০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


নয়াপল্টন এর ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের কারাগারে প্রেরণ

-

নয়াপল্টন এর ঘটনায় ৩ মামলায় গ্রেফতারকৃত ২৭ জনকে জামিন আবেদন নাকচ কারাগারে প্রেরণ এবং ৩ কার্য দিবসের জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। নির্বাচন বাঞ্চাল ও দেশে অস্থিতিশীল, নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে দাঙ্গা-হাঙ্গামাসহ পুলিশকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে আঘাত ইট পাটকেল নিক্ষেপ করার অভিযোগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পৃথক ৩ মামলায় ২৭ জনকে ঢাকার সি.এম.এম আদালতে হাজির করে ৭ দিন করে মোট ২১ দিনের রিমান্ড চায়। অপরদিকে আসামীপক্ষ রিমান্ড বাতিল করে জামিন দেওয়ার জন্য আবেদন করে। ঢাকার মহানগর হাকিম সরফুজ্জামান আনসারী রাষ্ট্র ও আসামীপক্ষের বক্তব্য শুনে জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাগনকে ৩ দিন কার্য দিবসের মধ্যে জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

যাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে: রকিব আল মান্নান, সাইফুল আলম গজনবী চয়ন, মোঃ মোকশেদ আলম জুয়েল, ফরিদ হোসেন বাবু, জাহিদুল ইসলাম মামুন, মোঃ রুবেল বেপারী, ইকবাল কবীর, মোঃ আসাদুজ্জামান লিপু, মোঃ ইকবাল হোসেন স্বপন, মোঃ জিরানী তালুকদার, মোঃ লিটন মজুমদার, মোঃ সোহাগ এরা ১২ জন পল্টন থানার ২৩ নম্বর মামলার। পল্টন মডেল থানার মামলা নম্বর ২২ এর আসামীরা হলেন: হারুন উর রশী, বাহারুল আলম বাহার, মোঃ আলমগীর হোসেন, ডাক্তার মোঃ নিজাম উদ্দিন, হোসেন আহমেদ, তারিকুল ইসলাম, মোঃ আরিফুজ্জামান, মোঃ খায়রুল কবীর কাজল। পল্টন মডেল থানার মামলা নং-২১ এর মামলার আসামী হলেন: মোঃ আনিসুর জ্জামান বাবু, কেন্দ্রীয় কমিটি বিএনপি, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মুসা আহমেদ, আবু বক্কর সিদ্দিক, এস. এম নাজমুল হোসেন, মাসুদ রানা, কে. এম তারিকুল ইসলাম আরিফ, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন।

আসামীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, মোঃ মহসিন মিয়া, নিহার হোসেন ফারুকসহ বেশ কিছু আইনজীবী। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন-ঢাকা মহানগর পি.পি আব্দুল্লাহ আবু।

আইনজীবীগন আদালতে বলেন, গত ১৪ নভেম্বর তারিখে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীগন মনোনয়ন সংগ্রহ করতে আসে। কে কারা অতর্কিতভাবে বি.এন.পি’র নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে। পুলিশ তাদেরকে খুজে বের না করে বিএনপি’র লোকজনকে গ্রেফতার করে। যেহেতু গ্রেফতারকৃতরা এই সমস্ত ঘটনার সাথে জড়িত নয়। সে কারণে তাদেরকে রিমান্ড না দিয়ে জামিন দেওয়া প্রয়োজন। কারণ হিসাবে আইনজীবীরা আরো উল্লেখ করেন। বিএনপিসহ ঐক্যফন্ট জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে সুষ্ঠু পরিবেশ যাতে নষ্ট না হয় তার ধারাবাহিতকতা রক্ষা করা সবার দায়িত্ব।

রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বলা হয়, আসামীগণ গত ১৪ নভেম্বর তারিখে বিএনপি’র কার্যালয়ে ও তার আশে পাশের এলাকায় আইন শৃংখলা বাহিনী নিরাপত্তার লক্ষ্যে উপস্থিত ছিল। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ এর নিরাপত্তা রক্ষার্থে পুলিশ বাহিনী মোতায়ন করা হয়। উল্লেখিত আসামীরা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাঞ্চাল ও দেশের অস্থিতিশীল, নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য অসৎ উদ্দেশ্যে মারাত্মক অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত রাস্তায় দাঙ্গা করে পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। সেজন্য তাদেরকে পৃথক ৩ মামলায় ৭ দিন করে মোট ২১ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। আসামীরা কার মদদে এই ধরনের কাজ করেছে। তাদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ ও গ্রেফতারের জন্য রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

এদিকে এই ৩ মামলায় আসামী মানিক সরকারসহ ৯ জনকে ১০ দিনের রিমান্ড, অপর মামলায় আবুল কালামসহ ১৫ জনকে ১০ দিনের রিমান্ড এবং অন্য মামলায় মনজ সরকার সহ ১৪ জনকে ১০ দিনের রিমান্ড। এই নিয়ে ৩ মামলায় ৩০ দিনের রিমান্ড চায় তদন্তকারী কর্মকর্তাগণ। এ ব্যাপারে ঢাকার মহানগর পি.পি আব্দুল্লাহর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা শুনানী করেছি আদালত পরে আদেশ দিবেন।


আরো সংবাদ



premium cement
সুন্দরবনে আগুনের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল যোগাযোগ ৪ ঘণ্টা বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা মধুখালীতে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু ইসরাইলের রাফাহ অভিযান মোকাবেলায় প্রস্তুতি সম্পর্কে যা জানালো হামাস নিজ্জর হত্যার কানাডায় গ্রেফতার ৩ ভারতীয় যুবকের পরিবার কী বলছে? গাজীপুরে পল্লী বিদ্যুতের সাবস্টেশনে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সখীপুরে স্কুল খোলা থাকলেও নেই শিক্ষার্থী, প্রধান শিক্ষকের রুমে তালা বিজয়ের সেঞ্চুরিতে ডিপিএলে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন আবাহনী বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নয়, মা গলা টিপে হত্যা করেন শিশু মাইশাকে গরমে ঢাকার হাসপাতালে রোগীর অতিরিক্ত চাপ, শিশু ওয়ার্ডে আসন সঙ্কট প্রকট এ জে মোহাম্মদ আলীর রূহের মাহফিরাত কামনায় সুপ্রিম কোর্টে দোয়া

সকল