০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


শিক্ষা ভবনের আলোচিত ঠিকাদার যুবলীগের শফিকের বিরুদ্ধে মামলা দুদকের

-

শিক্ষা ভবনের আলোচিত ঠিকাদার মো: শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার বিরুদ্ধে শিক্ষা ভবনের অধীনে সারা দেশে যে সব কাজ হতো, তার জন্য যে টেন্ডার আহ্বান করা হতো, তার প্রধান নিয়ন্ত্রক ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি নিজেকে যুবলীগের নেতা পরিচয়ে সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং এখনো করছেন। তবে, যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট আটকের পর শফিকও গা-ঢাকা দিয়েছেন। দুদক এখন পর্যন্ত শফিকের প্রায় সাড়ে ১৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য প্রমাণ পেয়েছে। এ কারণে শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুদক।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুদকের ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে শফিকুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদক সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী। দুদকের তথ্য কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য মামলার তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, চলমান শুদ্ধি অভিযানের শুরু থেকে এ পর্যন্ত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ১৬টি মামলা দায়ের করেছে দুদক। মামলার তথ্য এজাহারে শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ১৪ কোটি ৪১ লাখ ১৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে এবং বলা হয়েছে, অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে এত বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন তিনি।
জানা গেছে, শফিকুল ইসলাম যুবলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি সাহিত্যের ছাত্র থাকাকালে শফিক মুহসীন হলের ছাত্র ছিলেন। এ সময় হল সভাপতিরও দায়িত্ব পালন করেন। স্বৈরাচারী এরশাদ-পরবর্তী ২০০০ সালে প্রথমবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে শফিক শিক্ষা ভবনে ‘ইন ’ করেন। সে সময় থেকেই শফিক শিক্ষা ভবনে টেন্ডারবাজির সাথে যুক্ত হন। আওয়ামী লীগ দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর থেকে শফিক শিক্ষা ভবনের টেন্ডারবাজির একচ্ছত্র অধিপতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। শফিক ঠিকাদার হিসেবে শিক্ষা ভবনে আনাগোনা ও নিয়ন্ত্রক হলেও তিনি কখনোই টেন্ডারের কাজ করতেন না। তিনি টেন্ডার হাতিয়ে নিয়ে অন্য ঠিকাদারদের কাছে বিক্রি করে দিতেন। আওয়ামী টানা দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতা গ্রহণের পর, শিক্ষা ভবনের যেকোনো কাজের জন্য যে সব টেন্ডার হতো, তার প্রতিটির জন্য, তাকে ৫ শতাংশ হারে কমিশন দিতে হতো। কমিশন না দিয়ে কোন কাজ গত ৯-১০ বছর অন্য কেউ করতে পারেনি।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, শফিকুল ২০১৮-১৯ করবর্ষ পর্যন্ত তার আয়কর নথিতে মোট ৭ কোটি ১২ লাখ ৩৭ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ দেখালেও সংশ্লিষ্ট তথ্য বিশ্লেষণে দুদকের মনে হয়েছে, ওই সব সম্পদের অর্জন মূল্য অনেক বেশি। তদন্তের সময় এ বিষয়ে নিরপেক্ষ প্রকৌশলীর মতামতসহ অন্যান্য তথ্য পর্যালোচনা করা হবে। এসব সম্পদ অর্জনের পক্ষে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পায়নি দুদক।
আয়কর নথিতে ৭ কোটি ৩৩ লাখ ৮০ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন শফিকুল। কিন্তু এরও অর্জনের সপক্ষে সুনির্দিষ্ট কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি। দুদক বলছে, শফিকুল অবৈধভাবে অর্জিত টাকায় এসব স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মালিকানা পেয়েছেন। এজাহারে আরো বলা হয়েছে, শফিকুল ইসলাম তার নিজ নামে বা স্ত্রী-সন্তান কিংবা অন্য কারো নামে আরো সম্পদ অর্জন করেছেন কি না, তা তদন্তের সময় যাচাই করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
উখিয়ার ক্যাম্পে রোহিঙ্গা যুবককে গলা কেটে হত্যা কায়রোতে প্রতিনিধিদল পাঠানোর দাবি ইসরাইলের বিরোধীদলীয় নেতার পাথরঘাটায় ট্রলারের সাথে ট্রলারের থাক্কা, জেলে নিখোঁজ পশ্চিম তীরে ৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইলি বাহিনী ব্রাজিলে ভয়াবহ বন্যা, নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে ৭০ হাজার লোক ডিবি কার্যালয়ে মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে সুন্দরবনে আগুন : নেভানোর চেষ্টা চলছে, তবে সময় লাগবে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের বিরত রাখা আ’লীগের নীতিগত সিদ্ধান্ত : কাদের মুসলিমদের ঐক্য ও সংহতি বাড়ানোর লক্ষ্যে গাম্বিয়ায় ওআইসির সম্মেলন শুরু ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ও সেনা প্রাঙ্গণ ভবন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে ৩ বাংলাদেশী আহত

সকল