১৮ মে ২০২৪, ০৪ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫
`


এবার সুস্থ ও বিত্তশালী আ. লীগ নেতার নামে প্রতিবন্ধী কার্ড

রেজি সরকারের নামে প্রতিবন্ধী কার্ড। ছবি - সংগৃহীত

মংলায় সাবেক এক ইউপি মেম্বার ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতির নামে সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রতিবন্ধী কার্ড ইস্যু নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় চলছে। শারীরিকভাবে সক্ষম ও প্রচুর অর্থবৃত্তের মালিক সাবেক ওই ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের নামে প্রতিবন্ধী কার্ড ইস্যু হয়েছে তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। তবে যার নামে এ কার্ডটি হয়েছে সেই মেম্বার রেজি সরকার কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন। আর সমাজসেবা অধিদপ্তরের দাবি প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদনের ভিত্তিতেই এ কার্ড বরাদ্ধ হয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, উপজেলার মালগাজীর বাসিন্দা সুধির সরকারের ছেলে রেজি সরকার ১ নং চাঁদপাই ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছিলেন। একই সাথে তিনি ওই ওয়ার্ডের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের বর্তমান সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। ইউপি সদস্য থাকাকালীন তিনি উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা হাসিবুর রহমানকে ম্যানেজ করে প্রতিবন্ধী কার্ড করেছেন। গত সোমবার প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড প্রতিবন্ধীদের মধ্যে বিতরণ শুরু হলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

স্থানীয় ইউপি মেম্বার জাহাঙ্গীর মল্লিক জানান, মংলা উপজেলার সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে গত রোববার ১০টি কার্ড প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য তিনি উত্তোলন করেন। সে সময়েই সাবেক মেম্বার রেজি সরকারের নামে থাকা কার্ডটি তিনি দেখতে পান। পরে বিষয়টি সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা হাসিবুর রহমানকে জানালে তিনি দাবি করেন, বৈধ কাগজপত্রের ভিত্তিতেই ওই প্রতিবন্ধী কার্ড দেয়া হয়েছে।

আর রেজি সরকার বলেন-‘কীভাবে কার্ড হলো তা আমার জানা নেই। সম্ভবত স্বাক্ষর জাল করে তার প্রতিপক্ষ বর্তমান মেম্বার জাহাঙ্গীর মল্লিক করিয়েছেন।’

এ বিষয় মংলা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা হাসিবুর রহমান বলেন, রেজি সরকার চিকিৎসকদের দেয়া প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ প্রতিবন্ধী কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন। এ আবেদনের প্রেক্ষিতেই তার নামে প্রতিবন্ধী কার্ড ইস্যু করা হয়। প্রতিবন্ধী না হয়েও ভাতা নেয়ার জন্য যদি তিনি এ কার্ড করে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে সাবেক মেম্বার ও স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতার নামে বরাদ্ধকৃত প্রতিবন্ধী কার্ড নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে কানাঘুষাসহ নানা গুঞ্জন চলছে। সমাজসেবা অধিদপ্তর ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদেও এ নিয়ে তোলপাড় চলছে।

 

সাতক্ষীরায় সাবেক ডিসি ও ইউএনও’র কারাদণ্ড

আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় সাতক্ষীরার সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল কাসেম মো: মহিউদ্দিন ও আশাশুনির সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুষমা সুলতানাসহ তিনজনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আশাশুনি আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ সাবরিনা চৌধুরী আজ মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করেন। আসামিদের তিন মাস করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।


আসামি আবুল কাসেম মো: মহিউদ্দিন বর্তমানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে যুগ্ম সচিব এবং সুষমা সুলতানা নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) হিসেবে কর্মকর্তা। দণ্ডিতদের আরেকজন হলেন আশাশুনি সদরের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা কামাল হোসেন।

জেলা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান জানান, ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই আদালত এক একর ৬৮ শতাংশ জমির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। বাদী ননী বালা হালদারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। অথচ ডিসি ও ইউএনও পরস্পরের যোগসাজশে ওই জমিতে বিবাদীপক্ষকে যেতে সহায়তা করেন। এতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করা হয়।

আজ এ বিষয়ে একটি দীর্ঘ শুনানি শেষে সিনিয়র সহকারী জজ তিনজনকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন। তাদের আগামী এক মাসের মধ্যে সাতক্ষীরার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমপর্ণের নির্দেশ দেয়া হয়। এ আদেশ লঙ্ঘন করলে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হবে বলেও জানিয়েছেন আদালত। সিভিল প্রসিডিউরের ৩৯ আদেশ ২(৩) রুল এর বিধানমতে দোষী সাব্যস্ত করে তাদের প্রত্যেককে তিন মাসের দেওয়ানি কারাদণ্ড দেয়া হয়।


আরো সংবাদ



premium cement
কিরগিস্তানে আতঙ্কে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা ‘প্রাচীন হিব্রুদের সাথে ইসরাইলি ইহুদিদের জেনেটিক সংযোগ নেই’ মিয়ানমারের স্বর্ণের খনিসমৃদ্ধ এলাকা দখলে নিলো বিদ্রোহীরা ধর্ষণ মামলায় জুজুৎসুর সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার সেকান্দর সাফিয়া ফাউন্ডেশনের ‘বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক সেমিনার’ অনুষ্ঠিত কিরগিজস্তানে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের ঘরে থাকার পরামর্শ সরকারি কেন্দ্রে ধান বেচতে পারে না কৃষক, লাভ খাচ্ছে দালালরা ব্যবসা সম্প্রসারণে ইএসজি কমপ্লায়েন্স রিপোটিং স্ট্যান্ডার্ড থাকা জরুরি জীবন দিয়ে দেশবিরোধী অপশক্তিকে মোকাবেলা করবো : বাহাউদ্দিন নাছিম পাটকলগুলো নিয়ে নতুন করে চিন্তা করছে সরকার ধনবাড়ীতে পুলিশ পিটিয়ে হ্যান্ডকাপ নিয়ে পালিয়েছে আসামি

সকল