৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


গাজার বিষয়ে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জাতিসঙ্ঘ কর্মকর্তার

- ছবি : বাসস

গাজায় যুদ্ধের ছয় মাস পূর্ণ হওয়ার পর জাতিসঙ্ঘের একজন কর্মকর্তা শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদকে এ নিয়ে ব্রিফ করেছেন। তিনি গুরুতর মানবিক সঙ্কট তুলে ধরেন এবং জরুরি বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

‘ছয় মাস হৃদয়বিদারক এবং শোকের’ উল্লেখ করে মানবিক বিষয়ক জাতিসঙ্ঘ অফিসের সমন্বয় বিভাগের পরিচালক রমেশ রাজাসিংহাম বলেছেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়া গাজার জনগণের বিশদ বিবরণ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, এই যুদ্ধে ৩৩ হাজারেরও বেশি নিহত এবং ৭৫ হাজার আহত হওয়ার সাথে সাথে পরিস্থিতি একটি জটিল পর্যায়ে পৌঁছেছে। যেখানে শিশু এবং মহিলারা অস্বভিাবিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে।

রাজাসিংহাম জোর দিয়ে বলেছেন, ‘এটা স্পষ্ট যে গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের কোনো সুরক্ষা নেই।’ নিরপরাধ জীবন রক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের জরুরি প্রয়োজনের ওপর জোর দিয়েছেন। এই যুদ্ধে বিপর্যয়কর বাস্তুচ্যুতি হয়েছে, ১৭ লক্ষ মানুষ। গাজার জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে অনিশ্চিত জীবনযাপনে বাধ্য হয়েছে।

জাতিসঙ্ঘের কর্মকর্তা ভয়াবহ বোমাবর্ষণ এবং স্থল অভিযানের আকারে প্রত্যক্ষ করা সাম্প্রতিক ‘স্পর্শকাতর বর্বরতা’সহ সংঘাতের ধ্বংসাত্মক প্রভাবের কথা বর্ণনা করেছেন। যা কেবল শত শত মানুষের প্রাণহানিই ঘটায়নি, বরং মানবিক প্রচেষ্টাকে মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত করেছে।

তিনি বলেন, ‘১ এপ্রিল আল শিফা মেডিক্যাল কমপ্লেক্স থেকে ইসরাইলি বাহিনীর প্রত্যাহার করার পর দেখা যায় হাসপাতালটি প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।’

ইসরাইলি বিমান হামলায় ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের সাত ত্রাণ কর্মী নিহত হওয়ার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে রাজাসিংহাম বলেন, ‘তারা তাদের গতিবিধির কথা ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে জানিয়েছিল।’

রাজাসিংহাম বলেন, এই চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, সাহায্য কর্মীরা প্রয়োজনে তাদের জরুরি সেবা প্রদানের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

রাজাসিংহাম সমস্ত মানবিক সংস্থার জন্য নিরাপদ, দ্রুত এবং নিরবচ্ছিন্ন প্রবেশাধিকারের আহ্বান জানিয়েছেন যাতে প্রয়োজনে সকল বেসামরিক মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছানো যায়। সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement