০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`


হত্যা মামলায় ৭ দিনের রিমাণ্ডে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া

- ছবি : সংগৃহীত

ঢাকার খিলগাঁও থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। খালেদকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদনসহ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার (এসপি) মিনা মাহামুদা।

শুনানি শেষে মামলার নথি পর্যালোচনা করে ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম আসামিকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে উপরোক্ত মর্মে রিমান্ডের মঞ্জুর করেন।

তদন্ত কর্মকর্তার রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করা হয়, এ আসামি ও তার অন্য সহযোগীদের পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক রাজধানীর খিলগাঁও থানাধীন আনোয়ার হোসেনের বাড়ির গেটের সামনে ২০১৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা ৩০ মিনিটে ইসরাইল হোসেন ও শরীফ হোসেন সায়মনকে গুলি করে ৩৮ লাখ টাকা ছিনতাই করা হয়। ঘটনাস্থলেই শরীফ হোসেন সায়মন মারা যান এবং ইসরাইল হোসেন গুরুতর আহত অবস্থায় পুঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি হন।

২০১৬ সালের ১ এপ্রিল মারা যান ইসরাইল হোসেন। এ আসামি ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে একাধিক সূত্রে জানা যায়। তাই এ আসামিকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোসহ হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটন এবং জড়িত অন্য আসামিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ ও গ্রেপ্তারের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড হওয়া প্রয়োজন।

রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বলা হয়, ইসরাইল হোসেন ও শরীফ হোসেন সায়মন ছিলেন রাজধানী মানি এক্সচেঞ্জের মালিক। ২০১৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর তারা মানি এক্সচেঞ্জের ৩৮ লাখ টাকা নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন। বাসার গেটের সামনে আসার পরই তিন/চারজন ব্যক্তি তাদের উদ্দেশ্যে গুলি ছুঁড়ে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পলিয়ে যায়।

গুলিতে শরীফ হোসেন সায়মন ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং ইসরাইল হোসেন গুরুতর অবস্থায় পরপবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মামলাটিতে এর আগে তিনজন আসামি গ্রেফতার হয়। ওই তিনজনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে আদালতে চার্জশিটও দাখিল হয়। কিন্তু আদালত তদন্ত অসম্পূর্ণ হওয়ায় পিবিআইর কাছে অধিকতর তদন্তের জন্য পাঠায়। অধিকতর তদন্তে খালেদ মাহমুদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ড চাওয়া যায়।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকার গুলশানের বাসা থেকে খালেদ মাহমুদকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে গুলশান ও মতিঝিল থানায় খালেদের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করা হয়। গুলশান থানায় অস্ত্র, মাদক ও অর্থপাচার আইনে পৃথক তিনটি মামলা এবং মতিঝিল থানায় মাদক আইনে আরেকটি মামলা করা হয়।
মামলাগুলোয় বিভিন্ন মেয়াদে এ আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সর্বশেষ গত ৭ অক্টোবর মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় চার দিন এবং মাদক আইনের মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। রিমান্ড শেষে বুধবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়।

একই সঙ্গে পিবিআই হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদনসহ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। গুলশান থানার অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর এ আসামির পাঁচ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement