাছে আচরণবিধি লঙ্ঘন ও উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদানে অধ্যক্ষ এবং চেয়ারম্যান গ্রেফতার আবারো পিএমএল-এনের সভাপতি হচ্ছেন নওয়াজ শরিফ বিষখালী নদী থেকে ২২ ঘণ্টা পর নিখোঁজ জেলের লাশ উদ্ধার ৩ জেলায় বয়ে যাচ্ছে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ ছত্তিশগড়ে ২৯ জন মাওবাদী নিহত হওয়ার পর এলাকায় যে ভয়ের পরিবেশ নেতানিয়াহুকে গাজার কসাই বললেন এরদোগান রাশিয়া ইউক্রেনের ৬৮টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে গুচ্ছ পরীক্ষা দিতে এসে জবি কেন্দ্রে অসুস্থ এক শিক্ষার্থী থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান কক্সবাজার সৈকতে নেমে হৃদরোগে পর্যটকের মৃত্যু

সকল