১৭ মে ২০২৪, ০৩ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫
`


স্থায়ী নাগরিকত্বের সুবিধা দিচ্ছে কাতার

স্থায়ী নাগরিকত্বের সুবিধা দিচ্ছে কাতার। ছবি - সংগৃহীত

মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম দেশ হিসেবে কাতার  বিদেশি নাগরিকদের নাগরিকত্বের সুবিধা দিতে যাচ্ছে। যারা নতুন নাগরিকত্ব লাভ করবেন তারা কাতারের স্থানীয় নাগরিকদের মতো বিভিন্ন ব্যবসায়িক ও নাগরিক সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

কাতারের আমীর শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানী মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি ডিক্রি জারী করেছেন। এর ফলে প্রতি বছর ১০০ প্রবাসীকে কাতারের নাগরিকত্ব দেয়া হবে। বিশ্বের সবেচেয়ে বেশি প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানীকারক দেশটির জন্য এটা বড় ধরণের উন্নয়নের ধাপ বলে মনে করা হচ্ছে।

নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যদি কোন বিদেশী দেশটিতে ২০ বছর বা তার বেশি অবস্থান করে থাকেন অথবা কোন বিদেশী নাগরিক দেশটিতে জন্ম গ্রহণের পর ১০ বছর অব্স্থান করেন তবে তিনি নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। নাগরিকত্বের জন্য আবেদনকারীকে অবশ্যই আরবি ভাষার উপর দক্ষতা থাকতে হবে এবং যথেষ্ট আয়ের প্রমাণ দেখাতে হবে।

আবার, কাতারের নাগরিকদের স্বামী বা স্ত্রী এবং যেসব কাতারের নারীরা বিদেশিদের বিয়ে করেছেন তাদের স্বামী ও সন্তানরা সয়ংক্রিয়ভাবেই দেশটির স্থায়ী নাগরিকত্ব লাভ করবেন।

কিন্তু যারা দেশের জন্য ‘গুরুত্বপূর্ণ সেবামূলক’ কোন কাজ করেছেন বা বিশেষ কোন ‘দক্ষতা’ রয়েছে তাদের নাগরিকত্ব লাভের জন্য উপরের নিয়মের দরকার হবে না।

স্থায়ী নাগরিকত্ব লাভকারীদের ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে স্থানীয়দের সাথে অংশীদারিত্ব ছাড়াই ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালাতে পারবেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নাগরিকত্বের আবেদন প্রক্রিয়াটি তত্ত্বাবধান করবে। স্থায়ী নাগরিকত্ব নির্দিষ্ট কোন কারণ বা ডিক্রি জারির মাধ্যমে বাতিল হয়ে যেতে পারে।

নাগরিকত্বের বিষয়টি উপসাগরিয় ৬টি দেশ খুবই সতর্কতার সাথে দেখে থাকে। কিন্তু সাম্প্রতিক কাতার জিসিসি থেকে বের হয়ে গেছে। নতুন এই পদক্ষেপ দেশটিতে অবস্থানরত বিদেশি কর্মজীবীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলবে ও তারা দেশটির জন্য অব্যহত কাজ করে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।   

 

আরো দেখুন : বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজনে কাতারের পাশে ইরান

২০২২ সালে কাতারে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপ ফুটবলের জন্য ইরানের গণমাধ্যমের সমর্থন চেয়েছে দোহা। ইরান সফররত কাতারি সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউসুফ ইব্রাহিম আল-মালিকি সম্প্রতি একথা বলেছেন।

ইউসুফ ইব্রাহিম আল-মালিকি বলেন, মুসলিম বিশ্বের মধ্যে কাতার সর্বপ্রথম ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে এবং এজন্য নিঃসন্দেহে ইরানের গণমাধ্যম বিশেষ করে রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনা ও অন্যান্য গণমাধ্যমের সহযোগিতা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে ইরানি গণমাধ্যম প্রকৃত সত্য তুলে ধরবে বলেও তিনি আশা করেন। বিশ্বকাপের মতো বড় ইভেন্টের আয়োজক দেশ হতে পেরে কাতার গর্বিত বলেও মন্তব্য করেন ইউসুফ ইব্রাহিম।


কাতারি সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, আগামী বিশ্বকাপের অনুষ্ঠানে মুসলিম দেশগুলোর ভালো প্রতিনিধি হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে পারবে কাতার। তিনি আশা করেন, অন্য মুসলিম দেশগুলোও এক সময় বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ হবে।  

এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় সংবাদ সংস্থা বা ওএএনএ’র ৪৬তম নির্বাহী বোর্ডের বৈঠকে যোগ দিতে কাতারের এ কর্মকর্তা তেহরান সফর করছেন। আগামীকাল তেহরানে এ বৈঠকে অনুষ্ঠিত হবে।

 

 

 

মাথাপিছু আয়ের দিক থেকে বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশের নাম আসলে প্রথমে যে নামটি আসে তা হলো আরব উপসাগরের ছোট্ট দেশ কাতার।


আরো সংবাদ



premium cement