৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


রায়গঞ্জে নির্বাচনী জনসভায় মোদি

বাংলাদেশী-রোহিঙ্গাদের ঢুকিয়ে বাংলার জনবিন্যাস বদলে দিচ্ছে তৃণমূল

-

পশ্চিমবঙ্গে ভোট প্রচারে এসে ফের নরেন্দ্র মোদি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করলেন রোহিঙ্গা ইস্যু। রাজ্যের রায়গঞ্জে দাঁড়িয়ে রোহিঙ্গা অস্ত্রে আরও একবার ধর্মীয় বিভাজনের অঙ্ক উসকে দেওয়ার চেষ্টা করেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলে গেলেন, এ রাজ্যে রামনবমীর শোভাযাত্রার অনুমতি দেয়া হয় না। এ রাজ্যে সিএএ’র বিরোধিতা করা হয়, আবার রোহিঙ্গাদের ঢুকিয়ে জনবিন্যাস বদলে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। খবর সংবাদ প্রতিদিনের।
লোকসভা নির্বাচন নিয়ে রায়গঞ্জের সভায় মোদি বললেন, ‘বাংলায় কিসের অনুমতি পাওয়া যাবে, কিসের পাওয়া যাবে না সেটা তৃণমূলের তোলাবাজরা ঠিক করে, প্রশাসন ঠিক করে না। এখানে রামনবমীর শোভাযাত্রা করার অনুমতি পাওয়া যায় না। কিন্তু যারা রামনবমী আর দুর্গাপূজার শোভাযাত্রায় পাথর ছোড়ে, তাদের পাথর ছোড়ার অনুমতি আছে।’ এসব কথার মাধ্যমে রামনবমীর আগে আরো একবার হিন্দুদের ধর্মীয় আবেগ উসকে দেয়ার চেষ্টা করে গেলেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন সংক্ষিপ্ত ভাষণের শুরু থেকেই মোদি বিভাজন অস্ত্রের খেলা খেললেন। তিনি বলেন, ‘আজ বাংলার যেসব ভাইবোন বিভাজনের শিকার, দেশভাগের শিকার, তাদের নাগরিকত্ব দেয়ার বিরোধিতা করে তৃণমূল। অথচ, বাংলাদেশী-রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের ঢুকিয়ে বাংলার জনবিন্যাস এবং আইনশৃঙ্খলা নষ্ট করার অনুমতি দিয়ে রেখেছে। এরা নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক বাড়ানোর জন্য বাংলার ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিচ্ছে।’
তবে মোদি তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে সাহায্য করার অভিযোগ তুললেও এর পাল্টা যুক্তিও আছে। প্রশ্ন উঠছে, সীমান্ত রক্ষার দায় তো বিএসএফের। অনুপ্রবেশ হলে সেই দায় কেন্দ্র এড়ায় কী করে?
রায়গঞ্জে সংখ্যালঘু ভোটার এবং হিন্দু ভোটার প্রায় সমান সমান। ২০১৯ সালে দাঁড়িভিট পরবর্তী মেরুকরণের সুফল পেয়েছিল বিজেপি। সামান্য ব্যবধানে জিতেছিলেন দেবশ্রী চৌধুরী। এবারেও সেই মেরুকরণকেই অস্ত্র করতে চাইছেন মোদি। আর সেটা তার এ দিনের ভাষণে স্পষ্ট।

 


আরো সংবাদ



premium cement