১৯ মে ২০২৪, ০৫ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫
`


বাজেট নয়, উদ্দেশ্য পূরণ হবে না বলে পর্যবেক্ষক পাঠাবে না ইইউ

-


জাতীয় নির্বাচনে ইইউ পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর কারণ হিসেবে বাংলাদেশের ইসি বাজেট ঘাটতির কথা বললেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মুখপাত্র জানিয়েছেন ভিন্ন কথা। ইইউ মনে করছে, বাংলাদেশের নির্বাচনে এখন তাদের পর্যবেক্ষণ মিশন পাঠালে উদ্দেশ্য পূরণ হবে না।
বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের ইইউ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশন (ইওএম) না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে তারা চিঠি পাঠিয়েছে বলে বৃহস্পতিবার স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন। স্থানীয় একটি ইংরেজি দৈনিক তাদের প্রতিবেদনে ইসি সচিব মো: জাহাংগীর আলমকে উদ্ধৃত করে লিখেছে, ‘ইতোমধ্যে তাদের সদর দফতর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তাদের যে পূর্ণাঙ্গ একটি মিশন নির্বাচন (দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন) পর্যবেক্ষণে পাঠানোর আর্থিক বিষয় ছিল, ডিউ টু বাজেট; এটার কারণে তারা আপাতত নামঞ্জুর করেছেন। আপাতত না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’

ইসি সচিব এমন বক্তব্য দিলেও বাংলাদেশের কয়েকটি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের নির্বাচনের পরিবেশ পর্যবেক্ষণের জন্য অনুকূল না থাকায়’ নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানিয়ে চিঠি দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এ ব্যাপারে জানতে ডয়চে ভেলের পক্ষ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনৈতিক দফতর ইইউ এক্সটার্নাল অ্যাকশনের (ইইএএস) কাছে মেইল পাঠানো হয়।
ডয়চে ভেলের দেয়া মেইলের উত্তরে ইইএএসের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতিবিষয়ক মুখপাত্র নাবিলা মাসরালি বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনে পর্যবেক্ষণ মিশন না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করেন। বাজেট সঙ্কটের কারণে ইইউ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, বাংলাদেশ সফর করে যাওয়া নির্বাচন অনুসন্ধান মিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে তারা সিদ্ধান্তটি নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ যেসব আন্তর্জাতিক মান মেনে চলার অঙ্গীকার করেছে, তার ভিত্তিতে আসন্ন নির্বাচনে পর্যবেক্ষণ মিশন পাঠানো কার্যকর, ফলপ্রসূ এবং সমীচীন হবে কি না, সে বিষয়ে স্বাধীনভাবে সঠিক তথ্য সংগ্রহ এবং কৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকে মূল্যায়ন করার জন্য ৬ থেকে ২২ জুলাই ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশে স্বাধীন নির্বাচন অনুসন্ধান মিশন পাঠায়।’

স্বাধীন এই মিশনে চারজন ‘এক্সটার্নাল’ বিশেষজ্ঞ ছিলেন বলে জানিয়ে ইইউ মুখপাত্র বলেন, তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নির্বাচন কর্তৃপক্ষ, বিচার বিভাগ, রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যম, নাগরিক সমাজ, নিরাপত্তা বাহিনী এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেছেন। তাদের সুপারিশ প্রসঙ্গে নাবিলা বলেন, ‘তারা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে ইইউর নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশন পাঠানোর উদ্দেশ্য এই সময়ে পূরণ হবে না।’
তিনি আরো জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়েছে। তবে বাংলাদেশের সরকার এবং নির্বাচন কমিশন স্বাগত জানালে ইইউ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সহায়তার জন্য অন্য উপযুক্ত বিকল্পের খোঁজ করতে পারে।

 


আরো সংবাদ



premium cement

সকল