২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন : রিমান্ড শেষে কারাগারে দেলোয়ার

গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন : রিমান্ড শেষে কারাগারে দেলোয়ার - ছবি : সংগৃহীত

নোয়াখালীতে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় মূলহোতা দেলোয়ার হোসেনকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ধর্ষণ মামলায় পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করার পর এ আদেশ দিয়েছেন বিচারক মাশফিকুল হক।

আদেশের আগে মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে তাকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে তাকে জেলা কারাগারে নিয়ে যায় পুলিশ।

এর আগে আরো দুটি মামলায় দুই দিনের রিমান্ডসহ মোট তিন মামলায় সাত দিনের রিমান্ড শেষে জেল হাজতে পাঠান আদালত। এ মামলায় আটজন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেও মামলার মূলহোতা দেলোয়ার জবানবন্দি দেননি।

গত ১৮ অক্টোবর দেলোয়ারকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাইলে আদালত ধর্ষণ মামলায় পাঁচ দিন ও অপর দুটি মামলায় দুই দিনসহ মোট সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

নোয়াখালী জেলা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট গুলজার আহমেদ জুয়েল সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষণসহ তিন মামলায় দেলোয়ারকে পাঁচ দিন ও আগে দুটি মামলায় দুই দিনসহ মোট সাত দিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার জেলা কারাগারে পাঠান আদালত। এ নিয়ে বেগমগঞ্জের একলাশপুরের আলোচিত মামলায় ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এতে আটজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

গত ৫ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ তাকে আটক করে র‌্যাব। পরদিন দেলোয়ারের মাছের ঘের থেকে হাতবোমা উদ্ধার করে র‌্যাব। এরপর তার বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করে র‌্যাব।

উল্লেখ্য, উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকার নূর ইসলাম মিয়ার মেয়ের স্বামীর সাথে মনমালিন্য ছিলো দীর্ঘদিন। স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করায় তিনি বাবার বাড়িতে চলে আসেন। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জননী। এক মেয়েকে বিয়ে দেন অপর ছেলে একলাশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীরছাত্র। একাকিত্বের সুযোগে স্থানীয় বাদল ও দেলোয়ারের নেতৃত্বে এলাকার, রহিম, কালাম ও তাদের সহযোগীরা ওই নারীকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল।

একপর্যায়ে গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে ওই গৃহবধূর স্বামী শশুর বাড়িতে আসেন। তারা ঘরে অবস্থান করার সময় স্বামীসহ গৃহবধূকে আটক করে অভিযুক্তরা ব্যাপক নির্যাতন চালায়। তারা স্বামীকে বেঁধে রেখে অবৈধ সম্পর্কের কথা বলে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করে। এ সময় তার বিবস্ত্র নির্যাতনের নগ্ন ভিডিও ধারণ করে নির্যাতনকারীরা। তার পর থেকে পুরো পরিবারকে অবরুদ্ধ করে তারা। একপর্যায়ে নির্যাতিতাকে বাড়ি ঘর ছাড়তে বাধ্য করে। ঘটনার ৩২ দিন পর ৪ অক্টোবর রোববার ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিবস্ত্র নির্যাতনের আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হলে সর্বত্র তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বেগমগঞ্জ থানায় তিনটি পৃথক মামলা দায়ের করেন।


আরো সংবাদ



premium cement