১৯ মে ২০২৪, ০৫ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫
`


আবারার হত্যা মামলায় দুই আসামির আরো ৩দিন রিমান্ড

আবারার হত্যা মামলায় দুই আসামির আরো ৩দিন রিমান্ড - ছবি : নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আরও দুই আসামিকে আবার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন। রিমান্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন অমিত সাহা ও খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর। কারাগারে আছেন হোসেন মোহাম্মদ তোহা।

আসামি অমিত সাহা ও খন্দকার তাবাখখারুল ইসলামকে আদালতে হাজির করে পুনরায় সাত দিন রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। আদালতকে পুলিশ প্রতিবেদন দিয়ে বলেছে, বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছেন আসামিরা। বুয়েটের শেরেবাংলা হলের যে ২০১১ নম্বর কক্ষে ফেলে নির্যাতন করা হয়, সেই কক্ষ অমিত সাহার। আবরার হত্যাকাণ্ডের সাথে আসামিরা জড়িত। ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটনের জন্য আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।

আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে অমিত ও তাবাখখারুলের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। অন্যদিকে, পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হোসেন মোহাম্মদ তোহাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আবরার ফাহাদ বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল (ত্রিপলি) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭ তম ব্যাচ) ছাত্র ছিলেন। তিনি থাকতেন বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলায় ১০১১ নম্বর কক্ষে। ৬ অক্টোবর তাকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহত আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। আবরার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ইতিমধ্যে বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক অনিক সরকারসহ ছয়জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে আসামি ইফতি মোশাররফ বলেছেন, আবরারের ডিভাইসগুলো তাঁরা যখন চেক করছিলেন, তখন মেহেদী হাসান এবং বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক মো. মেফতাহুল ইসলাম ওরফে জিয়ন কক্ষে আসেন। মেহেদী তাঁদের বুয়েটে কারা কারা শিবির করে, তা আবরারের কাছ থেকে বের করার জন্য নির্দেশ দেন। এ সময় মেহেদী বেশ কয়েকটি চড় মারেন আবরারকে।

জবানবন্দিতে ইফতি মোশাররফ আদালতকে আরও বলেন, অনিক সরকার স্ট্যাম্প দিয়ে আবরারের হাঁটু, পা, পায়ের তালু ও বাহুতে মারতে থাকেন। এতে আবরার উল্টাপাল্টা কিছু নাম বলতে শুরু করেন। তখন মেফতাহুল আবরারকে চড় মারেন এবং স্ট্যাম্প দিয়ে হাঁটুতে বাড়ি দেন।


আরো সংবাদ



premium cement
কালশীতে পুলিশ বক্সে আগুন অটোরিকশা চালকদের ২১ কেজির ভোল মাছ সাড়ে ৩ লাখে বিক্রি ভিন্নভাবে গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদ জানালো অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কটিয়াদীতে চেয়ারম্যান পদে ৪ প্রবীণ ২ নবীনের লড়াই কোহলির পাকিস্তান সফরের আগ্রহে মুগ্ধ আফ্রিদি আশুগঞ্জে ৬৯৮ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার ২, মাইক্রোবাস জব্দ মোস্তাফিজকে মিস করে যা বললেন প্লে-অফে উঠতে ব্যর্থ চেন্নাইয়ের অধিনায়ক উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন মৌসুম শেষে সেভিয়া ছাড়ছেন কোচ কিকে সানচেজ ৪২ বছর পর স্বজনদের সাথে সাক্ষাতের মাধ্যমে জানতে পারলেন তিনি মুসলিম, অতঃপর...! নুসিরাতে ইসরাইলি হামলায় ২০ জন নিহত

সকল