১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪২৯, ০৮ রমজান ১৪৪৫
`

জাতিসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে জেনেভায় সিরিয়ার সংবিধান রচনায় আলোচনা শুরু

সিরিয়ান কন্সটিটিউশনাল কমিটির বৈঠক - ছবি : সংগৃহীত

জাতিসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সিরিয়ার ভবিষ্যৎ সংবিধান রচনায় দেশটির বিভিন্ন পক্ষের সমন্বয়ে গঠিত সিরিয়ান কন্সটিটিউশনাল কমিটির বৈঠক শুরু হয়েছে। এই বছর জানুয়ারির পর প্রথমবারের মতো সোমবার কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

২০১৯ সালে জাতিসঙ্ঘের সমর্থনে সিরিয়ার সরকার, বিরোধী দল এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়।

এর আগে রোববার সিরিয়ায় জাতিসঙ্ঘের বিশেষ দূত গেইর পেডেরসন কমিটির দুই প্রধান, সরকারবিরোধী হাদি আল-বাহরা ও সরকার পক্ষীয় আহমদ কুজবারির সাথে সাক্ষাত করেন।

পরে এক সংবাদ সম্মেলনে হাদি আল-বাহরা বলেন, সকল সিরিয়ানের সমাণ অধিকারের বিষয় তাদের মনোযোগে রয়েছে।

তিনি বলেন, 'বর্তমান সংবিধানে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের কোনো সুযোগ নেই। যা ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করেছে এবং এই বিষয়টি ত্রুটিপূর্ণভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।'

অপরদিকে সংবাদ সম্মেলনে পেডারসন বলেন, সরকারি ও বিরোধীদলীয় প্রতিনিধিদের সাথে তার 'অকপট ও গুরুত্ববহ' সাক্ষাত হয়েছে।

দুই পক্ষই সংবিধান রচনায় খসড়ার কাজ শুরু করতে একমত হয়েছে বলে জানান তিনি।

সংবিধান রচনার এই কমিটি দুইটি ভাগে গঠিত। ক্ষুদ্রতর ভাগে বিভিন্ন পক্ষের ৪৫ সদস্য রয়েছেন যারা সরাসরি সংবিধান রচনায় খসড়া তৈরির সাথে যুক্ত থাকবেন।

এই ভাগ তাদের একমত হওয়া বিষয়গুলো কমিটির বৃহত্তর ভাগের কাছে উপস্থাপন করবেন। ১৫০ সদস্য নিয়ে গঠিত কমিটির বৃহত্তর এই ভাগ ক্ষুদ্রতর ভাগের একমত হওয়া বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা করবেন।

এই ভাগের ৭৫ শতাংশ সদস্য কোনো বিষয়ে একমত হলো তা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

২০১১ সালের মার্চে আরব বসন্তের পরিপ্রেক্ষিতে সিরিয়ার একনায়ক বাশার আল আসাদের পদত্যাগের দাবিতে দেশটির বিভিন্ন শহরে রাস্তায় বিক্ষোভে নামে সাধারণ জনতা। বাশার আল-আসাদ সামরিক উপায়ে এই বিক্ষোভ দমন করতে চাইলে দীর্ঘস্থায়ী গৃহযুদ্ধের মুখে পড়ে দেশটি।

দশ বছর চলমান এই গৃহযুদ্ধে দেশটির জনসংখ্যার অর্ধেকই বাস্তুচ্যুত হয়। জাতিসঙ্ঘের তথ্যানুসারে এক কোটির বেশি লোক যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়।

এছাড়া যুদ্ধের কারণে অন্তত ৬৬ লাখ সিরিয়ান গত ১০ বছরে দেশ ছেড়েছেন। দেশ ত্যাগ করা এই সকল সিরিয়ান নাগরিক প্রতিবেশী তুরস্ক, জর্দান, লেবানন, ইরাকসহ বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

জাতিসঙ্ঘের তথ্য অনুসারে, সিরিয়ায় ১০ বছর চলমান গৃহযুদ্ধে তিন লাখ ৫০ হাজার দুই শ' নয়জন নিহত হয়েছে।

১০ বছরের গৃহযুদ্ধে শুরুতে বেকায়দায় পড়লেও পরে রাশিয়া ও ইরানের সহায়তায় বিরোধীদের নিয়ন্ত্রিত বেশিরভাগ অঞ্চল পুনরায় দখল করে নেয় আসাদ সরকার।

সূত্র : মিডল ইস্ট আই


আরো সংবাদ



premium cement