আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে শেষ ভাগের তিন গোলে স্কটল্যান্ডকে ৪-০ ব্যবধানে বিধ্বস্ত করেছে নেদারল্যান্ডস।
জুনে ইউরো ২০২৪ প্রস্তুতিকে সামনে রেখে শুক্রবার দুই দল একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিল। এ যাত্রা ডাচরাই আধিপত্য দেখিয়েছে। আমস্টারডামের ইয়োহান ক্রুইফ অ্যারেনাতে সফরকারী স্কটল্যান্ডকে দাঁড়াতেই দেয়নি নেদারল্যান্ডস।
বিরতির ঠিক আগে টিয়ানি রেইন্ডার্সের দূরপাল্লার শটে এগিয়ে যায় রোনালান্ড কোম্যানের দল। স্কটল্যান্ডের লরেন্স শানল্যান্ড দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পোস্টে বল লাগালে সমতায় ফেরা হয়নি সফরকারীদের। আর এই মিসের সুযোগ ম্যাচের শেষভাগে নিয়েছে নেদারল্যান্ডস। ৭২ মিনিটে জর্জিনিও উইজনালডাম ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। শেষ ছয় মিনিটে আরো দুই গোল করেছেন বদলি বেঞ্চ থেকে উঠে আসা ওট ওয়েঘোর্স্ট ও ডনিয়েল মালেন।
এ নিয়ে শেষ ছয় ম্যাচে ১৮ গোল হজম করলো স্কটিশরা। ছয়টি ম্যাচই জয়বিহীন রয়েছে তারা, এর মধ্যে আবার হেরেছে চারটিতে। আর এতেই স্কটিশ বস স্টিভ ক্লার্কের দুশ্চিন্তা আরো বেড়েছে। ১৯৬১ সালের পর প্রথমবারের মতো টানা ছয় ম্যাচে দুইয়ের বেশি গোল তারা হজম করেছে।
ইউরো ২০২৪-এ স্বাগতিক জার্মানির বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরু করবে স্কটল্যান্ড।
মঙ্গলবার হ্যাম্পডেন পার্কে নর্দান আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আরেক প্রীতি ম্যাচে এখন ঘুড়ে দাঁড়ানোর লক্ষ্যস্থির করেছে স্কটল্যান্ড।
এ সম্পর্কে ক্লার্ক বলেছেন, ‘এই ম্যাচটি একেবারেই অপ্রত্যাশিত ছিল। অবশ্যই প্রস্তুতি ম্যাচে ৪-০ গোলে পরাজয় ভালো কোনো ইঙ্গিত নয়। এটা সত্যিই হতাশার। ৭০ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচের গতি বেশ ভালই ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় গোলটি বাজেভাবে হজমের পর সবকিছু পাল্টে যায়। দুই দলের মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্থক্য ছিল ভালো ফিনিশিংয়ের অভাব। এই পরাজয় থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। আমি মনে করি বড় পরাজয়ের পরও এই ম্যাচে বেশ কিছু ইতিবাচক দিক আছে।’
এদিকে, নেদারল্যান্ডস ২০১৩ সালের পর এই প্রথমবারের মতো টানা চার ম্যাচে জয় তুলে নিল।
কোম্যান বলেছেন, ‘আমাদের ভাল ফুটবল খেলাটা জরুরি। বড় ব্যবধানে জয়ী হলেও আমাদেরও ভুল হয়েছে। জার্মানীতে ভালো করতে হলে আমাদের আরো ভালো ফুটবল খেলতে হবে।’
লিভারপুলের দুই তারকা ভার্জিল ফন ডাইক, কোডি গাকপোর পাশপাশি মূল দলে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড মেমফিস ডিপেকেও রেখেছিলেন কোম্যান। তারকা সমৃদ্ধ দল হওয়া সত্ত্বেও প্রথম সুযোগটি তৈরি করে স্কটিশরাই। হার্টস স্ট্রাইকার শানল্যান্ডের হেড বারের উপর দিয়ে চলে যায়। বিলি গিলমোরের অ্যাসিস্টে রায়ান ক্রিস্টির শট কর্নারের মাধ্যমে রক্ষা করেন নেদারল্যান্ডস গোলরক্ষক ফ্লেকেন। ৪০ মিনিটে এসি মিলান মিডফিল্ডার রেইন্ডার্স গাকপোর কাছ থেকে বল নিয়ে প্রথম সুযোগে স্কটিশ গোলরক্ষক অ্যানগাস গুনকে পরাস্ত করেন। এটি রেইন্ডাসের প্রথম আন্তর্জাতিক গোল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ডিপ্রে একটি শট রুখে দেন গুন। জন ম্যাকগিনের শট সেভ করেন ফ্লেকেন। ম্যাকগ্রিনের ক্রসে ক্রিস্টির হেড অল্পের জন্য গোলের ঠিকানা খুঁজে পায়নি। গাকপোর ২০ গজ দূরের শট কোনোমতে রক্ষা করেন গুন। ফ্লেকেনকে একা পেয়েও পরাস্ত করতে পারেননি শানল্যান্ড। আর এতে টাচলাইনে ক্লার্কের হতাশা আরো বেড়েছে। ৭২ মিনিটে গাকপোর ক্রস থেকে পোস্টের খুব কাছে থেকে বল জালে জড়িয়ে ব্যাবধান দ্বিগুণ করে নেদারল্যান্ডস। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক স্ট্রাইকার ওয়েঘোর্স্ট ম্যাচ শেষের ছয় মিনিট আগে ও মালেন দুই মিনিট পর স্কটল্যান্ডের পরাজয়ের ব্যবধান বাড়িয়েছেন।
সূত্র : এএফপি/বাসস
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা