নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর শিশু শিহাব উদ্দিন আলিফ (৪) হত্যা মামলায় একমাত্র আসামি অহিদ মিয়াকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আনিসুর রহমান আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত অহিদুল ইসলাম ওরফে অহিদুল্লাহ নোয়াখালী জেলার চরজব্বার থানার চরজব্বার ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের চর হাসানের মাকসুদের ছেলে। সে নারায়ণগঞ্জ শহরের জল্লারপাড়া আমহাট্টা এলাকার খোকন মিয়ার বাসায় বাস করত।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৬ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ শহরের জল্লারপাড় আমহাট্টা এলাকার নান্নু মিয়ার বাড়ির একটি ঘর থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় শিশু আলিফের লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘরটিতে অহিদ ও রিপন নামে দুইজন ভাড়া থাকত। চকোলেট খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে শিশু আলিফকে বাসায় নিয়ে হত্যা করে শিশু আলিফের অভিভাবকদের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অহিদ মিয়া। আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে সে।
নিহত আলিফের মা সালমা বেগম তার শিশুপুত্র হত্যাকারীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি জানান, আদালতের রায়ে তারা সন্তষ্ট। দ্রুত ফাঁসির রায় কার্যকর চান তিনি।
নারায়ণগঞ্জের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এস এম ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, এ মামলায় ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। যুক্তিতর্ক ও সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামি অহিদকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
ঘাতক অহিদ আদালতকে জানায়, সে পেশায় রাজমিস্ত্রি। তার অর্থের প্রয়োজন ছিল, বিধায় সে আলিফকে অপহরণ করেছিল। কিন্তু পরে জানাজানি হওয়ার ভয়ে সে আলিফকে হত্যা করে লাশ বস্তায় ভরে পালিয়ে যায়।