১৬ মে ২০২৪, ০২ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫
`


'উলভাকিয়া' প্রকল্প : এবার মশা আমদানির পরিকল্পনা!

'উলভাকিয়া' প্রকল্প : এবার মশা আমদানির পরিকল্পনা! - ছবি : সংগ্রহ

ডেঙ্গুর জীবাণু বহনকারী এডিস মশার সংখ্যা কমানোর লক্ষ্যে পরীক্ষামূলকভাবে 'উলভাকিয়া' প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে কিনা তা যাচাই করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়েছে।

জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচি ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার এম এম আখতারুজ্জামান বিবিসি বাংলাকে জানান, 'উলভাকিয়া' এক ধরণের ব্যাকটেরিয়া, যা পুরুষ মশার শরীরে প্রবেশ করানোর মাধ্যমে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।

"মশা নির্মূল এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি উলভাকিয়া নামের এক ধরণের ব্যাকটেরিয়া মশার দেহে প্রবেশ করিয়ে এডিস মশার সংখ্যা কমানোর পরীক্ষামূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশ।"

আখতারুজ্জামান বলেন, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ফিজিসহ বেশ কয়েকটি দেশ সফলভাবে এই পরীক্ষামূলক প্রকল্প চালিয়ে তাদের দেশের এডিস মশার সংখ্যা কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।

"ঐসব দেশের উদাহরণ পর্যবেক্ষণ করে এই উলভাকিয়া প্রজেক্ট বাংলাদেশেও প্রচলন করা বাস্তবসম্মত কিনা, তা যাচাই করতে একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে," জানান
আখতারুজ্জামান।

বাংলাদেশের বাস্তবতায় এ ধরণের প্রকল্প কতটা সম্ভবপর এবং যুক্তিসঙ্গত হবে তা যাচাই করে প্রতিবেদন প্রকাশ করবে ঐ কমিটি।

তবে আখতারুজ্জামান বিবিসিকে বলেন, "এ মুহূর্তে আমাদের মশা আমদানি করার কোনো পরিকল্পনা নাই।"

"এই প্রকল্পের সম্ভাবনা যাচাই বা পরীক্ষামূলক প্রকল্প করা হবে কিনা সেবিষয়ে কারিগরি কমিটির মিটিংয়ের পরে আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারবো।"

উলভাকিয়া : কীভাবে কাজ করবে এই প্রকল্প?
বিভিন্ন দেশে কোন পদ্ধতিতে এই প্রকল্পের সফল পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালানো হয়েছে তা বিবিসি বাংলার কাছে ব্যাখ্যা করেন এম এম আখতারুজ্জামান।

"উলভাকিয়া ইনফেক্টেড পুরুষ মশা পরিবেশে ছেড়ে দেয়ার পর তারা নারী মশার সাথে মিলিত হয়ে নারী মশাদের ডিম তৈরি করার ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়।"

আখতারুজ্জামান জানান, এর ফলে একটি এলাকার এডিস মশার ঘনত্ব ৫০ ভাগ বা কখনো তার চেয়ে বেশি পরিমাণে কমে যায়।

"যেই মশার মাধ্যমে রোগটি ছড়ায়, সেই মশাটির সংখ্যা যখন পরিবেশে কমে যায় তখন ঐ রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনাও কমে যায়।"

এই ধারণার ওপর ভিত্তি করেই বাংলাদেশে এই প্রকল্পের পরীক্ষামূলক বাস্তবায়নের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হতে পারে বলে জানান আখতারুজ্জামান।

তবে এধরণের কোনো প্রকল্প পরীক্ষামূলকভাবে গ্রহণের আগে অনেকগুলো বিষয় যাচাই করা প্রয়োজন বলে জানান আখতারুজ্জামান।

"এধরণের প্রকল্প গ্রহণের আগে পুনঃস্তরবিন্যাসকরণ, পরিবেশগত প্রভাব যাচাই, মানুষের ব্যবহারের ধরণ, সামাজিক ও ধর্মীয় দিকসহ নানা বিষয় যাচাই করা হয় এবং বিভিন্ন স্তরের মানুষের মন্তব্য নেয়া হয়।"

আখতারুজ্জামান জানান, এই প্রকল্পটি একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং এখনো এবিষয়ে কোনো ধরণের সিদ্ধান্ত আসেনি।

"কারিগরি কমিটি একটি মতামত দেয়ার জন্য বলেছে। স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা বেশকিছু প্রতিষ্ঠান, গণস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞসহ মশা নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞদের সাথে বসে ঠিক করা হবে যে এই উলভাকিয়া প্রজেক্টটি বাংলাদেশে পরীক্ষামূলকভাবে বাস্তবায়ন করা হবে কিনা।"

আর যাচাই-বাছাই শেষে যদি এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, তাহলে হয়তো ডেঙ্গু প্রতিরোধে 'উলভাকিয়া' সংক্রমিত মশা ব্যবহারের চিন্তা করা হবে।
সূত্র : বিবিসি

 


আরো সংবাদ



premium cement
মানিকগঞ্জে সান লাইফ ইন্স্যুরেন্সের গ্রাহকদের টাকা না দেয়ায় মানববন্ধন চট্টগ্রামে পিকআপ ও সিএনজির সংঘর্ষে নিহত ১ ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডারের দ্বিতীয় দিনেও রাজশাহীর বানেশ্বর হাট আমশূন্য ভালুকায় আইসক্রিম কারখানায় রান্নার সময় পাঁচকের মৃত্যু আইনি সহায়তায় জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারের কর্মপরিধি-সময়সীমা বাড়ছে সিদ্ধিরগঞ্জে চিহ্নিত হয়নি স্বপ্না হত্যার ঘাতক, স্বজনদের মানববন্ধন বান্দরবানে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষ : নিহত ১, আহত ৭ বিশ্বকাপের দক্ষিণ আফ্রিকা শিবিরে দুঃসংবাদ ইসলাম ধর্ম অবমাননার দায়ে কুবি শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার গাজা যুদ্ধ : বিভক্ত হয়ে পড়েছে ইসরাইলি মন্ত্রিসভা রূপপুরসহ ১০ প্রকল্পে বরাদ্দ ৫২ হাজার কোটি

সকল