৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বৃষ্টির ডিএনএ রিপোর্ট থানায়

- ছবি - ইন্টারনেট

অভিশ্রুতি শাস্ত্রী হিসেবে পরিচিত সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুনের ডিএনএ নমুনার রিপোর্ট থানায় এসেছে।

আজ সোমবার সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকার রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া।

তিনি বলেন, বেইলি রোডের ঘটনায় নিহত বৃষ্টির ডিএনএ নমুনার রিপোর্ট এসেছে, তবে নাজমুলের রিপোর্ট এখনো আসেনি। তার রিপোর্ট আসতে আরো কয়েকদিন সময় লাগতে পারে বলে সিআইডি থেকে জানানো হয়েছে।

এদিকে রোববার (১০ মার্চ) রাতে বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডির) ফরেনসিক বিভাগের ডিআইজি একেএম নাহিদুল ইসলাম জানান, সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। বাবা সবুজ শেখ ওরফে সাবরুল আলম এবং মা বিউটি খাতুনের দেয়া ডিএনএ নমুনার সাথে তার ডিএনএ মিলেছে।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডে মারা যান অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি। তবে তার লাশ নিয়ে নানা জটিলতার কারণে হস্তান্তর করা হয়নি। পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা থাকায় ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। লাশ রাখা হয়েছে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট মর্গের ডিপ ফ্রিজারে। তবে আজ তার লাশ হস্তান্তর করা হতে পারে বলে জানা গেছে।

এদিকে মেয়ের মৃত্যুর খবরে ওইদিনই কুষ্টিয়া থেকে ছুটে ঢাকায় আসেন বৃষ্টি খাতুনের বাবা সবুজ শেখ। মেয়ের লাশ শনাক্ত করেন তিনি। তবে এরপরই বাধে বিপত্তি। সহকর্মী ও পরিচিতরা দাবি করেন নিহত তরুণীর নাম অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। তিনি সনাতন ধর্মের অনুসারী।

পরে পরিচয় নিশ্চিত হতে ১ মার্চ ওই সাংবাদিকের ফিঙ্গারপ্রিন্ট পরীক্ষা করা হয়। তাতে দেখা যায়, জাতীয় পরিচয়পত্রে তার নাম বৃষ্টি খাতুন। বাবার নাম সাবরুল আলম সবুজ আর মায়ের নাম বিউটি বেগম। এনআইডি অনুযায়ীও তার বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বনগ্রাম গ্রামে।

উল্লেখ্য, বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের বহুতল ভবনে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১১ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৭৫ জনকে।


আরো সংবাদ



premium cement