ইদ্রাকপুর কেল্লা মুন্সীগঞ্জ জেলা শহরে অবস্থিত মুঘল আমলে নির্মিত একটি দুর্গ। বাংলার সুবাদার ও সেনাপতি মীর জুমলা ১৬৬০ খ্রিষ্টাব্দে বর্তমানে মুন্সীগঞ্জ জেলা সদরে তদানীন্তন ইছামতি নদীর পশ্চিম তীরে ইদ্রাকপুর নামক স্থানে এ দুর্গটি নির্মাণ করেন। দুর্গটি নারায়ণগঞ্জের হাজীগঞ্জ ও সোনাকান্দা দুর্গের চেয়ে আয়তনে কিছুটা ছোট। ৮২ মি. বাই ৭২ মি. আয়তাকার নির্মিত ইটের তৈরি এ দুর্গটি তৎকালীন মগ জলদস্যু ও পর্তুগিজ আক্রমণের হাত থেকে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জসহ সমগ্র এলাকাকে রক্ষা করার জন্য নির্মিত হয়।
উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুসারে, সুড়ঙ্গপথে ঢাকার লালবাগ দুর্গের সাথে এ দুর্গের যোগাযোগ ছিল বলে জনশ্রুতি আছে। সুউচ্চ প্রাচীরবিশিষ্ট এ দুর্গের প্রত্যেক কোণায় রয়েছে একটি বৃত্তাকার বেষ্টনী। দুর্গের ভেতর থেকে শত্রুর প্রতি গোলা নিক্ষেপের জন্য প্রাচীরের মধ্যে অসংখ্য চতুষ্কোনাকার ফোঁকর রয়েছে। একমাত্র খিলানাকার দরজাটির অবস্থান উত্তর দিকে।
মূল প্রাচীরের পূর্ব দেয়ালের মাঝামাঝি অংশে ৩৩ মিটার ব্যাসের একটি গোলাকার উঁচু মঞ্চ রয়েছে। দূর থেকে শত্রুর চলাচল পর্যবেক্ষণের জন্য প্রায় প্রতি দুর্গে এ ব্যবস্থা ছিল। এ মঞ্চকে ঘিরে আরেকটি অতিরিক্ত প্রাচীর মূল দেয়ালের সাথে মিলিত হয়েছে। দুর্গের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সুদৃঢ় করার জন্য এটি নির্মিত হয়েছিল। কেল্লাটির তিন কিলোমিটারের মধ্যেই ইছামতী, ধলেশ্বরী, মেঘনা ও শীতলক্ষ্যা নদীর অবস্থান। মুঘল স্থাপত্যের একটি অনন্য কীর্তি ইদ্রাকপুর দুর্গটি ১৯০৯ সালে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষিত হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা