২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

সুপ্রিম কোর্ট বারের সাধারণ সদস্যদের তলবি সভায় নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা

ব্যারিস্টার এম আমির-উল ইসলামের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্ট বারের তলবি সভা। - ছবি : নয়া দিগন্ত

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে সমিতির সাধারণ সদস্যদের পক্ষ থেকে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বিশিষ্ট আইনজীবী ও সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ব্যারিস্টার এম আমির-উল ইসলামের সভাপতিত্বে এক তলবি সভা আহ্বান করে এই ঘোষণা দেয়া হয়।

সভায় ১৫-১৬ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট বারে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি উল্লেখ করে আগামী ১৪-১৫ জুন সমিতির নতুন এই নির্বাচনের তারিখ দেয়া হয়েছে।

তলবি সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, ১৫-১৬ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদকে আহ্বায়ক এবং আইনজীবী শাহ্ আহমেদ বাদলকে সদস্য সচিব করে সুপ্রিম কোর্ট বারে ১৪ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি সমিতির সংবিধান অনুযায়ী অপশন ফরম বিতরণ করে ১৫ মে’র মধ্যে নতুন ভোটার তালিকা প্রণয়ন করবে এবং ১৪ ও ১৫ জুন সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমির-উল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেকটা বারের সদস্যরা আজ প্রশ্ন তুলছে, আজ সুপ্রিম কোর্ট বারের এ অবস্থাটা কি করে হলো। সুপ্রিম কোর্ট বারের দীর্ঘদিনের যে ঐতিহ্য, তাতে কলঙ্ক লেপন করা হয়েছে। এই কলঙ্ক মুছে যাবে না। সেই এই কলঙ্ক মোছার কাজটা অতিসত্বর করা প্রয়োজন বলে কি আপনারা সবাই কি মনে করেন না? দ্বিতীয় হচ্ছে আমাদের ডিগ্নিটি অব দি লইয়ার ইমপর্টান্ট ফ্যাক্টর। এই ডিগনিটি সমিতির সবার জন্য আমাদের রক্ষা করতে হবে। এবং যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে আগামী নির্বাচনে আমি আশা করি সেই সঙ্কট অতিক্রম করে আমরা একটি স্বাধীন বার অ্যাসোসিয়েশন করব।’

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির এক নম্বর হল রুমে সুপ্রিম কোর্ট বার সমিতির সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৭(৩)(এ) অনুযায়ী সদস্যদের তলবী সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমির-উল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় সমিতির সাবেক সভাপতি, সম্পাদক, সিনিয়র আইনজীবীসহ কয়েক শ’ আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তব্য রাখেন তলবী সভা আহ্বানকারী সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদ।

সভায় সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন, সাবেক সম্পাদক আলহাজ গিয়াস উদ্দিন আহমেদসহ কয়েক শ’ আইনজীবী অংশ নেন।

সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, প্রধান বিচারপতির সাথে যোগাযোগ করে বারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ বারের রুটিন কার্যক্রম পরিচালনা করবে অন্তবর্তীকালীন কমিটি। ১ এপ্রিল থেকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত বারের সকল কর্মকর্তা–কর্মচারী তথা বারের অফিস অন্তবর্তীকালীন কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

তলবি সভায় গঠিত ১৪ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন কমিটির সদস্যরা হলেন- সিনিয়র আইনজীবী গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, এ কে এম জগলুল হায়দার আফ্রিক, মো: নজরুল ইসলাম, ড. রফিকুল ইসলাম মেহেদী, ড. এম খালেদ আহমেদ, তৈমূর আলম খন্দকার, এস এম খালেকুজ্জামান, মির্জা আল মাহমুদ, মো: সাইফুর রহমান, ব্যারিস্টার সরওয়ার হোসেন, ড. শামসুল আলম ও এস এম জুলফিকার আলী জুনু।

এছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির উপদেষ্টা কমিটিতে রাখা হয়েছে, সংবিধান প্রণেতা ও প্রবীণ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার এম আমির-উল ইসলাম, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, এফ এম হাসান আরিফ, জয়নুল আবেদীন, বিচারপতি হাবিবুর রহমান ভূইয়া, এ জে মোহাম্মদ আলী, এম কে রহমান ও আবু সাইদ সাগরকে।

সভায় সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদ রেজুলেশন পাঠ করেন এবং এই রেজুলেশন সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন হয়।

রেজুলেশেনে বলা হয়েছে, তলবি সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, সুপ্রিম কোর্ট বার অফিস সভাপতি মো: মোমতাজ উদ্দিন ফকির ও সেক্রেটারি আবদুন নুর দুলালের আদেশে কাজ করবে না। ১ এপ্রিল থেকে সমিতির অফিস শুধুমাত্র অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের আদেশে পরিচালিত হবে। অ্যাডহক কমিটি শুধুমাত্র সমিতির রুটিন কাজগুলো করবে।


আরো সংবাদ



premium cement