০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`


অর্থের বিনিময়ে জেল খাটা

বিচারক-আইনজীবী-জেলারের কাছে ব্যাখ্যা তলব হাইকোর্টের

-

উত্তরায় যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসানের মাদক মামলায় সাত বছরের জেল খাটার পরিবর্তে অর্থের বিনিময়ে মিরাজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির জেল খাটার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বিচারক, আইনজীবী ও কারা কর্মকর্তার কাছে ব্যাখ্যা তলব করেছেন হাইকোর্ট।
গতকাল বিচারপতি মো: আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
জালিয়াতির বিষয়ে নজরে এনে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। আসামি পক্ষে যারা আইনজীবী ছিলেন তারা নাম প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন।
জানা যায়, ২০২০ সালের আগস্ট মাসে উত্তরার একটি বাসায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ আনোয়ার হোসেন নামে একজনকে আটক করে। তবে পালিয়ে যান চক্রের মূল হোতা যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসান। এ ঘটনায় দুইজনকে আসামি করে মামলা করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। বিচারে অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় পলাতক নাজমুল হাসানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন নিম্ন আদালত।
নাজমুল রাজধানীর উত্তরার ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের নেতা; কিন্তু এ পরিচয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করে যিনি জেল খেটেছেন তার প্রকৃত নাম মিরাজুল ইসলাম। এর মধ্যে সাত বছরের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। ওই আপিল শুনানির শেষ পর্যায়ে বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ চেয়ে বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তখন আদালতে আবেদন জানালে ১৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন। এ অবস্থায় নি¤œ আদালতের এক আইনজীবী বিষয়টি প্রধান বিচারপতির নজরে আনেন। প্রধান বিচারপতি আপিল নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি মো: আশরাফুল কামালের বেঞ্চে পাঠান।

শুনানিতে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী স্পষ্ট প্রকৃত ব্যক্তির পরিবর্তে অন্য একজন জেলে গিয়ে জামিনের পরে আপিল দায়ের করে, যার মাধ্যমে প্রকৃত আসামি ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, শুনানি সময় আপিলকারী পক্ষের নিয়োজিত আইনজীবী সিনিয়র অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান ও রমজান খান মামলা হতে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করার আবেদন জানান। আদালত শুনানি শেষে কয়েকটি আদেশ দিয়েছেন। এক. ২০২৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর আসামি আত্মসমর্পণ করাকালীন তার প্রকৃত পরিচয় কিভাবে শনাক্ত করা হয়েছিল সে বিষয়ে অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ঢাকার বিচারক মো: মোরশেদ আলমকে সাত কার্য দিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জবাব দিতে বলেছেন।
দুই. নি¤œ আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও আরিফুল ইসলামকে আগামী সাত কার্য দিবসের মধ্যে ঘটনার বিষয়ে তাদের বক্তব্য হলফনাম আকারে আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
তিন. কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার আসামিকে কী প্রক্রিয়ায় গ্রহণ করেছেন তার প্রমাণপত্রসহ হলফনামা সহকারে লিখিত জবাব আগামী সাতকার্য দিবসের মধ্যে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
চার. ডেপুটি জেলার সৈয়দ হাসান আলী কেরানীগঞ্জ ঢাকাকে, আসামির স্বাক্ষর কিভাবে সত্যায়িত করেছেন তা হলফনামা আকারে সাত কার্য দিবসের মধ্যে আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
পাঁচ. সাজাপ্রাপ্ত আসামি নাজমুল হাসানকে গণমাধ্যমে প্রকাশিত অভিযোগের বিষয়ে লিখিত বক্তব্য তার আইনজীবী রমজান খানের মাধ্যমে সাত কার্য দিবসের মধ্যে আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত মামলাটি পরবর্তী শুনানির জন্য ৭ মে নির্ধারণ করেছেন।


আরো সংবাদ



premium cement
নোয়াখালীতে সিএনজি-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৩ কোভিড ভ্যাকসিনে মস্তিষ্কে ক্ষতি, মামলা জয়ে এগিয়ে ভুক্তভোগী যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান করলে হামাসকে বহিষ্কার : যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি বুমেরাং হতে পারে গাজায় ইসরাইলি গণহত্যার বিরুদ্ধে রাজধানীতে শিবিরের বিক্ষোভ রাফাহ আক্রমণের ক্ষয়ক্ষতি হবে ‘গ্রহণযোগ্যতার বাইরে’ : এন্টনি ব্লিঙ্কেন ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধস ও বন্যায় ১৫ জনের প্রাণহানি ব্রাজিলে ভয়াবহ বন্যায় প্রাণহানি ৩৯, নিখোঁজ অর্ধশতাধিক পুরোপুরি দুর্ভিক্ষের কবলে উত্তর গাজা : জাতিসঙ্ঘ দেশের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হতে পারে সরকার পতনের লক্ষ্যে বিরোধী দলগুলো একজোট : ড. মঈন খান ডিএমপির অভিযানে গ্রেফতার ২৬

সকল