৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


৫০ লাখ ডলারে মিলেছে মুক্তি : রয়টার্স

সোমালি উপকূলে জিম্মি বাংলাদেশী জাহাজ ও ২৩ নাবিকের মুক্তি

মুক্ত হওয়ার পর বাংলাদেশী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর (ইনসেটে) নাবিকরা বাংলাদেশের পতাকা হাতে : সংগৃহীত -


অবিশ্বাস্য দ্রুততম সময়ে সোমালীয় উপকূলে জিম্মি বাংলাদেশী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও এর ২৩ নাবিকের মুক্তি মিলেছে ৩২ দিনের মাথায়। গত শনিবার দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটে জাহাজে থাকা ৬৫ জলদস্যু একে একে নেমে যাবার সময় নাবিকদের উদ্দেশে বলে যায় ‘তোমরা এখন মুক্ত’। জাহাজটির মালিকপক্ষ বলছে- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সোমালিয়া এমনকি কেনিয়ার মেরিটাইম আইন মেনে জাহাজ ও নাবিকদের মুক্ত করা হয়েছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে। তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্স সোমালীয় দস্যুদের উদ্ধৃতি দিয়ে ৫০ লাখ মার্কিন ডলারে এই জিম্মিদশার অবসান হয়েছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। অবশেষে যেভাবেই মুক্ত হোন না কেন এখন নাবিকদের পরিবারে আনন্দের ঢেউ বইছে। জাহাজটি এখন ইইউ নেভাল ফোর্স আটলান্টার নিরাপত্তা বেষ্টনীতে দুবাইয়ের পথে সমুদ্র পাড়ি দিচ্ছে।

যেভাবে অতি দ্রুততায় মুক্তি : ছিনতাই হওয়ার এক মাসের মাথায় সোমালিয়ার উপকূল থেকে জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের মুক্ত করার নজির খুব একটা দেখা যায় না। মেরিটাইম সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সে তুলনায় এমভি আবদুল্লাহ অতি দ্রুতই মুক্ত হয়েছে। সোমালীয় জলদস্যুরা গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করে। মুক্তিপণ দিয়ে জাহাজ ও এর নাবিকরা মুক্ত হয় গত শনিবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত মধ্যরাত ৩টা ৮ মিনিটে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আগে থেকে প্রস্তুত থাকা ৯টি বোটে করে জলদস্যুরা চলে যায় রাতের আঁধারে। যাবার প্রাক্কালে নাবিকদের উদ্দেশে বলে যায়, ‘তোমরা এখন মুক্ত’। এর পর পরই এমভি আবদুল্লাহর ক্যাপ্টেন জাহাজটির মালিকপক্ষের কাছে তাদের মুক্তির বার্তা পাঠান।
কীভাবে এত দ্রুত জাহাজটি মুক্ত করা সম্ভব হলো- জানতে চাইলে কেএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত বলেন, এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাইয়ের পর নাবিকদের দ্রুত নিরাপদে ফেরানোই ছিল আমাদের মূল লক্ষ্য। তাই প্রথম দিন থেকেই আমরা কাজ শুরু করি। একদিকে সোমালিয়ার উপকূলে দস্যুতার প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় আন্তর্জাতিক নৌবাহিনীর তৎপরতা বাড়ায় দস্যুরা চাপে ছিল। পাশাপাশি আগের অভিজ্ঞতা থাকায় দস্যুদের সাথে আলোচনায় সমঝোতার প্রক্রিয়াগুলোও আমরা গুছিয়ে এনেছিলাম। সরকারও নাবিকদের উদ্ধারে আমাদের সব রকমের সহযোগিতা করেছে।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএমএমএ) সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী বলেন, এক দশক আগের চেয়ে এখনকার সোমালিয়ার উপকূলের পরিস্থিতি ভিন্ন। জলদস্যুদের হাতে ছিনতাই হওয়া জাহাজের সংখ্যা ছিল কম। দস্যুদের নগদ অর্থের প্রয়োজন ছিল বেশি। আবার জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপও দ্রুত সমঝোতা করতে চেয়েছিল। তা ছাড়া আন্তর্জাতিক নৌবাহিনীর নিয়মিত নজরদারি দস্যুদের উপর চাপ বাড়িয়েছিল। ফলে আগের ঘটনাগুলোর চেয়ে কম সময়ে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের নাবিকদের মুক্ত করে আনা সম্ভব হয়েছে বলে তিনি জানান।

মালিক পক্ষের সংবাদ সম্মেলন : গত রোববার দুপুরে চট্টগ্রামস্থ কবির গ্রুপের কার্যালয়ে এসআর শিপিংয়ের পক্ষ হতে জাহাজ ও এর নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে জিম্মিদশা থেকে জাহাজ ও নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন কেএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত ও প্রতিষ্ঠানের সিইও মেহেরুল করিম। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেএসআএমের ডিএমডি করিম উদ্দিন, সরওয়ার জাহান রোকন ও গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে কেএসআরএম গ্রুপ ও এসআর শিপিংয়ের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত বলেন, বিষয়টি সেনসেটিভ হওয়ায় কৌশলগত কারণে এতদিন সামনে আসিনি। ৩১ দিন পর জাহাজ মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। নাবিকদের মুক্ত করা গেছে, এটা আমাদের জন্য অনেক আনন্দের। জাহাজ ও জিম্মি নাবিকদের মুক্ত করতে সহযোগিতা করায় প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কবির গ্রুপের পক্ষ হতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে কেন আর্মড গার্ড ছিল না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, জাহাজটি যে পথ দিয়ে যাচ্ছিল, তা হাই রিস্ক এরিয়ার ডবল রেঞ্জের বাইরে ছিল। ২০০ নটিক্যাল মাইল হচ্ছে হাই রিস্ক এরিয়া। জাহাজ ৬০০ নটিক্যাল মাইল দিয়ে চলছিল। মুক্ত হওয়ার পর এমভি আবদুল্লাহ তার গন্তব্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ১৯ বা ২০ এপ্রিল পৌঁছাবে জানিয়ে শাহরিয়ার জাহান রাহাত বলেন, সেখানে সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ৪-৫ দিন পর বিমানে অথবা জাহাজে করে নাবিকরা দেশের উদ্দেশে রওনা হবেন। বিমানে নাকি জাহাজে তারা দেশে ফিরবেন তা এখনো ঠিক হয়নি। জাহাজটি কয়লা খালাস শেষে চট্টগ্রামে ফিরবে জানিয়ে তিনি বলেন, নাবিকরাই ঠিক করবেন তারা কিভাবে দেশে ফিরবেন।

প্রতিষ্ঠানের সিইও মেহেরুল করিম বলেন, আন্তর্জাতিক সব সংস্থার সাথে সমন্বয় করে সব কাজ লিগ্যালি আমরা শেষ করেছি। মুক্তিপণের বিষয়ে জানতে চাইলে সরাসরি কোনো উত্তর না দিয়ে মেহেরুল করিম বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সোমালিয়া এমনকি কেনিয়ার মেরিটাইম আইন মেনে কাজ করেছি। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সাথে যোগাযোগ করে কাজ করেছি। সমঝোতার শর্ত অনুসারে অনেক বিষয় আমরা চাইলেই প্রকাশ করতে পারব না। কারণ আমরা সে ব্যাপারে চুক্তিবদ্ধ।

ইতঃপূর্বে একই মালিকের জাহাজ এমভি জাহান মণি জলদস্যুদের কবলে পড়ার পর মুক্তিপণ দিয়ে নাবিকরা মুক্ত হওয়ার পর জাহাজটি পরিচালনায় বিকল্প নাবিকদের একটি দল দায়িত্ব নিয়েছিল। এবারও কি বিকল্প নাবিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে? এমন প্রশ্নে এবার বিকল্প নাবিক প্রস্তুত রাখা হয়নি জানিয়ে মেহেরুল করিম বলেন, বিকল্প একজন ক্রুও রেডি করা হয়নি। কারণ এমভি আবদুল্লাহর নাবিকরা কীভাবে ফিরবেন, এখনো সে সিদ্ধান্ত হয়নি। তাদের সিদ্ধান্ত অনুসারে বাকি পদক্ষেপ নেয়া হবে। তিনি জানান, এমভি জাহান মণি গ্রিসের পথে পণ্য নিয়ে যাচ্ছিল। মুক্তির পর নাবিকরা জাহাজ নিয়ে কাতারে যায়। কিন্তু পণ্য খালাসের কথা ছিল ইউরোপে। তাই বিকল্প নাবিকদের যেতে হয়। এমভি আবদুল্লাহর পণ্য দুবাইতেই খালাস হবে। সেখান থেকে জাহাজেরও দেশে ফেরার কথা। মেহেরুল করিম বলেন, এখন নাবিকরাই ঠিক করবেন তারা কীভাবে দেশে ফিরবেন।

মুক্তিপণেই মুক্তি : জাহাজটির মালিকপক্ষ কিংবা সরকারের তরফে জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের মুক্তিতে মুক্তিপণ দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করা হয়নি। তবে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স জলদস্যুদের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রকাশ করা প্রতিবেদনে ৫০ লাখ মার্কিন ডলারে মুক্তির বিষয়টি উল্লেখ করেছে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আবদুল্লাহর নাবিকরা সবাই জাহাজের ডেকে লাইন ধরে দাঁড়ানো। ছোট আকারের একটি উড়োজাহাজ এমভি আবদুল্লাহর সামনে চক্কর দিচ্ছে। ওই সময় জলদস্যুরা দুটি স্পিডবোট নিয়ে জাহাজের সামনে অবস্থান নেয়। উড়োজাহাজটি একবার চক্কর দিয়ে একটি করে ব্যাগ পানিতে ফেলছিল। তার পর স্পিডবোটে থাকা জলদস্যুরা সেই ব্যাগটি তুলে নিচ্ছিল। এভাবে তিনবার তিনটি ব্যাগ ফেলা হয়। প্রতিবারই জলদস্যুরা উল্লাস করছিল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনের শিরোনাম- ‘সোমালী পাইরেটস চে হাইজ্যাকড শিপ এমভি আব্দুল্লাহ রিলিজড আফটার ৫ মিলিয়ন র‌্যামসম ওয়াজ পেইড’। দুইজন জলদস্যুর উদ্ধৃতি দিয়ে করা ওই প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, জলদস্যুদের একজন আবদিরশিদ ইউসুফ বলেছেন, ‘দুই রাত আগেই আমাদের কাছে ডলার আনা হয়...। আমরা যাচাই করে দেখেছি, ডলারগুলো আসল না জাল। তার পর আমরা ডলারগুলো কয়েকটি দলের মধ্যে ভাগ করে সরকারি বাহিনীকে এড়িয়ে জাহাজ ত্যাগ করি।’

সব নাবিকসহ জাহাজটিকে মুক্তি দেয়া হয় বলে জানান আবদিরশিদ ইউসুফ। এ বিষয়ে জানতে সোমালিয়ার সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা সাড়া দেননি বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
দুবাইয়ের পথে এমভি আবদুল্লাহ : সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হওয়ার পর জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হারমিয়া বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন নৌবাহিনীর আটলান্টা অপারেশনের দুটি ফ্রিগেট বাংলাদেশী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে পাহারা দিচ্ছে বলে জানা গেছে। এ সময় একটি ফ্রিগেট থেকে নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে আসেন এবং আশ্বস্ত করেন, তারা এখন সুরক্ষিত। জাহাজটির এক নাবিক তার পরিবারকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ দিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নেভাল ফোর্স আটলান্টা গতকাল বেলা ২টা ১ মিনিটে এক এক্স (সাবেক টুইটার) বার্তায় জানিয়েছে, ২৩ নাবিকসহ বাণিজ্যিক জাহাজটি মুক্ত হওয়ার পর ইইউ নেভাল ফোর্স আটলান্টার যুদ্ধ জাহাজের এসকর্টে রয়েছে। ওই এক্স বার্তায় তিনটি ছবিও সংযুক্ত করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ প্রায় ৮০ কোটি টাকা মূল্যের ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা বোঝাই করে মোজাম্বিক থেকে দুবাই যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগর থেকে বাংলাদেশী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে ২৩ নাবিকসহ নিজেদের জিম্মায় নেয় জলদস্যুরা। জাহাজটি কয়েক দফায় স্থান পরিবর্তন করে এখন সোমালিয়ার গদভজিরান অঞ্চলের জিফল উপকূলের কাছে নোঙ্গর করা ছিল। ছিনতাইয়ের ৯ দিনের মাথায় দস্যুরা প্রথম মালিকপক্ষের কাছে মুক্তিপণের দাবি জানায়। এর পর শুরু হয় দর-কষাকষি। ইতঃপূর্বে একই গ্রুপের মালিকানাধীন জাহাজ এমভি জাহান মণি ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর সোমালীয় জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হয়েছিল ২৫ নাবিক ও চিফ ইঞ্জিনিয়ারের স্ত্রীসহ। সে সময় প্রায় ১০০ দিনের দরকষাকষিতে জিম্মি নাবিক ও জাহাজটি অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছিল কবির গ্রুপ।

নোয়াখালীর ২ নাবিকের পরিবারে স্বস্তি
নোয়াখালী অফিস জানায়, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের জিম্মি থাকা ২৩ নাবিক অবশেষে মুক্তি পেয়েছে। তাদের মধ্যে নোযাখালীর দু’জনের পরিবারে স্বস্তি এলেও বাড়ি না আসা পর্যন্ত এখনো তাদের মধ্যে এক ধরনের উৎকণ্ঠা রয়ে গেছে। জানা গেছে, ২৩ নাবিকের মধ্যে রয়েছেন, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জউপজেলার রামপুর ইউনিয়নের নাবিক রাজু (২৭) ও চাটখিল উপজেলার নোয়াখোলা ইউনিয়নের সিংবাহুড়া গ্রামের নাবিক মোহাম্মদ ছালেহ আহমদ (৪৩)। কো¤পানীগঞ্জ উপজেলার নাবিক রাজু বাড়িতে এসে ঈদ করার কথা ছিল। গত বছর নভেম্বর মাসের শেষ দিকে রাজু সিঙ্গাপুর থেকে জাহাজে ওঠে। ঈদের দুই দিন পর রাজুর মুক্তিতে পরিবারে এখন আনন্দ বিরাজ করছে। নাবিক রাজুর বাবা মাস্টার আজিজুল হক দীর্ঘ ৩২ দিন পর ছেলের মুক্তির খবরে আমরা আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরলাম। সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে ২৩ নাবিককে উদ্ধারে প্রদক্ষেপ গ্রহণ করায় তাদেরকে ধন্যবাদ।
অপর দিকে স্ত্রী ও তিন মেয়েকে নিয়ে চাটখিল উপজেলার নাবিক মোহাম্মদ ছালেহ আহমদের ছোট পরিবার। তিনিই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। ছালেহ আহমদ গত বছর ঈদ করেছেন কর্মস্থলে। স্ত্রী ও তিন কন্যার আশা ছিল এবার তাদের সাথে ঈদ করবেন। কিন্তু স্বামী জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার খবরে এলোমেলো হয়ে যায় স্বাভাবিক জীবন। তিন মেয়েকে নিয়ে এখন ছালেহ আহমেদের স্ত্রী তানিয়া আক্তার স্বামীর ফেরার অপেক্ষা করছেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement