২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ৩ ঘণ্টা বন্ধ

চৌদ্দগ্রামে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ৫০

চৌদ্দগ্রামে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষে সংঘর্ষ চলাকালে সাবেক মেয়র মিজানের কর্মীদের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ : নয়া দিগন্ত -


কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পুলিশসহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া নৈরাজ্যে সাড়ে ৩ ঘণ্টা বন্ধ ছিল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। মহাসড়কে ৩০ কিলোমিটার এলাকায় যানজট ছড়িয়ে পড়ে। আটকা পড়ে অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী গাড়ি, যাত্রীবাহী গাড়িসহ অন্যান্য যানবাহন। তীব্র তাপদাহের মাঝে দুর্ভোগে পড়েন নারী- শিশুসহ হাজারো যাত্রী। অনেকে পরিবহন থেকে নেমে হেঁটে পথ পাড়ি দিতে থাকেন। মহাসড়কে ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলির ঘটনা ঘটে। চলে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। এ সময় অস্ত্রের প্রদর্শনী দেখা দেয়। মহাসড়কে থমকে থাকা গাড়িতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এতে পরিবহনের যাত্রী, চালক ও বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়া মহাসড়ক সংলগ্ন চৌদ্দগ্রাম বাজারের হাসপাতাল ও মার্কেটে ভাঙচুর চালানো হয়।

সরেজমিন দেখা গেছে, মহাসড়কের পাশে লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে আছে লোকজন। প্রত্যেকের হাতে লাঠি, দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার সাবেক মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমানের গ্রুপ শোডাউনের আয়োজন করে। তার সমর্থকরা যেন শোডাউনে আসতে না পারে সে জন্য মহাসড়কের মোড়ে মোড়ে তল্লাশি চালায় স্থানীয় সংসদ সদস্য মুজিবুল হকের সমর্থকেরা। এ সময় মহাসড়কে প্রাইভেট কার, মাইক্রো বাস, ট্রাক, পিকআপ ও অ্যাম্বুলেন্সও তল্লাশি করতে দেখা যায়।

চৌদ্দগ্রামের সাবেক মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান বলেন, আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে হুমকির প্রতিবাদে মিছিল করতে একত্র হয়েছিলাম। এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য মুজিবুল হকের সমর্থকরা লোকজনের ওপর হামলা করে। আমাদের ৩০ জনের মতো কর্মী আহত হয়েছেন। তারা ব্যাপক ভাঙ্চুর চালায় ও অগ্নিসংযোগ করে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য মুজিবুল হক সমর্থিত চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার মেয়র জিএম মীর হোসেন মীরু বলেন, আমরা বিএনপি ও জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে সভার আয়োজন করেছি। বাধা দিতে এলে তাদের সাবেক মেয়র মিজানকে প্রতিহত করা হয়েছে। নিজেদের কয়েকজন আহত হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।

চৌদ্দগ্রাম উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: গোলাম কিবরিয়া বলেন, আমাদের হাসপাতালে ৩০ জনের মতো চিকিৎসা নিয়েছেন। অনেকে চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। এর মাঝে একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, আমরা দুই পক্ষের উত্তেজনা নিরসনে চেষ্টা করেছি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ সময় আমাদের চারজন সদস্য আহত হয়েছেন। কোনো পক্ষ লিখিত কোনো অভিযোগ দেননি বলেও তিনি জানান।

 


আরো সংবাদ



premium cement