২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা ছিল কি না তা বারবার শুনতে হয়েছে

-

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা ছিল কি না তা বারবার শুনতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি। তিনি বলেন, ‘আমার আগে ও পরে কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সেই মন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা আছে কি না সেই প্রশ্ন কখনো কোনো সাংবাদিক বন্ধু করেননি। আমার নামের সঙ্গে এ-বি-সি-ডি লাগানো থাকলেও আমাকে তা শুনতে হয়েছে।’
সোমবার (৮ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধে নারী’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারে প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন সভাপতিত্ব করেন।
দীপু মনি বলেন, ‘২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। অনভ্যস্ততার তো একটা বিষয় ছিলই, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চেয়ারে সাংবাদিকরা সবসময় বয়স্ক একজন পুরুষকে দেখেই আসছেন; কিন্তু হঠাৎ করে একজন নারী আসায় এবং খুব বেশি বয়স্ক না হওয়ায় সেটা দেখে একটা ধাক্কা লাগতেই পারে!’
‘ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে এখন আদালতের নির্দেশনা আছে ধর্ষণের শিকার নারীর ছবি ছাপানো যাবে না। ধর্ষক বিচারের রায়ে শাস্তি পায়, আর যে নারী ধর্ষণের শিকার হয় তার জন্য তো প্রতিদিনই মৃত্যুদণ্ড। সারা জীবন তাকে অস্পৃশ্য ভাবা হয়। এটা পুরোপুরি নেতিবাচক মানসিকতার বিষয়। একাত্তর সালে যা হয়েছিল তার থেকে ঘৃণ্য একটি জায়গায় আমরা পৌঁছেছি।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ভাষা একটি খুব জরুরি বিষয়, আমরা ভাষা দিয়ে একটি নারীকে দাবিয়ে রাখি। যখন কেউ ধর্ষণের শিকার হচ্ছে আমরা বলি, সম্ভ্রমহানি হয়েছে। আমাকে কুকুর কামড় দিলে তো সম্ভ্রমহানি হয় না। একটা পুরুষ ধর্ষণ করলে একটা নারীর কিভাবে সম্ভ্রমহানি হয়, সম্ভ্রমহানি তো সেই পুরুষের হওয়ার কথা। আমরা কেন ধর্ষককে সম্ভ্রমহারা পুরুষ বলছি না?’
এ সময় অন্যদের মধ্যে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, কবি হাসান হাফিজ, নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement