১৯ মে ২০২৪, ০৫ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫
`


পাকুন্দিয়ায় নিহত হওয়া স্কুলছাত্রীর ময়নাতদন্ত রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত মিলেছে

-

পাকুন্দিয়ায় নানাবাড়িতে প্রেমিকের ডাকে সাড়া দিয়ে ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে নিহত হওয়া নবম শ্রেণীর ছাত্রী স্মৃতি আক্তার রীমাকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে স্মৃতি আক্তার রীমার লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ময়নাতদন্ত শেষে কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা: মো: হাবিবুর রহমান জানান, ময়নাতদন্তে ধর্ষণের সুস্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে।
এর আগে বেলা ১১টায় পাকুন্দিয়া উপজেলার চরফরাদী ইউনিয়নের গাংধোয়ারচর গ্রামে নানার বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ের একটি বরই গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহত স্মৃতি আক্তার রীমা জেলার হোসেনপুর উপজেলার জামাইল গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের মেয়ে এবং হোসেনপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীর ছাত্রী।
পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, মায়ের সাথেই রীমা প্রায়ই বেড়াতে যেত পাকুন্দিয়া উপজেলার গাংধোয়ারচর গ্রামে নানার বাড়িতে। এই আসা-যাওয়ার সুবাদে নানাবাড়ির পাশের চরফরাদী গ্রামের খুরশিদ উদ্দিনের ছেলে জাহিদের সাথে পরিচয় হয় রীমার। এই পরিচয় থেকে রীমার সাথে প্রেমের ফাঁদ পাতে জাহিদ। এই ফাঁদে পা দিয়ে অবশেষে লাশ হতে হলো মাত্রই ১৫ বছরে পা দেয়া এই কিশোরীকে।
রীমার মামা মোস্তফা জানান, অসুস্থ নানীকে দেখতে মায়ের সাথে নানার বাড়িতে এসেছিল রীমা। গত বুধবার (১৭ জুলাই) রাতে জাহিদ রীমাকে ডেকে সামনের পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়। পরে তার বন্দু একই গ্রামের রুবেল মিয়ার ছেলে পলাশসহ আরো দু-তিনজন মিলে রীমাকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে বরই গাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখে।
বরই গাছ থেকে ২০ হাত উত্তর পাশে ধর্ষণের নানা আলামত পড়েছিল বলেও মোস্তফা জানান।
এ ব্যাপারে পাকুন্দিয়া থানার ওসি মো: মফিজুর রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের লাশ তার পৈতৃক বাড়িতে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের মা আঙ্গুরা খাতুন বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও ওসি জানান।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল