২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অবৈধ বসতিকে 'ইসরাইলের অংশ' হিসেবে দেখছে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা

পশ্চিম তীরের ইহুদি বসতি স্থাপনকারী - ছবি : মিডল ইস্ট আই/এএফপি

অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড পশ্চিম তীরে ২৫০টির বেশি অবৈধ বসতিতে বাস করছে প্রায় পাঁচ লাখ ইহুদি বসতি স্থাপনকারী। আন্তর্জাতিকভাবে ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃত ভূমিতে এই বসতিকে তারা 'ইসরাইলের অংশ' হিসেবে বিবেচনা করছে।

এদিকে পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনে ইসরাইলি নাগরিকদের আগ্রহী করার জন্য করমুক্তিসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে ইহুদিবাদী দেশটির সরকার। ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধে পশ্চিম তীর দখলের পর ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বিভিন্ন সময়ই বসতি স্থাপন করে আসছে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ।

অস্ত্রসজ্জ্বিত এই বসতি স্থাপনকারীদের হাতে বিভিন্ন সময়ই পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি বাসিন্দারা হামলার শিকার হয়েছে। ফিলিস্তিনিদের ভূখণ্ডে অবৈধভাবে বাস করা ইসরাইলি এই নাগরিকরা স্থানীয় জনসাধারণের জীবনকে দুর্দশাগ্রস্থ করে তুলেছে।

পশ্চিম তীরের বৃহত্তম ইহুদি বসতি মায়ালি আদুমিমের বাসিন্দারা বলছেন, তাদের এই বসতি ইসরাইলেরই অংশ। ৭০ হাজার ইহুদি নাগরিক অধ্যুষিত এই বসতির বাসিন্দারা আনাদোলু এজেন্সির কাছে সাক্ষাতকারে বলেন, পশ্চিম তীর ইসরাইলের স্বাভাবিক অংশ।

এস্তার নামের এক ইউক্রেনীয় বংশদ্ভুত ইহুদি বাসিন্দা বলেন, 'তাওরাত অনুসারে ঈশ্বর আমাদের এই দেশ দিয়েছেন এবং ঈশ্বর আমাদের এখানে থাকার আদেশ দিয়েছেন। আমরা এখানে কারণ ঈশ্বর আমাদের এখানে থাকতে বলেছেন।'

তাদের আগে থেকে থাকা ফিলিস্তিনি জনগণের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কথা বলতে অস্বীকার করেন। চলে যাওয়ার আগে তিনি বলেন, 'এটি আমাদের দেশ।'

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা ইহুদি বসতি স্থাপনকারী ডেভিড হাইভরি বলেন, ইহুদি বসতিগুলোর জনসংখ্যা আরো বাড়ানো প্রয়োজন এবং ইসরাইলের ভেতর অন্তর্ভুক্ত করে নেয়া উচিত।

তিনি বলেন, 'আমার দৃষ্টিতে, জুদেয়া ও সামারিয়া যাকে আপনি পশ্চিম তীর বলছেন, ইসরাইলের অংশ এবং এই ভূখণ্ডে ইসরাইল রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব স্থাপন করা প্রয়োজন। সুতরাং আমার জন্য এই অঞ্চলে বাস করা গুরুত্বপূর্ণ যাতে এখানে ইসরাইলি জনসংখ্যা বাড়ে এবং ভবিষ্যতে এই ভূখণ্ড ইসরাইলের সাথে যুক্ত হতে পারে।'

অপর বসতি স্থাপনকারী আইদান জেনদি বিশ্বাস করেন, বসতিগুলো অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূমিতে নয় বরং 'ইসরাইলি ভূমিতে' নির্মিত হয়েছে।

তিনি বলেন, 'ফিলিস্তিনিদের বাস করার বহু জায়গা আছে। জর্দান, ইরাক, লেবানন, সিরিয়া ও মিসর, তাদের বহু জায়গা আছে। বিশাল এই পৃথিবীতে আমাদের শুধু একটিই ভূখণ্ড আছে।'

তিনি আরো বলেন, 'আমাদের ছাড়া তারা আজকেো ঘোড়া-গাধায় নিয়েই জীবন কাটাতো। আপনি যদি ইতিহাসের পেছনে দেখেন বা বাইবেলে নজর বুলান, আপনি দেখবেন ফিলিস্তিনিদের বহু আগেই ইসরাইলিরা এখানে বাস করতো।'

ইহুদি বসতিতে বাস করা মারিন তাকসিনি নামের এক অ্যাকাউন্টেট বলেন, 'আমি মনে করি না, এই ভূখণ্ড দখলে রাখা হয়েছে। আমি মনে করি, ফিলিস্তিনিদের থেকে এই ভূখণ্ড মুক্ত করা হয়েছে।'

ইসরাইলি মানবাধিকার সংস্থা বেতসেলেম ও কেরেম নাভোটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১০ সালের পর থেকেই অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের সংখ্যা বেড়েছে। প্রায় চার লাখ ৪০ হাজার বসতি স্থাপনকারী বাস করছে।

আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে পূর্ব জেরুসালেমসহ পশ্চিম তীর ভূখণ্ডকে ইসরাইলের দখলে থাকা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড হিসেবে গণ্য করা হয়। আইন অনুসারে ওই স্থানে সব ধরনের ইহুদি স্থাপনা অবৈধ।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসঙ্ঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ১৯৬৭ সাল থেকে ইসরাইলের দখলে থাকা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ওপর ইসরাইলি দখলদারির নিন্দা করে আসছে।

সূত্র : ইয়েনি শাফাক


আরো সংবাদ



premium cement
‘ফ্রি ভিসার গল্প’ আর শূন্য হাতে ফেরা লাখো শ্রমিক নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের আশুলিয়ায় বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা ফেরত গেলেন, কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট কি আরো জটিল হচ্ছে দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চালক-হেলপার নিহত মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

সকল