১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিএনপির সাথে যুগপৎ আন্দোলনে নামার ঘোষণা গণতন্ত্র মঞ্চের

-

সরকার হটাতে দুই-এক দিনের মধ্যে লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করে যুগপৎ আন্দোলনে নামবে গণতন্ত্র মঞ্চ। গতকাল বুধবার দুপুরে বিএনপির সাথে বৈঠকের পর গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি, এই আন্দোলন ধারাবাহিকভাবে অগ্রসর করে নেবো। আমরা একটা লিয়াজোঁ কমিটি করব। আশা করি, ১০ তারিখের আগেই এই লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করা সম্ভব হবে। এই কমিটি নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলে যুগপৎ ধারার আন্দোলনকে জোরদার করার চেষ্টা করবে।


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আমরা লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করে যুগপৎ আন্দোলন করার জন্য একমত হয়েছি। ১০ ডিসেম্বরের আগেই আমরা এই লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করব। আমাদের এই ঐকমত্য অটুট থাকবে।
তিনি বলেন, আন্দোলনের বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। এবারের আন্দোলনে আমরা সফলকাম হতে পারলে রাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন আনার চেষ্টা করব। যাতে কেউ যেন ক্ষমতায় গিয়ে স্বৈরাচার না হতে পারে। শাসনতন্ত্রের কথা বলে নির্বাচন করে যাতে স্বৈরাচারের জন্ম না হয় সে ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি। আমরা সেই রকম পরিবর্তন আনার চেষ্টা করব।
বেলা সাড়ে ১১টায় তোপখানা রোডে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ ভবনে গণতন্ত্র মঞ্চের সাথে বিএনপির নেতাদের বৈঠক শুরু হয়ে চলে দেড়টা পর্যন্ত।


বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন- দলের ভাইস চেয়ারম্যান মো: শাহজাহান, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী ও নির্বাহী কমিটির সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন।
মাহমুদুর রহমান মান্না ছাড়া গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যরা হলেন, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বহ্নি শিখা জামালী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল, হাবিবুর রহমান রিজু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ুম, ইমরান ইমন, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহিদউদ্দিন মাহমুদ স্বপন, কামাল উদ্দিন পাটোয়ারি, গণঅধিকার পরিষদের রাশেদ খান এবং নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার।


১০ ডিসেম্বর প্রসঙ্গে
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ১০ তারিখকে কেন্দ্র করে সরকার ঢাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। এই সভায় আমরা সরকারের আগ্রাসী আক্রমণাত্মক সহিংস তৎপরতার নিন্দা জানিয়েছি। আমরা তাদের সাথে আলোচনা করে ১০ তারিখের কর্মসূচিকে রাজনৈতিকভাবে গণতন্ত্র মঞ্চ সমর্থন দিয়েছে। বাস্তবতা হলো বিএনপি মাঠে আছে, গণতন্ত্র মঞ্চ মাঠে আছে।
১০ ডিসেম্বরে বিএনপির সমাবেশে যদি কোনো সহিংসতা সৃষ্টি হয় তার জন্য সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়ী থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
বিএনপির ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ঢাকার মিটিংকে নিয়ে তারা (সরকার) এত ভয় পেয়েছে যে, নানা রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ঘোষণা দিচ্ছে, আমরা আসার আগে তারা পুলিশ দিয়ে দখল করে নেবে। দখল করে তো কেউ টিকতে পারেনি। আইয়ুব খানও টিকেনি, ইয়াহিয়া খানও টিকেনি, এরশাদও টিকেনি। জনগণের কাছে পুলিশ-টুলিশ কিছু না। আমরা নয়া পল্টনে মিটিং করব ১০ তারিখ। জনগণই সেটা দখল করে রাখবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ফরিদপুরের গণপিটুনিতে নিহত ২ নির্মাণশ্রমিক জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনি সদস্যপদ লাভের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান

সকল