২০ মে ২০২৪, ০৬ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫
`


আরিচা-ঘিওর-টাঙ্গাইল মহাসড়ক প্রশস্তকরণ

অন্য প্রকল্পের ডিজাইনে ডিপিপি ও ব্যয় নির্ধারণ

-

অহেতুক কৃষিজমি অধিগ্রহণ না করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা সত্ত্বেও আরিচা-ঘিওর-নাগরপুর-টাঙ্গাইল আঞ্চলিক মহাসড়কের জন্য মাত্রাতিরিক্ত জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব করা হয়েছে। অন্য দিকে ভূঞাপর-তারাকান্দি সড়কের ডিজাইন দিয়েছে এই প্রকল্পের প্রস্তাবনা ও ব্যয় নির্ধারণ করে তা অনুমোদনের জন্য দাখিল করা হয়েছে। ১ দশমিক ৮ মিটার সড়ক প্রশস্ত করার জন্য ৯৭ দশমিক ৫৬ হেক্টর জমি অধিগ্রহণের পরিকল্পনা নিয়ে মহাসড়ক বিভাগ। প্রতি হেক্টর জমির দর ধরা হয়েছে পৌনে চার কোটি টাকা। পরিকল্পনা কমিশন বলছে, উভয় পাশে দেড় মিটার হার্ডশোল্ডার বৃদ্ধির জন্য এত বেশি পরিমাণে কৃষিজমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন নেই। এই প্রকল্পে গাড়ি ক্রয়ের প্রস্তাবনাকে বাদ দেয়ার জন্যও পিইসি থেকে সুপারিশ করা হয়েছে। কারণ ময়মনসিংহ জোনের সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের যানবাহন এই প্রকল্পে ব্যবহার করার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
মহাসড়ক বিভাগের প্রস্তাবনা থেকে জানা গেছে, আরিচা-ঘিওর-নাগরপুর-টাঙ্গাইল আঞ্চলিক মহাসড়কের যথাযথ মানোন্নয়ন ও প্রশস্তকরণের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৯২ কোটি ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এই সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ৫৩ দশমিক ৭৩৩ কিলোমিটার। যার মধ্যে টাঙ্গাইল অংশের দৈর্ঘ্য ৩৫ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার। মহাসড়কটি দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১৩টি জেলার সাথে ময়মনসিংহ জেলা ও ঢাকা বিভাগের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করে। বর্তমানে মহাসড়কটির প্রস্থ সাড়ে ৫ মিটার, যা বেশি মাত্রায় যানবাহন চলাচলের উপযোগী নয়। এ ছাড়া মহাসড়কটিতে ঝুঁকিপূর্ণ সরু ও ক্ষতিগ্রস্ত ১৬টি সেতু ও কালভার্ট রয়েছে। এই প্রকল্পটি পরে চার লেনে উন্নীত করার লক্ষ্যে ১২০ ফুট পর্যন্ত ভূমি অধিগ্রহণের সংস্থান রাখা হয়েছে।
ব্যয় বিভাজনে দেখা যায়, ৯৭ দশমিক ৫৬ হেক্টর জমি অধিগ্রহণের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩ কোটি ১৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এখানে হেক্টরপ্রতি দাম পৌনে চার কোটি টাকার বেশি। বিদ্যমান এলাইনমেন্টে সাড়ে ৫ মিটার থেকে ৭ দশমিক ৩ মিটার প্রস্থে উন্নীতকরণের জন্য এত জমি কেন প্রয়োজন বলে পরিকল্পনা কমিশনের প্রশ্ন বাস্তবায়নকারী সংস্থার কাছে। ভূমি অধিগ্রহণের বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ব্যয় প্রাক্কালন করা হয়নি। প্রকল্পে প্রায় ৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে একপিট জিপ, ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি ডাম্প ট্রাক এবং ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি ব্যাক হোলোডার কেনার প্রস্তাবকে কমিশন অনুমোদন দেয়নি। কমিশন বলছে, ‘জেলা মহাসড়ক যথাযথমান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পে ওই সব যানবাহন কেনার প্রস্তাব একনেকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ‘চলমান গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথমান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় যানবাহন ক্রয়ের সংস্থান রয়েছে। তাই প্রস্তাবিত প্রকল্পে যানবাহন ও যন্ত্রপাতি কেনার প্রস্তাব বাদ দিতে হবে। এ দিকে ১.২ কিলোমিটার সড়কের বাঁক সরলীকরণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি সাড়ে ৭ লাখ টাকা। ছয়টি পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ করা হবে। এতে প্রতিটিতে ব্যয় হবে পৌনে ৮ কোটি টাকা। এখানে প্রতি মিটারে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ লাখ টাকার বেশি।
এ দিকে পরিকল্পনা কমিশনের সংশ্লিষ্ট উইং সূত্র বলছে, প্রস্তাবিত সড়কের ডিজাইন ডিপিপিতে সংযুক্ত না করে ভূঞাপর-তারাকান্দি সড়কের ডিজাইন ডিপিপিতে সংযুক্ত করা হয়েছে। ডিজাইন ছাড়া কিভাবে প্রকল্পব্যয় নির্ধারণ করা হলো, এটা এক ধরনের প্রতারণাও বটে।


আরো সংবাদ



premium cement
ফের ইংলিশ লিগ চ্যাম্পিয়ন ম্যানসিটি ম্যানসিটির টানা চতুর্থ শিরোপা কেএনএফের তৎপরতার প্রতিবাদে বান্দবানে মানববন্ধন তাপপ্রবাহের মধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্য নতুন নির্দেশনা ‘ভুয়া তথ্য’ ছড়িয়ে কিরগিজস্তানে বিদেশী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা রংপুরে হুমকি দাতা ইউপি মেম্বারকে তলব করল রিটার্নিং কর্মকর্তা রোহিঙ্গা গ্রামে আরাকান আর্মির হামলা ও অগ্নিসংযোগ মিরপুরে ব্যাটারি চালিত রিক্সাচালক ও পুলিশ সংঘর্ষ : আহত অর্ধশত লজ্জাহীনতার বার্তা শিশুদের মনে দুর্ঘটনার কবলে ইরানের প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টার গুরুতর আঞ্চলিক সঙ্কটে পরিণত হয়েছে রোহিঙ্গা সমস্যা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সকল