২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
কর্মশালায় পরিকল্পনামন্ত্রী

সামাজিক স্থিতিশীলতা থাকলে মাছ, প্রকৃতি সবাই ভালো থাকবে

-

সামাজিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি যদি বিশৃঙ্খল না হয় তাহলে আমরাসহ মাছ, গাছ, প্রকৃতি সবাই ভালো থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণায় অর্থ বরাদ্দ পাবেন। মাছ, পশু, পাখি, ফল, গাছ, ঘাস, লতাপাতা নিয়ে আপনারা গবেষণা করেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রীও সব বিষয়ে গবেষণা করতে বলেছেন। গবেষণার জন্য আমরা টাকা নিয়ে বসে আছি, চাইলেই পাবেন। তবে আমাদের কিছু ধাপ আছে, এগুলো পার হয়ে গবেষণার জন্য টাকা নিতে হবে। গবেষণায় বলা হয়েছে, বিশ্ব সামুদ্রিক মাছের বাজার হলো ৪০৩ কোটি ৯৯ লাখ ডলার, যা আগামী ২০৩০ সালে বেড়ে ৭৯০ কোটি ডলারে উন্নীত হবে।
নগরীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘মডার্ন কমার্শিয়াল প্রডাকশন অব সিবাস, প্রসপেক্টস ফর বাংলাদেশ অ্যান্ড শেয়ারিং অব লেসন ফর্ম রিজিওনাল বেস্ট প্র্যাকটিস’ শীর্ষক কর্মশালায় গতকাল প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এম আবদুর রহিম খানের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ চিংড়ি ও মৎস্য ফাউন্ডেশনের (বিএসএফএফ) চেয়ারম্যানের সৈয়দ মাহমুদুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বাণিজ্যিকভাবে বাংলাদেশে সামুদ্রিক মাছের চাষের সম্ভাবনা ও সমস্যা নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটি পুত্রা মালয়েশিয়ার অধ্যাপক আজিজ আহমেদ ও থাইল্যান্ডের মৎস্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক সোমবন লাওপ্রাসির্ট। বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্যসচিব এম আবদুল করিম প্রমুখ।
প্রবন্ধে প্রকাশ করা হয়, এশিয়াতে বর্তমানে ৯১টি সামুদ্রিক মাছের প্রক্রিয়াকরণ প্লান্ট আছে। আর ফার্ম আছে ৯২টি। ২০১৬ থেকে ২০২০ পর্যন্ত এশিয়াতে সামুদ্রিক মাছের বিক্রি বাড়ছে গড়ে ৪.১ শতাংশ হারে। এটা পাঁচ শতাংশে আগামী পাঁচ বছরে উন্নীত হবে। মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এফএমআই) গবেষণায় প্রাক্কলন করা হয়েছে যে, আগামী ২০৩১ সালে বিশ্ববাজারে এশিয়ার সামুদ্রিক মাছের আধিপত্য বাড়বে সাড়ে ৫ শতাংশ। তবে প্রয়োজন টেকনোলজি বাড়ানো। গবেষণা বাড়ানো। এই মৎস্য শিল্পে চীন শীর্ষে অবস্থান করছে। ২০১৮ সালে তাদের উৎপাদন ১ লাখ ৫৬ হাজার মেট্রিক টন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমাদের বেশি বেশি গবেষণা দরকার। এ বিষয়ে প্রকল্প নিয়ে আসেন, অনুমোদন করে দেবো। তবে কিছু ধাপ আছে, সেগুলো পার হতে হবে। কারণ জনগণের টাকা চাইলেই পাওয়া যাবে না, জবাবদিহিতা আছে। সুতরাং বিধিবিধান মেনে গবেষণার জন্য টাকা নিতে হবে।
ভেটকি ও সামুদ্রিক মাছের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে এম এ মান্নান বলেন, ভেটকি মাছ পুষ্টি, স্বাদ ও উচ্চমূল্যের জন্য চাষিদের কাছে আকর্ষণীয়। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ভেটকি চাষের উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে। এ ব্যাপারে আমাদের গবেষণা দরকার। কিভাবে এটাকে মিঠা পানিতে চাষ করা যায় সে গবেষণা করতে হবে। নিয়মিত গবেষণা চালিয়ে যেতে হবে। তা ছাড়া লবণাক্ত পানির স্বল্পতাও রয়েছে। তিনি বলেন, ভেটকি মাছের প্রজনন এবং দ্রুত বৃদ্ধির জন্য লবণাক্ত পানি অত্যাবশ্যক। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মৎস্য বিজ্ঞানীরা আরো বেশি বেশি গবেষণা করবেন। গবেষণার জন্য টাকার অভাব হবে না। ভেটকির পাশাপাশি ইলিশও যেন মিঠা পানিতে চাষ করা যায় সে গবেষণা করুন।
বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ বাড়াতে হবে উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ভোগ ও ব্যয়ের জন্য চার দিকে খবর রাখতে হবে। আমরা পোশাক রফতানিতে আকাশে ওঠে গেছি। এটার ওপর নির্ভরতা কমিয়ে অন্য দিকেও নজর দিতে হবে। মাছ চাষ করেও বেশি বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। মাছে-ভাতে বাঙালি। আরো বেশি করে মাছের চাষ করতে হবে। শুধু পুকুর বা খাল নয়, মাছ আহরণে বঙ্গোপসাগরেও নজর রাখতে হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের আশুলিয়ায় বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা ফেরত গেলেন, কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট কি আরো জটিল হচ্ছে দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চালক-হেলপার নিহত মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ট্রাম্পের বিচার নিয়ে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট চুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত

সকল