২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

হাওরে বন্যা ব্যবস্থাপনা ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় বাড়ছে ১৫ ভাগ

পরামর্শক ব্যয় ৮৮ কোটি থেকে বেড়ে ১০১ কোটি টাকা
-

‘হাওর এলাকায় বন্যা ব্যবস্থাপনা ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের পরামর্শক সেবা খাতে ব্যয় বাড়ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন এই প্রকল্পের ব্যয় ১৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ১০১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। প্রকল্পটির পরামর্শক হিসেবে জাপানি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নিপ্পন কোয়ি কোম্পানি লিমিটেডকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। মূল চুক্তিতে পরামর্শক সেবা বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছিল ৮৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা। এটি বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ১০১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ পরামর্শক সেবায় ব্যয় বাড়ছে ১৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা; যা চুক্তি মূল্যের চেয়ে ১৫ শতাংশ বেশি।
আজ বুধবার অনুষ্ঠেয় ‘সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
প্রকল্পের পরামর্শক সেবা ব্যয় বাড়ার কারণ সম্পর্কে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রকল্পটিতে ২৯টি উপপ্রকল্প (১৪টি নতুন হাওড় ও ১৫টি পুনর্বাসন উপপ্রকল্প) রয়েছে। প্রকল্পের প্রিপারেটরি সার্ভে রিপোর্টে বলা হয়েছিল, প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে ‘ফোরগোয়িং হাইড্রোলিক স্টাডিজ’ এবং ‘টপোগ্রাফিক হাইড্রোলিক ইনফরমেশন’ হালনাগাদ করতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নকালে এসব তথ্য হালনাগাদ করার কারণে প্রকল্পটি পুনঃপর্যালোচনার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। কিন্তু পরামর্শক সেবার কাজে প্রকল্প পর্যালোচনার উল্লেখ না-থাকা এবং প্ল্যানিং ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগের সুযোগ না থাকায় একটি উপপরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় মূল পরামর্শক প্রতিষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ সংখ্যা বাড়ানো হয়।
ব্যয় বাড়ার প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রকল্পটি পুনঃপর্যালোচনার কারণে আগে সম্পাদিত সমীক্ষায় উল্লিখিত কাঠামোর সংখ্যা বেড়ে যায় এবং নতুন ধরনের হাইড্রোলিক স্ট্রাকচার সংস্থাপন ও খালের দৈর্ঘ্যরে পরিমাণ বেড়ে যায়। একই সাথে ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের সংখ্যাও বেড়ে যায়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রস্তাব থেকে জানা যায়, জাপানি দাতাসংস্থা জাইকার অর্থায়নে প্রায় ৮ বছর মেয়াদি প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ আগামী ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর নাগাদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৭৩ শতাংশ। প্রকল্পের পরামর্শক সেবা কাজের জন্য ২০১৫ সালের ২১ এপ্রিল জাপানি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেয়া হয়। পরামর্শক সেবার আওতায় রয়েছে প্রকল্প ব্যবস্থাপনা, নকশা প্রণয়ন, সুপারভিশন ও সম্পর্কিত অন্যান্য কাজ।
গত ২০১৮ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রকল্পের সংশোধিত ডিপিপি অনুযায়ী, প্রকল্পের রেগুলেটর সংখ্যা বেড়েছে ১৭টি, কজওয়ে বেড়েছে ৩৫টি, ব্রিজ বেড়েছে একটি, বক্স ড্রেনেজ আউটলেট বেড়েছে ৪৪টি, ইরিগেশন ইনলেট বেড়েছে ১৩১টি, খাল পুনঃখননের দৈর্ঘ্য বেড়েছে ১১৯ দশমিক ৮০ কিলোমিটার। একমাত্র ভেল্ট নির্মাণ কমেছে ৫৬টি।
জানা গেছে, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে আজকের ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রকল্পের সংশোধনী অনুমোদিত হতে পারে।


আরো সংবাদ



premium cement
আশুলিয়ায় বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা ফেরত গেলেন, কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট কি আরো জটিল হচ্ছে দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চালক-হেলপার নিহত মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ট্রাম্পের বিচার নিয়ে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট চুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত আমদানি ব্যয় কমাতে দক্ষিণাঞ্চলের সূর্যমুখী তেলের আবাদ

সকল