১৯ মে ২০২৪, ০৫ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫
`


গাজা ইস্যুতে ইউরোপের নীতির সমালোচনায় অ্যামনেস্টি

গাজা ইস্যুতে ইউরোপের নীতির সমালোচনায় অ্যামনেস্টি - সংগৃহীত

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাদের বার্ষিক রিপোর্টে জার্মানি-সহ ইউরোপের দেশগুলোর সমালোচনা করলো।

অ্যামনেস্টির রিপোর্টে এবার সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পেয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি। সেই সূত্রেই ইউরোপের দেশগুলোর মনোভাব ও অবস্থান নিয়ে রিপোর্টে মন্তব্য করা হয়েছে।

রিপোর্ট পেশ করে জার্মানিতে অ্যামনেস্টির সেক্রেটারি জেনারেল জুলিয়া ডাচরো জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেয়ারবকের সমালোচনা করেছেন।

তিনি বলেছেন, ‘বেয়ারবক তথ্যের ভিত্তিতে মানবাধিকার ভিত্তিক পররাষ্ট্র নীতি অনুসরণ করছেন না।’ ইসরাইল-গাজা সংঘাত নিয়ে ডবল স্ট্যান্ডার্ড-এর কথাও বলেছেন অ্যামনেস্টি প্রধান।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ইউরোপের কিছু নেতা এবং ইইউ নেতৃত্ব জাতিসঙ্ঘের চার্টারে এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকারে উল্লিখিত নীতিগুলো মানছেন না। তাদের আচরণ ডবল স্ট্যান্ডার্ডের উদাহরণ হয়ে থাকছে।’

২০২৩-এর ৭ অক্টোবর হামাসের সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘হামাস ভয়ংকর অপরাধ করেছে।’

যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ এবং অনেকগুলো দেশ হামাসকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে। ৭ অক্টোবর ইসরাইলে ঢুকে হামাস এক হাজার ২০০ জনকে হত্যা করেছিল এবং প্রায় ২৫০ জনকে অপহরণ করে গাজা ভূখণ্ডে নিয়ে যায় ও বন্দী করে রাখে।

ডাচরো বলেছেন, 'অ্যামনেস্টি হামাস বা কোনো সংগঠনকেই সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে অভিহিত করে না, কারণ, আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের কোনো সংজ্ঞা দেয়া হয়নি।'

ইসরাইল নিয়ে অ্যামনেস্টি
অ্যামনেস্টির রিপোর্টে বলা হয়েছে, '৭ অক্টোবরের পর ইসরাইল প্রত্যাঘাতের প্রচার শুরু করে। এরপর বেসামরিক মানুষের উপর, বেসামরিক পরিকাঠামোর উপর নির্বিচারে আক্রমণ শুরু হয়।’

রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা আন্তর্জাতিক ও মানবিক আইন মেনে গাজায় আক্রমণ করেছে। কিন্তু বাস্তবে তারা এই আইনের প্রধান বিষয়গুলো লঙ্ঘন করেছে।’

গত দুই বছর ধরে ইসরাইল ও ইহুদি সংগঠনগুলো অ্যামনেস্টির প্রবল সমালোচনা করছে। কারণ, আগের রিপোর্টে অ্যামনেস্টি ইসরাইলকে 'বর্ণবিদ্বেষী' বলে অভিযোগ করেছিল। ইসরাইল সেই অভিযোগ খারিজ করে দেয়।

ইসরাইলের অভিযোগ, অ্যামনেস্টি ইহুদি-বিদ্বেষ বাড়াচ্ছে এবং তারা সংঘাত নিয়ে একপেশে মনোভাব নিয়েছে।

মানবাধিকার নিয়ে
অ্যামনেস্টির সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেছেন, '১৯৪৮ সালের সর্বজনীন মানবাধিকারের প্রতিশ্রুতি থেকে বিশ্ব পিছনের দিকে যাচ্ছে।'

তিনি বলেছেন, '২০২৩ সালে অনেক সরকার ও সমাজ স্বৈরাচারী নীতি নিয়েছে, যার ফলে মতপ্রকাশের অধিকার ও লিঙ্গ-সাম্যর উপর আঘাত এসেছে।'

এই রিপোর্টে ইউক্রেন যুদ্ধ ও চীনের আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গের প্রসঙ্গও আছে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন নিয়ে বলা হয়েছে, 'এর ফলে বারবার যুদ্ধাপরাধ করা হয়েছে। যুদ্ধবন্দীদের উপর অত্যাচার ও খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে। নদীবাঁধ ভেঙে দেয়া, বিদ্যুৎকেন্দ্রের উপর আক্রমণ, খাদ্যশস্য রফতানি পরিকাঠামোর উপর আক্রমণের ফলে পরিবেশগত বিপুল ক্ষতি হয়েছে।'
সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement
এভারেস্ট জয় করলেন বাবর আলী বায়ুদূষণে আজ দ্বিতীয় ঢাকা অপরাজেয় থেকেই বুন্দেসলিগার শিরোপা বুঝে নিল লেভারকুসেন যুদ্ধের সময় নিখোঁজ হাজার হাজার মানুষের ভাগ্য সম্পর্কে শ্রীলঙ্কাকে স্পষ্ট জানাতে হবে : জাতিসঙ্ঘ অনুমোদন ছাড়া কিভাবে ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস বিক্রি করছিল কোম্পানিগুলো সরকারি কেন্দ্রে কৃষকেরা ধান বেচতে পারে না, লাভ খাচ্ছে দালালরা গরুর নাম উড়াল সড়ক, ওজন ৩৫ মণ ইরান ২ সপ্তাহের মধ্যে পরমাণু অস্ত্র বানাতে পারবে! বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ভিক্ষুক, মোট সম্পত্তি ৭.৫ কোটি ভারতের কোভ্যাক্সিনেও রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইসরাইল সরকারে ভয়াবহ দ্বন্দ্ব : নেতানিয়াহুকে গাঞ্জের পদত্যাগের আলটিমেটাম

সকল