১৯ মে ২০২৪, ০৫ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫
`


বেগুন বরবটির সেঞ্চুরি

৬০ টাকার কমে মিলছে না সবজি
-

নিত্যপণ্যের দাম প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে সব ধরনের সবজি ও মাছের দাম। এর মধ্যে কয়েকটি সবজি সেঞ্চুরি পার করেছে। আর ৬০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো সবজিই। দ্রব্যমূল্যের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে না নাগরিকদের আয়। ফলে বাজারের তালিকা প্রতিদিনই কাটছাঁট করতে হচ্ছে তাদের। অনেক সময় দ্রব্যমূল্যের সাথে তাল মেলাতে না পেরে বাজার থেকে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে। এরপরও দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানতে পারছে না সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষ।

গতকাল রাজধানীর কয়েকটি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি। লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০ টাকায়। বরবটি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, পটোল প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সবজির মধ্যে সবচেয়ে কম দাম বলতে পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। এ ছাড়া ঝিঙা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, প্রতি পিস জালি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, লাউ প্রতি পিস ৭০ টাকায়। কাঁচাকলা প্রতি হালি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে মুলা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ধুন্দল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কচুর মুখি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কচুর লতি প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫৫ টাকায়। এ ছাড়া আগের আলু প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫৫ টাকায়। অন্য দিকে দেশী পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায় আর আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকায়।

সবজির দাম এমন বৃদ্ধির অভিযোগ স্বীকার করছেন বিক্রেতারা। তারা বলছেন, কিছু দিন ধরে সবজির দাম বাড়তি যাচ্ছে। বাজারে বরবটি, বেগুন আর টমেটোর দাম ১০০ থেকে ১২০ টাকা আর বাকিগুলো ৭০ থেকে ৮০ টাকার ঘরে আছে। সবজির দাম বাড়ার মূল কারণ এখন অনেকগুলো সবজির মৌসুম নয় তাই দাম বেশি যাচ্ছে। এ ছাড়া পরিবহন খরচ, রাস্তা খরচ সব মিলিয়ে আমরা কিছুটা লাভ করে সবজি বিক্রি করছি। যে কারণে ক্রেতা পর্যায়ে সবজির দাম বাড়তি যাচ্ছে।

ক্রেতাদের অভিযোগ, প্রতিদিনই দাম বাড়ছে। গত সপ্তাহে যে সবজি কিনেছি এই সপ্তাহে এসে তাতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। কোনো কিছুর দামই কমছে না। এত দাম হলে আমরা সাধারণ ক্রেতারা তো মাছ গোশতের মতো সবজিও কিনতে পারব না।
বাজারে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৪ টাকায়। খোলা সয়াবিন প্রতি লিটার ১৫৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা চিনি প্রতি কেজি ১৩০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি কেজি প্রতি ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ব্রয়লার মুরগির প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি ৩৮০ টাকা, সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা আর দেশী মুরগি প্রতি কেজি ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্য দিকে বাজারে গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায় আর খাসির গোশত প্রতি কেজি ১০০০ থেকে ১,১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া বাজারে বিভিন্ন শাকের দামও বেড়ে গেছে। প্রতি আঁটি লাল, মুলা, কলমি শাক ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্য দিকে পুঁইশাক, মিষ্টিকুমড়া, লাউশাকের আঁটি ৩০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজারে তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাঙ্গাশ প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর এক কেজি ওজনের রুই মাছের দাম ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, দুই-আড়াই কেজি ওজনের দাম ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, আর তিন কেজির বেশি ওজনের হলে দাম হাঁকা হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি। মাঝারি ও বড় সাইজের কাতল মাছ ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কই মাছ প্রতি কেজি ৩২০ টাকা, পাবদা মাছ প্রতি কেজি ৩৮০ থেকে ৪৬০ টাকা, শিং মাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, কাতল মাছ প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা, রূপচাঁদা প্রতি কেজি ৮৫০ টাকা, ইলিশ ৮০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ১২০০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৬৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ইরান ২ সপ্তাহের মধ্যে পরমাণু অস্ত্র বানাতে পারবে! বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ভিক্ষুক, মোট সম্পত্তি ৭.৫ কোটি ভারতের কোভ্যাক্সিনেও রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইসরাইল সরকারে ভয়াবহ দ্বন্দ্ব : নেতানিয়াহুকে গাঞ্জের পদত্যাগের আলটিমেটাম রাফায় ইসরাইলি হামলা, সরে যেতে বাধ্য হয়েছে ৮ লাখ ফিলিস্তিনি চেন্নাইকে বিদায় করে বেঙ্গালুরুর ‘অবিশ্বাস্য’ প্লে অফ মনের মিনার ভেঙে পড়েনি মার্কিন প্রশাসনের ‘বাকস্বাধীনতা’র মুখোশ শিগগিরই মাগুরায় রেললাইন চালু হবে : রেলমন্ত্রী সংসদ ভবনের সামনে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রলীগকর্মী নিহত জুজুৎসুর সম্পাদকের যৌন নিপীড়নের তথ্য দিলো র্যা ব

সকল