এক মাসেও তদন্তে অগ্রগতি না হওয়া হতাশাজনক

ফারদিনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হলেও তদন্তকারী সংস্থা একমাস পরও কোনো অগ্রগতি করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন নিহত বুয়েট ছাত্র ফারদিন নূর পরশের বাবা কাজী নুরুদ্দিন। গতকাল মঙ্গলবার বুয়েট ক্যাম্পাসে এক মানববন্ধনে তিনি বলেন, ‘এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, তবে তদন্ত কমিটি এখন পর্যন্ত কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি। এটা হতাশাজনক যে তদন্তকারী সংস্থাগুলো এক মাস পরও কোনো অগ্রগতি করতে পারেনি।’
বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বুয়েট শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন করে এবং হত্যাকাণ্ডের দ্রুত তদন্তের দাবিতে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। গত ৭ নভেম্বর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের লাশ উদ্ধার করা হয়। তার পরিবারের সদস্যরা মানববন্ধনে যোগ দেন। তদন্তে বিলম্বের জন্য তারা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সমালোচনা করেন। শিক্ষার্থী ও ফারদিনের বাবাও বুয়েট প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের খবর এবং বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিভিন্ন বক্তব্য পাওয়ায় তারা এখনো বিভ্রান্তিতে রয়েছেন। হতাশা প্রকাশ করে তারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন হয়নি এবং খুনিরা এখনো শনাক্ত হয়নি। তারা দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের অবিলম্বে শাস্তির দাবি জানান।
ফারদিন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র এবং নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কুতুবপুর এলাকার বাসিন্দা। নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর চলতি বছরের ৭ নভেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জে একটি কটন মিলের পেছনে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ময়নাতদন্ত করা নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক শেখ ফরহাদ জানান, ফারদিনের মাথায় ও শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ওই দিনই ফারদিনের বাবা বাদি হয়ে রামপুরা থানায় ছেলে হত্যার মামলা করেন এবং পরে মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।