৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো ইরান ও ইসরাইলের সঙ্ঘাত বন্ধে ভূমিকা রাখবে

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আশাবাদ
-

ইরান ও ইসরাইলের সঙ্ঘাত নিরসনে এবং গাজায় নির্বিচারে মানুষ হত্যা বন্ধে বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো ভূমিকা রাখবে বলে আশা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশের অবস্থান অত্যন্ত পরিষ্কার। আমরা যেকোনো যুদ্ধবিগ্রহের বিরুদ্ধে। পৃথিবীর সব যুদ্ধ বন্ধ হোক এবং শান্তি স্থাপিত হোক- এটি আমরা চাই। গাজায় যে নির্বিচারে নারী ও শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, সেটি অবিলেম্বে বন্ধ হোক- এটিও আমরা চাই।
গত রোববার এন্টিগুয়া ও বারমুডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চেট গ্রিনের সাথে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। হাছান মাহমুদ বলেন, সিরিয়ায় ইরানি মিশনে ইসরাইল আক্রমণ করেছে। এর পরই ইরান পাল্টা আক্রমণের করার সুযোগ পেয়েছে। অন্যথায় হয়তো এই সঙ্ঘাত হতো না। ইরানের বক্তব্য তারা ইসরাইলি আক্রমণের পাল্টা জবাব দিয়েছে। আমরা চাই সব যুদ্ধবিগ্রহ বন্ধ হোক। যেসব রাষ্ট্র সঙ্ঘাত বন্ধে ভূমিকা রাখতে পারে, তারা যথাযথ ভূমিকা পালন করুক। ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে সেটিকে নিরসন করতে এবং একই সাথে গাজায় নির্বিচারে যে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে সেটি বন্ধে ভূমিকা রাখতে হবে।

সোমালিয়ায় বাংলাদেশী নাবিকদের উদ্ধার প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সোমালিয়ার জলদস্যুরা আমাদের নাবিকদের সুস্থ অবস্থায় মুক্তি দিয়েছে। নাবিকরা ইতোমধ্যে সোমালিয়া থেকে ১০০ নটিক্যাল মাইল দূরে চলে এসেছেন। ইউরোপিয়ান একটি জাহাজ তাদের গাইড করে নিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, ইউরোপে যখন কোনো জাহাজ যায়, তখন আর্মড-গার্ড ভাড়া করে নিয়ে যায়। আমরা বিষয়টি তদন্ত করেছি। জাহাজের নাবিকদের বক্তব্য ছিল, জলদস্যু দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সময় তারা সোমালিয়ার উপকূল থেকে প্রায় এক হাজার নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল। যে কারণে আর্মড গার্ড ভাড়া করা হয়নি। কিন্তু আর্মড গার্ড থাকলে এমন ঘটনা ঘটত না। জলদস্যুরা খবর রাখে কোন জাহাজের মধ্যে আর্মড গার্ড আছে, আর কোনো জাহাজে নেই। তবে স্বস্তির বিষয় হচ্ছে, আমাদের নাবিকদের দ্রুত সময়ের মধ্যে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement