০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বরকত-রুবেলসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ

বরকত-রুবেলসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ - ছবি : বাসস

অর্থ পাচারের মামলায় ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত।
এছাড়া ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিপুল ঘোষসহ পাঁচজনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। অপর দিকে পলাতক থাকায় ফরিদপুর পৌর মেয়র অমিতাভ বোসসহ ৩৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন সিআইডির দেয়া চার্জশিট গ্রহণ করেন।

এ মামলায় জামিনে রয়েছেন খন্দকার লেভী, ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ফাইন, খন্দকার মোহাতেশাম বাবর, আসিবুর রহমান ফারহান, কামরুল হাসান ডেভিড, আরিফুর রহমান দোলন ও তারিকুল ইসলাম নাসিম। এছাড়া জেল হাজতে রয়েছেন সাজ্জাদ হোসেন বরকত, মো: ইমতিয়াজ হাসান রুবেল ও এ এইচ এম ফুয়াদ। বাকি ৩৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

ঢাকা মহানগর আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

২ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে ২০২৩ সালের ২২ জুন এ চার্জশিট দাখিল করা হয়। পরে আদালত মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে, ২০২১ সালের ৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি) উত্তম কুমার সাহা ১০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর মামলাটি চার্জ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য ছিল। কিন্তু সেদিন মামলাটিতে কিছু অসঙ্গতি দেখতে পাওয়ায় আদালত সুয়ো মোটো (স্বতঃপ্রণোদিত) ভাবে সিআইডিকে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন।

মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের আপন ভাই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, তার এপিএস সত্যজিৎ মুখার্জী, ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমান ফারহান, এএইচএম ফুয়াদ, ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ওরফে ফাহিম, কামরুল হাসান ডেভিড, মুহাম্মদ আলি মিনার ও তারিকুল ইসলাম ওরফে নাসিম।

সম্পূরক চার্জশিটের নতুন আসামিরা হলেন নিশান মাহমুদ ওরফে শামীম, মো: বিল্লাল হোসেন, মো: সিদ্দিকুর রহমান ওরফে সিদ্দিক, মো: সাইফুল ইসলাম জীবন, অ্যাডভোকেট অনিমেশ রায়, শামসুল আলম চৌধুরী, দীপক কুমার মজুমদার, শেখ মাহতাব আলী, সত্যজিৎ মুখার্জি, মো: শহীদুল ইসলাম ওরফে মজনু, ফকির মো: বেলায়েত হোসেন, গোলাম মো: নাছিম, মো: জামাল আহমেদ ওরফে জামাল, বেলায়েত হোসেন মোল্লা, মো: আফজাল হোসেন খান ওরফে শিপলু, অমিতাব বোস, চৌধুরী মো: হাসান, মো: জাফর ইকবাল ওরফে হারুন মণ্ডল, বরকতের স্ত্রী আফরোজা আক্তার পারভীন, রুবেলের স্ত্রী সোহেলী ইমরুজ পুনুম, সাহেব সারোয়ার, আমজাদ হোসেন বাবু, স্বপন কুমার পাল, অ্যাডভোকেট জাহিদ বেপারী, খলিফা জামাল, হাফিজুল হোসেন তপন, রিয়াজ আহমেদ শান্ত, আনোয়ার হোসেন আবু ফকির, মো: মনিরুজ্জামান মামুন, মাহফুজুর রহমান, সুমন সাহা, মো: আব্দুল জলিল শেখ, মো: রফিক মণ্ডল, খন্দকার শাহীন আহমেদ ওরফে পান শাহীন, আফজাল হোসেন খান ও সাংবাদিক মোহাম্মাদ আরিফুর রহমান ওরফে দোলন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১০ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত ফরিদপুরের এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি বিভাগের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হন বরকত ও রুবেল। এছাড়া তারা মাদক কারবারি এবং ভূমি দখল করে অবৈধ সম্পদ করেছেন। এসি ও নন-এসিসহ ২৩টি বাস, ড্রাম ট্রাক, বোল্ডার ও পাজেরো গাড়ির মালিক হয়েছেন। সেই সাথে ২ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেন তারা।

এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়, প্রথম জীবনে দুই ভাই রাজবাড়ীর এক বিএনপি নেতার সঙ্গী ছিলেন। তখন তাদের সম্পদ বলতে কিছুই ছিল না। ১৯৯৪ সালের ২০ নভেম্বর ওই এলাকায় এক আইনজীবী খুন হন। ওই হত্যা মামলার আসামি ছিলেন বরকত ও রুবেল।

সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement