২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
প্রাক-বাজেট আলোচনায় ড. আতিউর

আমরা বেকারত্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারিনি

-

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বলেছেন, দেশের বড় কর্মসংস্থান হয়েছে অনানুষ্ঠানিক খাতে। এগুলোকে আনুষ্ঠানিক খাতে আনতে হবে। যদিও এটি বড় চ্যালেঞ্জ। দেশে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি হলেও বেকারত্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমরা এখনো পুরোপুরি সক্ষম হইনি। বাজেটে যদি কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিষয়টি আনা না হয় তবে বাজেট বাস্তবায়ন কঠিন হবে। এ ক্ষেত্রে নীতিনির্ধারকদের আরো পরিকল্পিতভাবে কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। সরকারের কর্মসংস্থান দেয়ার আগ্রহের অভাব না থাকলেও সঠিক তথ্যের ঘাটতিতে তা হচ্ছে না। এ জন্য একটি নির্ভরযোগ্য ডাটাবেজ গড়ে তুলতে হবে বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ।
গতকাল শনিবার ‘জাতীয় স্বপ্নবাজেট-২০২২-২৩ : কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কী ধরনের বাজেট প্রয়োজন’ শীর্ষক প্রাক-বাজেট অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। মুভমেন্ট ফর ওয়ার্ল্ড এডুকেশন রাইটস ও দৈনিক আনন্দবাজার ওয়েবিনারটির আয়োজন করে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো: মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেনÑ বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো: আইনুল ইসলাম, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম ও দৈনিক আনন্দবাজারের বার্তা সম্পাদক নিয়ন মতিয়ুল। বাজেট প্রস্তাবনা পেশ করেন মুভমেন্ট ফর ওয়ার্ল্ড এডুকেশন রাইটসের আহ্বায়ক ফারুক আহমাদ আরিফ। এনায়েতুল্লাহ কৌশিকের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জীম মণ্ডল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ারের চেয়ারম্যান এবং উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান ২০১৬ সালে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো-বিবিএসের শ্রমশক্তি জরিপ উল্লেখ করে বলেন, দেশের কর্মক্ষম নাগরিকের সংখ্যা সোয়া ছয় কোটি। তবে বেকারের সংখ্যা প্রতি বছর বাড়ছে। সার্বিকভাবে এই অঙ্ক অনেক বেশি। করোনায় এটি আরো বেড়েছে। নীতিনির্ধারকরা যে কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে যথাযথ অগ্রাধিকার দিচ্ছেন তা করোনাজনিত অর্থনৈতিক স্থিতাবস্থার সময়ই লক্ষ করা গেছে। মানুষ যাতে বেকার হয়ে না যায় সে জন্য এমএসএসই খাত ও এমএফআইগুলোর জন্য প্রণোদনা দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এবারের বাজেটের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ম্যাক্রো অর্থনীতিকে কিভাবে স্থিতিশীল রাখা যায়। কেননা ইনফ্লেশন বাড়ছে। অর্থনীতিতে যে অস্থিরতা রয়েছে তা স্থিতিশীল রাখাই হবে আগামী বাজেটে বড় কাজ। অর্থনীতি স্থিতিশীল থাকলে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক খাত বিনিয়োগে এগিয়ে আসবে। এ জন্য বাজেটে কর্মসংস্থানের বিষয়টি একসূত্রে গেঁথে চিন্তা করতে হবে।
অধ্যাপক ড. মো: আইনুল ইসলাম বলেন, চলতি জাতীয় বাজেটে অনুপাত হচ্ছে পরিচালনে ৬১ ও উন্নয়নে ৩৯ শতাংশ বরাদ্দ। বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির বাজেটে তা উল্টো। সেখানে পরিচালনে ৩৪ ও উন্নয়নে ৬৬ শতাংশ এবং এমডব্লিউইআরের বাজেটে পরিচালনে ২৬.০৯ ও উন্নয়নে ৬৩.৮০ শতাংশ বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অবশ্যই উন্নয়ন বাজেট বাড়াতে হবে। কর্মসংস্থানের পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ অন্য বিষয়গুলোও সামনে আনতে হবে।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯-এর কারণে ২০২০ সালে ছয় কোটি ৮২ লাখের মধ্যে বিশ্বের তিন কোটি ৬০ লাখের বেশি মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়েছে। এক বছরে তাতে যুক্ত হয়েছে আরো ২৪ লাখ। মানুষ শহর থেকে গ্রামে চলে গেছে। এখন পর্যন্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিদেশী বিনিয়োগ এসেছে ৩.২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে কী ধরনের জনশক্তি প্রয়োজন তার কোনো দিকনির্দেশনা নেই।
এস এম রাশিদুল ইসলাম বলেন, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশ তরুণ শিক্ষিতদের বেকারত্বে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে বলে আইএলও জানিয়েছে। তা ছাড়া বিআইডিএস জানায়, স্নাতক ডিগ্রিধারীরা মাত্র ৩৪ শতাংশ চাকরি পাচ্ছে অর্থাৎ ৬৬ শতাংশ বেকার। দেশে সার্বিক কর্মসংস্থানের অভাব আছে, যা স্বাধীনতার ৫০ বছরেও পূর্ণ হয়নি। এ ক্ষেত্রে ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ বাড়িয়ে কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে। অন্যান্য অনেক সূচকে এগিয়ে থাকলেও বেকার সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, পোশাকশিল্পে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিশাল একটি অংশ কাজ করে অর্থ নিয়ে যাচ্ছে সেই মানের লোক দেশে তৈরি হচ্ছে না। এ জন্য শিক্ষা খাতে আমূল পরিবর্তন আনতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
ভারতে দ্বিতীয় পর্বে ৮৮ আসনে ভোট খালেদা জিয়ার সাথে মির্জা ফখরুলের ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত পাবনায় ১০ কোটি টাকার অনিয়মে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা আটক জীবন্ত মানুষকে গণকবর আগ্রাসন ও যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃষ্টির জন্য সারা দেশে ইসতিস্কার নামাজ আদায় আরো ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট তাপপ্রবাহ মে পর্যন্ত গড়াবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঢাকার ভূমিকা চায় যুক্তরাষ্ট্র বিদ্যুৎ গ্যাসের ছাড়পত্র ছাড়া নতুন শিল্পে ঋণ বিতরণ করা যাবে না

সকল