০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মালয়েশিয়ায় ডিসেম্বরে শেষ হবে বৈধকরণ : ঝুলে আছে নতুন কলিং ভিসা

-

মালয়েশিয়ার অভ্যন্তরে যেসব অভিবাসী কর্মী এখনো অবৈধ ও অনিবন্ধিত হিসেবে রয়েছেন তাদের বৈধকরণ প্রোগ্রাম রি-ক্যালিব্রেশন চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরে শেষ হবে। ঘোষণা দেয়ার পরও বাংলাদেশ থেকে নতুন করে শ্রমিক নেয়ার বিষয়টি এখনো ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। দেশটিতে অবৈধ হিসেবে অবস্থানকারীদের বৈধকরণ প্রক্রিয়া রিক্যালিব্রেশন এ বছরজুড়ে চলবে। একমাত্র ব্ল্যাক লিস্টেড কর্মী ছাড়া নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি দিয়ে শর্তসাপেক্ষে অভিবাসীরা বৈধ হতে পারছেন। আবার যারা বৈধ হতে আগ্রহী নন, তারা ৫০০ রিংগিত জরিমানা দিয়ে নিজ দেশে ফিরে যেতে পারছেন। এই প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়াও চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। গত মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজা জয়নুদ্দিন বলেন, অবৈধ অভিবাসীদের আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে হয়তো রিক্যালিব্রেশনের আওতায় বৈধ হতে হবে নয়তো নিজ দেশে ফেরত যেতে হবে। কারণ আমরা ৩১ ডিসেম্বরের পর সারা দেশে বড়সড় অভিযান চালাব তখন কেউ ধরা পড়লে কঠিন শাস্তির মুখে পড়তে হবে।
এ দিকে ২০১৯-এ সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ কলিং ভিসা বন্ধ ঘোষণা করার পর দুই বছর ধরে পুনরায় চালু হওয়ার বিষয়টি ঝুলে আছে। দেশটিতে করোনা মহামারী, শ্রমিক সঙ্কটে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় রফতানিও ব্যাপক হ্রাস পেয়েছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে মালয়েশিয়ার জিডিপির ওপর। অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে বিদেশী কর্মী নিয়োগ দিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকার নানামুখী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। তারপরও নতুন করে কলিংয়ের মাধ্যমে বিদেশী কর্মী নেয়ার চূড়ান্ত ঘোষণার পরও নানা জটিলতায় নিয়োগ আটকে আছে। সর্বশেষ চলতি অক্টোবর মাসের প্রথম দিকে মালয়েশিয়ার শিল্প কারখানা ও প্লান্টেশনবিষয়ক মন্ত্রী জুরাইদাহ কামারউদ্দিন ঘোষণা দিয়েছিলেন, চলতি মাসের ভেতরেই কলিংয়ে বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া থেকে কর্মী মালয়েশিয়ায় পৌঁছবে। কিন্তু চলতি মাস এখন শেষের দিকে। এ মাসে কলিং ভিসা চালু হচ্ছে না। তবে ঠিক কবে কলিং চালু হচ্ছে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তার মূল কারণ শ্রমিক নেয়ার দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা স্বারক (এমওইউ) চুক্তির স্বাক্ষর বাংলাদেশ- মালয়েশিয়ার মধ্যে এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ায় যে হারে শ্রমিক সঙ্কট তীব্র হচ্ছে সে হারে শ্রমিক নিয়োগ হচ্ছে না। তাই তাদের প্রয়োজনেই কলিং ভিসা চালু করে বিদেশী কর্মী নিয়োগ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
চলমান রিক্যালিব্রেশন প্রক্রিয়ায় ২ লাখ ১২ হাজার ৯২৬ জন বৈধ হওয়ার জন্য নিবন্ধিত হয়েছেন। এর মধ্যে ৩৪ হাজার ৩১৮ জন নথিভুক্তকর্মী যাচাইকরণ প্রক্রিয়ায় উত্তীর্ণ হয়েছেন এবং ২০ হাজার ৮৮৯ জন ব্যর্থ হয়েছেন।
আরো ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭১৯ জন এখনো ইমিগ্রেশন বিভাগের সাথে যাচাইকরণ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেনি। হামজাহ বলেছেন, যারা নিয়মিতকরণ প্রক্রিয়ায় ব্যর্থ হয়েছে তাদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রত্যাবাসন কর্মসূচির অধীনে নির্বাসিত করা হবে। প্রত্যাবাসনের বিষয়ে, হামজাহ বলেছেন, ২১ অক্টোবর পর্যন্ত ১ লাখ ২৪ হাজার ৪২৩ অনথিভুক্ত কর্মীকে যার যার দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
ভ্যান চালক হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল গঠনে নতুন অংশীদার খুঁজুন : আইওএমের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী দু’টি পরিবর্তন নিয়ে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক-নিরাপত্তা-অভিবাসন অংশীদারিত্ব জোরদারে ঢাকায় যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রী জনগণকে বাদ দিয়ে পাতানো উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে : রিজভী একটি ভ্যানের জন্য হত্যা : জয়পুরহাটে ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড উগান্ডার বিশ্বকাপ দলে ৪৩ বছর বয়সী ক্রিকেটার রাফায় অভিযান নিয়ে নেতানিয়াহুকে আবারো সতর্ক করলেন বাইডেন ডেঙ্গু সংক্রমণ বাড়লে হাসপাতাল খালি রাখার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ইসরাইল ও হামাসকে যুদ্ধবিরতির জন্য ‘আরো প্রচেষ্টা চালাতে’ জাতিসঙ্ঘ প্রধানের আহ্বান পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ নিয়ে সিদ্ধান্ত ১০ জুন

সকল