১৯ মে ২০২৪, ০৫ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫
`


চুয়াডাঙ্গায় আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা

পিটিয়ে হত্যা -

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় বালু উত্তোলন নিয়ে বিরোধের জের ধরে জাহাঙ্গীর আলম (৩৪) নামে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে।

গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জাহাঙ্গীর আলম উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের নুরুল্লাহপুর গ্রামের রনজিত মল্লিকের ছেলে ও ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

নিহতের স্বজন, পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, তিতুদহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শুকুর আলী ছয়ঘরিয়া গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করে ব্যবসা করে আসছেন। এ নিয়ে প্রতিপক্ষের সাথে তার বিরোধ দেখা দেয় এবং সম্প্রতি শুকুর আলীর কাছে চাঁদা দাবি করেন।

শুকুর আলীর ব্যবসা দেখভাল করতেন জাহাঙ্গীর আলম। গতকাল দুপুর ১টার দিকে ছয়ঘরিয়া গ্রামের কেরু মাঠ এলাকায় বালি উত্তোলন দেখতে যান তিনি। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন গিয়ে চাঁদা দাবি করেন। না দিলে তারা জাহাঙ্গীরকে কোদাল, বেলচা ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জাহাঙ্গীরের মৃত্যু হয়।

নিহতের ভাই ইকবাল হোসেন বলেন, ‘বালু উত্তোলন ও চাঁদা দাবি নিয়ে প্রতিপক্ষের সাথে ভাইদের বিরোধ দেখা দেয়। এরই জের ধরে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমি এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।’

এ বিষয়ে শুকুর আলী বলেন, ‘জাহাঙ্গীর রাজনীতির পাশাপাশি আমার বালুর ব্যবসা দেখাশোনা করতেন। দুপুরে বালু উত্তোলনস্থল কেরু মাঠে গেলে তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। আমি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করছি।’

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, দুপুরে স্থানীয়রা জাহাঙ্গীরকে জরুরি বিভাগে নেয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে হাসাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি রাখেন। জাহাঙ্গীরের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন ছিল। তার বাম হাত ভাঙা ছিল। সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।

এ ঘটনায় নিহতের পিতা রনজিত মল্লিক রাতেই ১১ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় মামলা করেছেন।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল