২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

‘গোটা বিশ্বের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে ইরান’

- ছবি : সংগৃহীত

ইরানে আজ সোমবার থেকে প্রতিরক্ষা দিবসের অনুষ্ঠান পালন শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে প্রতিরক্ষা যুদ্ধে (ইরাক-ইরান যুদ্ধ) অংশগ্রহণকারী যোদ্ধাদের এক সমাবেশে ভাষণ দেন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনেয়ী।

১৯৮০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া ইরাক-ইরান যুদ্ধ আট বছর স্থায়ী হয়। এ উপলক্ষে ইরানে প্রতি বছর ২১ সেপ্টেম্বর থেকে টানা এক সপ্তাহ ধরে প্রতিরক্ষা সপ্তাহ পালিত হয়।

ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে দেয়া ভাষণে সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ইরানে ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের পর সৃষ্ট ইসলামি শাসনব্যবস্থাকে অঙ্কুরেই ধ্বংস করে দেয়ার জন্য ইরাকের মাধ্যমে ইরানের ওপর ওই যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল। বিশ্বের তৎকালীন দুই পরাশক্তি আমেরিকা ও সোভিয়েত ইউনিয়ন হাতে হাত মিলিয়ে ওই যুদ্ধে ইরাককে সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছিল। কিন্তু এতসব সত্ত্বেও ওই যুদ্ধে ইরানের নিশ্চিত বিজয় হয়।

ভাষণ শুরু করার আগে ইরানের সেনা কমান্ডারদের বক্তব্য শোনেন সর্বোচ্চ নেতা
আয়াতুল্লা আলী খামেনেয়ী প্রতিরক্ষা যুদ্ধে ইরানের বিজয়ের কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন, আট বছর সারাবিশ্বের সকল শক্তির সম্মিলিত পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে ইরাকের আগ্রাসী বাহিনী ইরানের এক বিঘত ভূমিও দখলে রাখতে পারেনি।

দ্বিতীয় কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ইসলামি বিপ্লবকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে ওই যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়া হলেও তাদের সে লক্ষ্য তো অর্জিত হয়ই নি, উল্টো ইসলামি বিপ্লব যুদ্ধ শুরুর আগের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে।

সর্বোচ্চ নেতা বলেন, অথচ এর আগের ২০০ বছরে ইরান যে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে তাতেই পরাজিত হয়েছে। তিনি বলেন, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ইরানের কাজার শাসক এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইরানের পাহলাভি শাসক নিজেদের নিরপেক্ষতা ঘোষণা করেন। কিন্তু তারপরও দুই যুদ্ধেই বিদেশি সেনা ইরানে অনুপ্রবেশ করে ও সাময়িকভাবে এ দেশকে দখল করে নেয়।

আলী খামেনেয়ী বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন ও সোভিয়েত সেনারা এই তেহরানে দম্ভের সঙ্গে প্যারেড করেছে।

তিনি বলেন, এই যখন ছিল ইরানের অতীতের অবস্থা তখন ইসলামি বিপ্লবের পর ইসলামপ্রিয় যোদ্ধারা তাদের দেশের এক ইঞ্চি ভূমিও বিদেশিদেরকে দখল করতে দেননি। পার্সটুডে


আরো সংবাদ



premium cement