১৯ মে ২০২৪, ০৫ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫
`


কুমিল্লায় প্রবাসীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীসহ চারজনের মৃত্যুদণ্ড

-

কুমিল্লার হোমনায় পরকীয়ার জেরে সৌদি প্রবাসী মো: আবদুল জলিলকে হত্যার দায়ে স্ত্রী শাহনেওয়াজ বেগমসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে খালাস দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। গতকাল কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মো: জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন। রায় ঘোষণাকালে খালাসপ্রাপ্ত আসামি মো: শাহজাহান আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি অনুপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিরা হলেন- কুমিল্লার হোমনা উপজেলার কারার কান্দি গ্রামের মরহুম ইউসুফ মিয়ার ছেলে মো: কুদ্দুস মিয়া (৩২), একই উপজেলার মঙ্গলকান্দি গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে মাইক্রোবাস চালক আবদুল খালেক (২৮), একই উপজেলার কারার কান্দি গ্রামের মৃত সাধন মিয়ার ছেলে মো: রাজিব (২৬) এবং নিহতের স্ত্রী মোসা: শাহনেওয়াজ বেগম। বেকসুর খালাস পাওয়া আসামি হলেন হোমনা উপজেলার গোয়ারী ভাঙ্গা গ্রামের মৃত আক্কাস আলীর ছেলে হোমনা কাঁচাবাজার পাইপ ফিল্টার টিউবওয়েল ব্যবসায়ী মো: শাহজাহান (৪২)।

মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামি মো: শাহজাহানের সাথে নিহতের স্ত্রী শাহনেওয়াজ বেগমের পরকীয়া প্রেম ছিল। এর জেরে আসামিরা সৌদি প্রবাসী মো: আবদুল জলিলকে (৪৫) ঢাকায় চিকিৎসা করানোর কথা বলে নিয়ে যায়। ২০১৩ সালের ৯ জুন থেকে ১০ জুন হোমনা উপজেলার বাহেরখোলা গ্রামের কেরার মাজার সংলগ্ন স্থানে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। বাদি তার বড় ভাই জলিলের লাশ শনাক্ত করেন।
নিহতের ছোট ভাই হোমনা উপজেলার চেৎপুর গ্রামের মৃত সুলতান মিয়ার ছেলে মো: তাইজুল ইসলাম (৩৫) বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হোমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো: আব্দুল আল বাকী তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি কুদ্দুছ, আ: খালেক, রাজিব ও মূল পরিকল্পনাকারী নিহতে স্ত্রী শাহনেওয়াজকে গ্রেফতার করেন। ২০১৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আসামি রাজিব, শাহনেওয়াজ ও আ: খালেকের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী পর্যালোচনাক্রমে আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে রায় দেন আদালত।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল