২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বৃষ্টিতে স্বস্তি, চট্টগ্রামজুড়ে আউশ রোপণে কৃষকদের ব্যস্ততা

বৃষ্টিতে স্বস্তি, চট্টগ্রামজুড়ে আউশ রোপণে কৃষকদের ব্যস্ততা -


দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে কৃষকের মধ্যেও স্বস্তি ফিরেছে। এখন চলছে চট্টগ্রামজুড়ে (চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর) কৃষকদের আউশ রোপণের ব্যস্ততা। সরকারিভাবে বিনামূল্যে কৃষি প্রণোদনার পাশাপাশি শাকসবজি ও ধানের মূল্য বেশি পাওয়ায় শাকসবজি চাষের পরিধি যেমন বাড়ছে তেমনি ধান চাষেও কৃষকের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সাথে ধান চাষের পরিধি বাড়ছে। ফলে এবার শুধু আউশেই গতবারের তুলনায় ২৫ হাজার ১০২ হেক্টর জমিতে চাষের পরিধি বৃদ্ধি পেয়েছে। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৩৫৪ হেক্টরে দাঁড়িয়েছে।
গত মৌসুমে আউশ চাষ হয়েছিল ১ লাখ ১২ হাজার ৯৩৩ হেক্টর জমিতে। আর ধান উৎপাদন হয়েছিল ২ লাখ ৯৭ হাজার ৯৮৫ মেট্রিক টন। প্রতি হেক্টরে গড়ে উৎপাদন হয়েছে ২.৬৪ মেট্রিক টন। এবার ৬৫ হাজার ২৬৫ দশমিক দুই মেট্রিক টন ধান উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে ৩ লাখ ৬৩ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন উৎপাদন ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক ড. অরবিন্দ কুমার রায়।
গত মৌসুমে চট্টগ্রাম জেলায় ৩৪ হাজার ১৯৭ হেক্টর জমিতে ৯৬ হাজার ১৫১ মেট্রিক টন আউশ উৎপাদন হয়েছে। কক্সবাজারে ৩ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে ১০ হাজার ৩৬৬ মেট্রিক টন, নোয়াখালীতে ৩৮ হাজার ৯৯০ হেক্টর জমিতে ৮৯ হাজার ৮৪৪ মেট্রিক টন। এখানে গড়ে উৎপাদন হয়েছে প্রতি হেক্টরে ২.৩ মেট্রিক টন। চট্টগ্রামে গড়ে প্রতি হেক্টরে ২.৮১ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হওয়ায় নোয়াখালী জেলার চেয়ে চট্টগ্রাম জেলায় আউশ ধানের জমির পরিমাণ কম হলেও উৎপাদন বেশি হয়েছে। এ ছাড়া ফেনী জেলায় ৮ হাজার ৩৮০ হেক্টর জমিতে উৎপাদন হয়েছে ২১ হাজার ৮৬৯ মেট্রিক টন এবং লক্ষ্মীপুর জেলায় ২৭ হাজার ৮১৬ হেক্টর জমিতে ৭৯ হাজার ৭৫৫ মেট্রিক টন। লক্ষ্মীপুর জেলায় প্রতি হেক্টরে গড়ে উৎপাদন হয়েছে ২.৮৭ মেট্রিক টন। এ জেলায় চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার চেয়ে উৎপাদন বেশি হয়েছে।

অপর দিকে চলতি মৌসুমে চট্টগ্রামে আউশ উৎপাদনে জমি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ হাজার ২৩৪ হেক্টর, কক্সবাজারে ৪ হাজার ২৯৭ হেক্টর, নোয়াখালীতে ৪৭ হাজার ৮৯ হেক্টর, ফেনীতে ১০.৮১০ হেক্টর ও লক্ষ্মীপুর জেলায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ হাজার ৬০৫ হেক্টর।
পটিয়া কৃষি অফিসার কল্পনা রহমান বলেন, চলতি মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে অশান্তি দেখা গেলেও কয়েক দিন ধরে বৃষ্টিপাত হওয়ায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। সে কারণে উপজেলার চাষিরা চারা উত্তোলন ও রোপণের কাজে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। তিনি বলেন, পটিয়া উপজেলায় এ পর্যন্ত ৩০ ভাগ জমিতে আউশ রোপণ শেষ হয়েছে।
চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক ড. অরবিন্দ কুমার রায়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি নয়া দিগন্তকে বলেন, কৃষকের মধ্যে সরকারিভাবে বিনা মূল্যে কৃষি প্রণোদনা দেয়া হয়। এ ছাড়া উপজেলা পর্যায়ে কৃষি অফিসারদের মাধ্যমে কৃষকদেরকে চাষাবাদে আধুনিক কলাকৌশল ও পরামর্শ দেয়া অব্যাহত থাকায় শাকসবজি ও ধান চাষের প্রতি কৃষকের আগ্রহ যেমন বাড়ছে তেমনি চাষের পরিধিও বাড়ছে।
তিনি আরো বলেন, কয়েক দিন ধরে বৃষ্টিপাত হওয়ায় কৃষকরা এখন আউশ রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তিনি জানান, গত শুক্রবার পর্যন্ত ৩৫ ভাগ জমিতে আউশ রোপণ সম্পন্ন হয়েছে এবং এ বছর আউশ উৎপাদানের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা করছেন তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement
‘ফ্রি ভিসার গল্প’ আর শূন্য হাতে ফেরা লাখো শ্রমিক নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের আশুলিয়ায় বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা ফেরত গেলেন, কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট কি আরো জটিল হচ্ছে দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চালক-হেলপার নিহত মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

সকল