৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


৮০ কিলোমিটার বেগে কালবৈশাখীর ছোবলে ক্ষতিগ্রস্ত সারা দেশ

-

বাংলা বর্ষের শুরুতেই দেশের আট বিভাগে বয়ে গেছে শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড়। কালবৈশাখী প্রচণ্ড বাতাস প্রবাহিত হলেও চলমান গরম কমছে না। দেশব্যাপী চলছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ। কোথাও কোথাও ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরেও তাপমাত্রা উঠে জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হলেও তাপমাত্রার অনুভূতি ৪৪ থেকে ৪৬ ডিগ্রির মধ্যে। কালবৈশাখী থেমে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই আবার শুরু হয়েছে অসহনীয় গরম। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গতকাল ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাওয়া প্রচণ্ড বেগের কালবৈশাখীতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে মানুষের মধ্যে। এর সাথে বজ্রপাতের আতঙ্কই ছিল বেশি। ইদানীং বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা বেড়েছে, এটাও মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। গত দুই দিন থেকেই ঝড়ের সাথে বজ্রবৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি চলছে। হঠাৎ প্রচণ্ড বেগে ধেয়ে আসা বাতাস উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে টিনের চাল, ভেঙে দিয়ে যাচ্ছে আমের ডাল। গাছ ভেঙে রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। শহরাঞ্চলে বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ড ভেঙে পথচারীর গায়ে পড়ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বৃষ্টিহীন ঝড় থাকায় ধুলায় ধূসরিত হচ্ছে চারপাশ। গতকাল মঙ্গলবারও দেশের আট বিভাগেই কালবৈশাখীর ছোবলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মানুষ।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এছাড়া ময়মনসিংহ, মাদারীপুর, বরিশাল, ফরিদপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলসমুহের উপর দিয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদী বন্দরসমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
তবে আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রের তথ্য বিশ্লেষণ করে জানিয়েছেন, গতকাল দুপুর ১২টার পর থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত দেশের ছয় বিভাগের জেলাসমূহের ওপর দিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে বজ্রপাতসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হয়ে যেতে পারে। আজ বুধবার পর্যন্তও দেশের প্রায় সর্বত্র চলমান তাপ প্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে এবং একই সাথে আবহাওয়াও শুষ্ক থাকতে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গতকাল দেশের বিভিন্ন স্থানের ওপর দিয়ে কালবৈশাখী বয়ে গেলেও বৃষ্টি সর্বত্র হয়নি। ঢাকা শহরে বিকালে প্রচণ্ড গতিতে ঝড় বয়ে গেলেও বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে মাত্র ১২ মিলিমিটার। গতকাল ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে ফরিদপুরে ২৩ মিলিমিটার।

 


আরো সংবাদ



premium cement