২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বাবুল আক্তারকে কেন জামিন নয়, জানতে চান হাইকোর্ট

- ছবি - সংগৃহীত

স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলার ঘটনায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সোমবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি কাজী ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

২০২১ সালের ১২ মে পাঁচলাইশ থানায় এ মামলা করেন মিতুর বাবা।

ওই দিন পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া জানান, দণ্ডবিধির ৩০২, ১০৯ ও ৩৪ ধারায় বাবুল আক্তারসহ আট জনকে আসামি করে দায়ের করা মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কবিরুল ইসলামকে এ মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন মো. কামরুল ইসলাম সিকদার ওরফে মুসা (৪০), এহতেশামুল হক ওরফে ভোলাইয়া (৪১), মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম (২৭), মো. আনোয়ার হোসেন (২৮), মো. খায়রুল ইসলাম প্রকাশ কালু (২৮), সাইদুল ইসলাম প্রকাশ সাকু (৪৫) ও শাহজাহান মিয়া (২৮)। তাদের মধ্যে সাইদুল ও শাহজাহান পলাতক।

বাবুল আক্তারের শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন মামলা দায়ের শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে মিতুকে হত্যা করা হয়েছে। তাই বাবুল আক্তারসহ আট জনকে আসামি করে মামলা করেছি। বাবুল আক্তারের সঙ্গে এক এনজিও কর্মীর পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় আমার মেয়ের সঙ্গে বাবুলের ঝগড়া হয়। মৃত্যুর আগে মিতু বিষয়টি আমাদের জানিয়েছিল। পারিবারিকভাবে বিষয়টি সমাধানেরও চেষ্টা করেছি। কিন্তু পারিনি। বাবুল ও ওই নারী মিতুকে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছিল।’

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয় মিতুকে। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। কিন্তু মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন দাবি করে আসছিলেন, বাবুল আক্তারের পরিকল্পনায় ও নির্দেশে তার মেয়ে মিতুকে খুন করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement