১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলকদ ১৪৪৫
`


মস্কোতে অস্ত্রবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে লিবীয় প্রতিদ্বন্দ্বীরা

ফয়েজ আল-সরাজ ও খলিফা হাফতার - ছবি : এএফপি

অস্ত্রবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য সোমবার মস্কোতে বৈঠকে মিলিত হয়েছে লিবিয়ার সংঘাতে জড়িত উভয় পক্ষ। এর ফলে দেশটিতে চলা দীর্ঘ নয় মাসের যুদ্ধের অবসান ঘটতে যাচ্ছে। কয়েক সপ্তাহের আন্তর্জাতিক কূটনীতিক তৎপরতার পর এটি স্বাক্ষর হচ্ছে।

সংলাপে অংশ নেয়ার জন্য লিবিয়ার জাতিসঙ্ঘ স্বীকৃত সরকারের প্রধানমন্ত্রী ফাইয়াজ আল-সারাজ এবং বিদ্রোহী জেনারেল খলীফা হাফতার ইতোমধ্যে মস্কোতে পৌঁছেছেন।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া যাকারোভা জানান, রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু এবং তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মওলুদ কাভুসোওলু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকার এ সংলাপে উপস্থিত থাকবেন।

এর আগে, রোববার (১২ জানুয়ারি) লিবিয়ায় যুদ্ধবিরতির জন্য তুরস্ক ও রাশিয়ার যৌথ আহ্বানে সাড়া দেয় লিবিয়ায় যুদ্ধরত দু’পক্ষ। বুধবার (৮ জানুয়ারি) ইস্তাম্বুলে এরদোগান ও পুতিনের মধ্যে এক বৈঠকের পর তুরস্ক ও রাশিয়া এক যৌথ ঘোষণায় লিবিয়ায় সংঘাতে জড়িত সব পক্ষকে যুদ্ধবিরতির এ আহ্বান জানানো হয়।

তাৎক্ষণিকভাবে জেনারেল হাফতার এ আহ্বান প্রত্যাখ্যান করলেও শনিবার (১১ জানুয়ারি) তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে এক টেলিফোন সংলাপের পরপরই যুদ্ধবিরতির আহ্বানে সাড়া দেন জেনারেল হাফতার।

সম্প্রতি লিবিয়ার সরকার হাফতার বাহিনীর আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে তুরস্কের কাছে ‘পানি, স্থল ও আকাশ পথে’ সাহায্যের জন্য আনুষ্ঠানিক আবেদন জানায়। ইতোমধ্যে লিবিয়ার সরকারকে সহায়তার জন্য তুরস্ক দেশটিতে সেনা পাঠানো শুরু করেছে।

ত্রিপোলিতে জাতিসঙ্ঘ স্বীকৃতিপ্রাপ্ত জাতীয় ঐক্য সরকার (জিএনএ) গত এপ্রিল থেকে শক্তিশালী খলিফা হাফতারের অনুগত বাহিনীর হামলার শিকার হয়ে আসছে। লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে হাফতারের হাতে।

গত ৬ জানুয়ারি হাফতারের বাহিনী কৌশলগত দিক থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দেশটির উপকূলীয় সিরত নগরী দখল করে নেয়।

জিএনএ প্রধান ফয়েজ আল-সাররাজ অতীতের অনৈক্য ভুলে গিয়ে দেশকে শান্তি ও স্থিতিশীলতার দিকে এগিয়ে নিতে লিবীয়দের প্রতি সোমবার আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতিসঙ্ঘ জানায়, ত্রিপোলির ওপর হামলা শুরুর পর থেকে ২৮০ বেসামরিক নাগরিক ও প্রায় দুই হাজার যোদ্ধা নিহত হয়েছে। এছাড়া এসব হামলায় প্রায় এক লাখ ৪৬ হাজার লোক গৃহহীন হয়েছে। আঙ্কারা ও মস্কোর নেতৃত্বে কূটনৈতিক তৎপরতার পর এ চুক্তি স্বাক্ষর হচ্ছে। দেশ দু’টি লিবিয়ার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে তাদের নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছে।

২০১১ সালে আরব বসন্তের প্রভাবে বিক্ষোভ ও গৃহযুদ্ধে লিবিয়ার দীর্ঘকালীন শাসক মুয়াম্মার আল-গাদ্দাফির পদচ্যুতি ও নিহত হওয়ার পর দেশটি দু’পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়ে। জাতিসঙ্ঘ স্বীকৃত লিবিয়ার সরকার রাজধানী ত্রিপোলিসহ দেশটির পশ্চিমাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করতে থাকেন এবং বেনগাজিকে কেন্দ্র করে মিসর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমর্থিত বিদ্রোহী জেনারেল খলিফা হাফতারের বাহিনী দেশটির পূর্বাঞ্চলের দখল নেয়।

সূত্র : এএফপি ও আলজাজিরা


আরো সংবাদ



premium cement
জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনের সদস্যপদ সনদ ছিঁড়ে ফেলল ক্ষুব্ধ ইসরাইলি দূত ডোনাল্ড লুর ঢাকা সফর নিয়ে যে কারণে আগ্রহ আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৩০০ পুলিশী বাধায় জাগপার গণমিছিল পণ্ড গাজায় নজরদারির জন্য ২০০ গোয়েন্দা মিশন যুক্তরাজ্যের এমবিএসের প্রত্যাশিত পাকিস্তান সফর স্থগিত পুলিশ-সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার এমপি শাহজাহান জয়ের জিহ্বা কেটে নেয়ার হুমকি দিলেন জেলা আ’লীগ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মুক্তি ভোটের ফলে কোনো প্রভাব ফেলবে? টাইগারদের দৃষ্টি জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করার দিকে প্রবাসী স্বামীকে তালাক দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে তরুণীর অনশন

সকল