২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিএনপির কারণেই মার্কিন ভিসানীতি : তথ্যমন্ত্রী

-


বিএনপির নেতিবাচক ধ্বংসাত্মক অপরাজনীতির কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছে বলে মনে করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, নতুন মার্কিন ভিসানীতি ঘোষণার পর বিএনপির অন্তর্জ্বালা শুরু হয়েছে। কারণ তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি নাকচ করেছে এবং অন্য কোনো দেশের সমর্থনও পায়নি। ফলে তাদের পক্ষে আগের মতো ‘নির্বাচন প্রতিহত করব, বর্জন করব’ এগুলো বলার সুযোগ নাই। যে কারণে এখন ফখরুল সাহেব একটু হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে একেক সময় একেক কথা বলছেন, বিভিন্ন কথা বলে আত্মতুষ্টি লাভের চেষ্টা করছেন।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘আওয়ামী লীগ সরকারের কারণেই নতুন মার্কিন ভিসানীতি’ এমন বক্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সব কথার শেষ কথা হচ্ছে তাদেরকে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। নির্বাচন প্রতিহত করার রাজনীতি তাদের পক্ষে আর করা সম্ভবপর নয়। তাই তাদেরকে অনুরোধ জানাব, দেশে গণ্ডগোল করার পরিকল্পনা না করে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।
বিএনপি এবং জামায়াত আবার এক হচ্ছে, জামায়াত ১০ জুন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে- সাংবাদিকরা এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত তো সবসময় এক আছে। তারা কোনো সময় বিচ্ছিন্ন হয় নাই, মাঝে মধ্যে মৌনতা অবলম্বন করে।

নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা দেশে গণ্ডগোল করার চেষ্টা করবে। সেই গণ্ডগোল করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই তারা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সামনে অবস্থান কর্মসূচি দিয়েছে। এটি কোনো সাধারণ রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, গণ্ডগোল করার উদ্দেশ্যেই। সেই গণ্ডগোল তাদেরকে করতে দেয়া হবে না। আমরা সতর্ক আছি, বিএনপি-জামায়াতকে কিভাবে মোকাবেলা করতে হয় দেশের জনগণ জানে। একই সাথে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নানা কর্মসূচি ঘোষণা করবে, এটি অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে জামায়াত এবং বিএনপি সহিংসতা করার লক্ষ্যেই কর্মসূচি সাজাচ্ছে বলে আমরা মনে করি। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, দেশে একটি গণ্ডগোল করে বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করা, পানি ঘোলা করা, পানি ঘোলা করে সেখান থেকে মাছ শিকার করা। সেটি করার সুযোগ তারা পাবে না।

নির্বাচনকে সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা গুজবের উদ্ভব হচ্ছে- এ বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আগামী জুলাই থেকে বিটিআরসির সক্ষমতা বাড়বে এবং আমাদের মন্ত্রণালয়েও গুজব প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আর মূলধারার গণমাধ্যম পত্রিকা এবং টেলিভিশন করোনার মধ্যেও গুজবের বিরুদ্ধে অত্যন্ত বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে। আমি আশা করব, ভবিষ্যতেও নির্বাচনকে সামনে রেখে হোক, যেকোনো প্রেক্ষাপটেই হোক, গুজবের বিরুদ্ধে গণমাধ্যম সবসময় বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।
৮ জুন বিএনপির বিদ্যুৎ কেন্দ্র ঘেরাও কর্মসূচি প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি তো আগে বিদ্যুৎ কেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছিল, এবার যদি সেটি করে তাহলে জনগণ তাদেরকে প্রতিহত করবে, উচিত শিক্ষা দেবে, আইনশৃঙ্খলাবাহিনীও প্রস্তুত আছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement