২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
ডাক্তার-নার্সদের হোটেলে কোয়ারেন্টিন

এক বছরেও ৪০ কোটি টাকা শোধ করেনি ঢামেক কর্তৃপক্ষ

-

বকেয়া পরিশোধের দাবিতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের সামনে মানববন্ধন করেছে রাজধানীর ৩০টি হোটেলের মালিক কর্তৃপক্ষ। করোনা পরিস্থিতিতে ওই সব হোটেলে ডাক্তার-নার্সদের রাখা হলেও বিল পরিশোধ করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্রায় এক বছর অতিবাহিত হতে চললেও হাসপাতাল বিল পরিশোধ না করায় হোটেল কর্তৃপক্ষ হতাশ। করোনাকালে চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য হোটেলে কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তিন মাস ৩০টি হোটেলে রাখা হয়, যার বিল এসেছে ৪০ কোটি টাকা। এই বিলের পুরোটাই বকেয়া বলে দাবি করেছেন হোটেল মালিকরা।
বকেয়া বিল পরিশোধের দাবিতে গতকাল সোমবার সকালে ঢামেক হাসপাতালের প্রশাসনিক ব্লকের সামনে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যাসোসিয়েশন (বিহা) মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। পরে তারা ঢামেক হাসপাতাল পরিচালককে স্মারকলিপি দেয়।
মানববন্ধনে বিহার ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট কমিটির কো-চেয়ারম্যান খালেদ-উর-রহমান জানান, ঢামেক হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে কোয়ারেন্টিনের জন্য আমাদের হোটেলগুলোতে খাবারসহ আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়। আমাদের হোটেলগুলোর সাথে ঢাকা মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের চুক্তির অন্যতম শর্ত ছিল হোটেল কর্তৃপক্ষ প্রতি ১০ দিন পরপর ঢাকা মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের কাছে বিল সাবমিট করবে এবং সাত কার্যদিবসের মধ্যে বিল পরিশোধ করা হবে। আমরা নানা বিধিনিষেধ অতিক্রম করে গত বছরের আগস্ট থেকে জুলাইয়ের বিল সাবমিট করি। কিন্তু ১১ মাস পার হলেও এখন পর্যন্ত কোনো বিল আমরা পাইনি। মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হলে তারা বিল পাস করে ছেড়ে দিয়েছে বলে জানান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে আমরা বারবার যোগাযোগ করেও কোনো সুফল পাচ্ছি না। তাই গত বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর (তিন মাস) পর্যন্ত ন্যায্য বিল চলতি বছরের জুনের মধ্যে পরিশোধ করার দাবি জানাচ্ছি।
বিহার সহসভাপতি সাইদুল আলম টিটো জানান, আমাদের হোটেল ব্যবসার অবস্থা খুবই খারাপ। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ রয়েছে। এই ৪০ কোটি টাকা আমাদের কাছে তেমন কোনো বড় বোঝা নয়। কিন্তু করোনায় আমাদের ব্যবসার অবস্থা ভালো না থাকায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দিতে পারছি না। আমাদের অনেক ইউটিলিটি বিল জমে গেছে। তারা বারবার আমাদের নোটিশ দিচ্ছে বিলগুলো দেয়ার জন্য। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিলসহ অন্যান্য ইউটিলিটি বিল এবং বেতনভাতা পরিশোধে আমরা ব্যর্থ হচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আকুল আবেদন, ইউটিলিটি বিলগুলো এক বছরের ডেফার্ড পেমেন্টের (কোনো প্রকার ইন্টারেস্ট ছাড়া) সুযোগ দেয়ার জন্য আপনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি। আগামী এক বছরের জন্য ভ্যাট থেকে অব্যাহতি প্রদান করে হোটেলগুলোকে ব্যবসা টিকিয়ে রেখে আপনার পাশে থেকে দেশের উন্নয়নের সুযোগ প্রদান করবেন।
বকেয়া বিলের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: নাজমুল হক সাংবাদিকদের বলেন, তাদের বিলে কিছু অসঙ্গতি ছিল, এগুলো আপনারা ভালো করে জানেন। সে বিষয়টি আমি উল্লেখ করতে চাচ্ছি না। অনেকে যেটা পাওনা তার চেয়ে বেশি সাইন করেছেন। পরে অডিট এসে সেগুলো পর্যালোচনা করেছে। আমরা চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব তাদের বিল পরিশোধ করে দেয়ার জন্য। কবে নাগাদ বিল ছাড়া হতে পারে জানতে চাওয়া হলে পরিচালক বলেন, চলতি মাসের (৩০ জুন) মধ্যে আমরা বিল পরিশোধের চেষ্টা করছি।


আরো সংবাদ



premium cement
চুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত আমদানি ব্যয় কমাতে দক্ষিণাঞ্চলের সূর্যমুখী তেলের আবাদ পাকুন্দিয়ায় গানের আসরে মারামারি, কলেজছাত্র নিহত আবারো হার পাকিস্তানের, শেষ সিরিজ জয়ের স্বপ্ন পাটকেলঘাটায় অগ্নিকাণ্ডে ৩ দোকান পুড়ে ছাই ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু দোয়ারাবাজারে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা : স্বামীর আমৃত্যু কারাদণ্ড গাজীপুরে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার ভারতে দ্বিতীয় পর্বে ৮৮ আসনে ভোট খালেদা জিয়ার সাথে মির্জা ফখরুলের ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত

সকল