২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সাড়ে ১১ হাজারের কোঠায় এক দিনের শনাক্ত

আক্রান্তের হার ২৮.৪৯ শতাংশ
-

সাড়ে ১১ হাজারের কোঠায় পৌঁছেছে এক দিনের করোনা শনাক্ত। গতকাল সারা দেশে ৪০ হাজার ১৩৪টি নমুনা পরীক্ষা করে করোনা পজিটিভ হয়েছে ১১ হাজার ৪৩৪ জন। করোনাভাইরাসে ভুগে মারা গেছেন ১২ জন। এখন থেকে করোনায় যত বেশি সংক্রমিত হচ্ছে এর বিপরীতে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা খুবই নগণ্য। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, গত শুক্রবার সকাল পর্যন্ত এর আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে ৭৫২ জন। এক দিনে একজন সুস্থ হলে নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে ১৫ জনের বেশি অর্থাৎ আক্রান্ত ও সুস্থতার অনুপাত ১৫:১। গতকাল নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে করোনা শনাক্তের হার ছিল ২৮.৪৯ শতাংশ। এর গত বছরের ২৮ জুলাই ছিল দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ করোনা সংক্রমণ। সেদিন করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৬ হাজার ২৩০ জনের মধ্যে। চিকিৎসকরা আশঙ্কা করছেন, আগামী ২-৩ দিনের মধ্যেই করোনা সংক্রমণের নতুন রেকর্ড হবে বাংলাদেশে। কারণ বাংলাদেশে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট কমে গিয়ে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট প্রভাব বিস্তার করছে এবং ৭০ শতাংশের বেশি সংক্রমণ এখন ওমিক্রনের মাধ্যমে হচ্ছে।
করোনায় কয়েক দিনের মধ্যে রাজধানী ঢাকার অবস্থা ভয়াবহ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ সংক্রমণের বেশির ভাগ শনাক্তই এখন রাজধানীতে হচ্ছে। গতকাল রাজধানী ঢাকায় মোট ২৪ হাজার ৯১৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে সাত হাজার ২৯৬ জন করোনা পজিটিভ হয়েছেন। গতকালের মোট শনাক্তের ৬৩.৮১ শতাংশ ছিল রাজধানীতে। রাজধানী ছাড়া অন্যান্য এলাকায় চার হাজার ১৩৮ জন শনাক্ত হয়েছেন। সময় হয়েছে দেশের সর্বত্র করোনা নিয়ন্ত্রণে সমান প্রচেষ্টা চালানোর জন্য।
বাংলাদেশে সামনে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে বলে মনে করছেন সরকারি বেসরকারি চিকিৎসকরা। পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ার বিষয়টি উপলব্ধি করে আজ শনিবার থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার মন্ত্রী জাহিদ মালেক দেশের সব নাগরিকের উদ্দেশে বলেছেন, সবাই যেন যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাইরে চলাফেরা করেন এবং অবশ্যই মাস্ক পরেন।
তবে সরকারের করোনা নিয়ন্ত্রণের কৌশলকে সবাই স্বাগত জানাচ্ছেন তা নয়। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ সব কিছু খোলা রেখে শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। যেমন যুক্তরাজ্যের শেফিল্ড ইউনিভার্সিটির সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট ড. খোন্দকার মেহেদী আকরাম বলেন, বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ রোধে প্রথম ঢেউয়ে যে ধরনের নিরসন কৌশল (মিটিগেশন স্ট্র্যাটেজি) নেয়া হয়েছিল সেই একই স্ট্র্যাটেজি অনুসরণ করা হচ্ছে করোনার বর্তমান (ওমিক্রন) ঢেউয়েও।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে করোনাভাইরাসের আমূল পরিবর্তন হয়েছে, মানুষের শরীরেও ইমিউনিটির পরিবর্তন হয়েছে। কোভিডের ভয়াবহতা অথবা অনিশ্চয়তা প্রথম ঢেউয়ে যেমন ছিল এখন তেমনটি নেই। মহামারী দমনে সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া কতটুকু কার্যকর হয়েছে যেখানে সবকিছুই চলছে স্বাভাবিকভাবে? শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়ার কৌশল হওয়া উচিত সর্বশেষ কৌশল হিসেবে।’


আরো সংবাদ



premium cement