গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ছাড়া গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়

ময়মনসিংহে এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিক নেতারা বলেছেন, দেশে এখন মহাসঙ্কট চলছে। সাধারণ মানুষের কোনো বাক স্বাধীনতা নেই। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই। রাতের ভোটের সরকার দেশে দুঃশাসন কায়েম করে রেখেছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ছাড়া গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সম্ভব নয়।
গতকাল ময়মনসিংহের স্থানীয় একটি হোটেলে সাংবাদিক ইউনিয়ন ময়মনসিংহের (জেইউএম) বার্ষিক সাধারণ সভা উপলক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেইউএম সভাপতি আইয়ুব আলীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ। প্রধান বক্তা ছিলেন বিএফইউজের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের সহসভাপতি মোদাব্বের হোসেন ও রাশেদুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উল্লাহ মিয়াজী ও শফিউল আলম দোলন, সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়ার সভাপতি মির্জা সেলিম রেজা, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি এম আইউব ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুজ্জামান, সাংবাদিক ইউনিয়ন কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল ভূঁইয়া, সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক আনসার হোসেন, সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু, সাংবাদিক ইউনিয়ন দিনাজপুরের সাধারণ সম্পাদক আতিউর রহমান এবং গাজীপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন।
শওকত মাহমুদ বলেন, মত প্রকাশের অধিকার সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত। এ অধিকার কেউ হরণ করতে পারে না। অথচ বর্তমান সরকার নানা কালা-কানুনের মাধ্যমে এ অধিকার হরণ করে রেখেছে। তিনি বলেন, এ সরকার ক্ষমতায় থাকলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করে কোনো লাভ হবে না। শওকত মাহমুদ বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, একজন প্রতিমন্ত্রী সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল করার দাবি জানানোর পরও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সরকার মীমাংসিত বিষয়কে ইস্যু বানিয়ে নেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
এম আবদুল্লাহ বলেন, গণমাধ্যম এখন শৃঙ্খল দিয়ে আটকানো। মামলা হামলা দিয়ে সাংবাদিকদের লেখনী নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। এ প্রসঙ্গে তিনি সংবাদপত্রে প্রকাশিত ঘটনা উদ্ধৃতি দিয়ে আরো বলেন, গত তিন মাসে ৮০ জন সাংবাদিক নিগৃহীত হয়েছেন। সরকারের রোষানলে পড়ে সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী মিথ্যা মামলায় কারাবন্দী।