১৯ মে ২০২৪, ০৫ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫
`


হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ বাবরি মসজিদের জায়গায় অন্য কিছু মেনে নেয়া হবে না

-

ভারতের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের জায়গায় মসজিদই থাকবে, সেখানে অন্য কিছু মেনে নেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির এবং ঢাকা মহানগর সভাপতি আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী।
তিনি বাংলাদেশ সরকারকেও এ ঘটনার প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশের সরকার হিসেবে বাবরি মসজিদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরকারিভাবে প্রতিবাদ জানানো ও সংসদে নিন্দা প্রস্তাব পাস করা উচিত।
তিনি বলেন, ১৫২৮ সালে ভারতের অযোধ্যায় বাদশাহ বাবর কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ যেখানে ছিল সেখানেই পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে। বাবরি মসজিদের ঐতিহ্য রক্ষায় অযোধ্যা অভিমুখে প্রয়োজনে ১৯৯৩ সালের মতো আবার লংমার্চ করা হবে।
হেফাজতে ইসলামের উদ্যোগে গতকাল জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বর্ষীয়ান এই আলেম ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, আমরা এই বিতর্কিত ও অন্যায় সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
হেফাজতের এই শীর্ষ নেতা বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি ১৯৯২ সালে একটি উগ্র হিন্দুত্ববাদী উগ্রবাদী গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দিয়ে ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদকে শহীদ করেছিল। ২০১৯ সালে সেই মোদি সুপ্রিম কোর্টের ওপর প্রভাব বিস্তার করে হিন্দুত্ববাদকে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে মুসলিম জাতির ঐতিহ্যের প্রতীক ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদকে বিতর্কিত রায়ের মাধ্যমে উৎখাত করে, সেখানে তথাকথিত রাম মন্দির নির্মাণের সিদ্ধান্ত মুসলিম জাতির ওপর লজ্জাজনকভাবে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ভারত সরকারের প্রয়োজন ছিল, এই মসজিদকে নিজ স্থানে পুনর্নির্মাণ করে দেয়া। কিন্তু তা না করে ভারত সরকার ষড়যন্ত্রমূলক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাবরি মসজিদের জায়গায় রাম মন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। আমরা পরিষ্কার বলে দিতে চাই, ২০০ কোটি মুসলমান বাবরি মসজিদের জায়গায় রাম মন্দিরের সিদ্ধান্ত মেনে নিবে না।
ঢাকা মহানগর হেফাজতে ইসলামের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমীর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন- মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, মাওলানা মাহফুজুল হক, ড. আহমদ আব্দুল কাদের, মাওলানা জুনায়েদ আল-হাবীব, মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী, ড. ঈসা শাহেদী, অধ্যাপক আব্দুল করীম, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা জালাল উদ্দীন আহমদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, মাওলানা মোস্তফা তারিকুল হাসান, মুফতি আব্দুস সাত্তার, মাওলানা ফয়সাল আহমদ, মুফতি শরীফুল্লাহ, মাওলানা আব্দুল খালেক শরীয়তপুরী, মাওলানা রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা আবু তাহের জেহাদী, মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা মুসা বিন ইজহার, মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, মুফতি ফখরুল ইসলাম, মাওলানা সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে নূর হোসাইন কাসেমীর নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement
ভারতের কোভ্যাক্সিনেও রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইসরাইল সরকারে ভয়াবহ দ্বন্দ্ব : নেতানিয়াহুকে গাঞ্জের পদত্যাগের আলটিমেটাম রাফায় ইসরাইলি হামলা, সরে যেতে বাধ্য হয়েছে ৮ লাখ ফিলিস্তিনি চেন্নাইকে বিদায় করে বেঙ্গালুরুর ‘অবিশ্বাস্য’ প্লে অফ মনের মিনার ভেঙে পড়েনি মার্কিন প্রশাসনের ‘বাকস্বাধীনতা’র মুখোশ শিগগিরই মাগুরায় রেললাইন চালু হবে : রেলমন্ত্রী সংসদ ভবনের সামনে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রলীগকর্মী নিহত জুজুৎসুর সম্পাদকের যৌন নিপীড়নের তথ্য দিলো র্যা ব পানচাষীদের পরিশ্রমের ফসল জিআই স্বীকৃতি : প্রতিমন্ত্রী বগুড়ায় অবৈধ মজুদকৃত ১ লাখ ডিম উদ্ধার

সকল